ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে আসছেন খামারিরা। এ বছর রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এখনো বেচাকেনা পুরোদমে ‘জমে ওঠেনি’। কিছুসংখ্যক ক্রেতা হাটে ঘুরে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন ও দাম যাচাই করে করছেন।
হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা ক্রেতার ‘অপেক্ষায়’ আছেন। তারা বলছেন, হাটে পশুর সরবরাহ ‘বেশি’ থাকলেও ক্রেতা ‘কম’। ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম ‘বেশি’ চাওয়া হচ্ছে।
বিক্রেতারা আরো জানান, হাটে আসা ক্রেতারা কেনার চেয়ে গরু দেখছেন আর দামাদামি ‘বেশি’ করছেন। দাম শুনেই আরেক জায়গায় চলে যাচ্ছেন। কেউ দাম বলছেন, তবে কেনার আগ্রহ কম। তবে তারা আশা করছেন, এই দুই দিনে বিক্রি জমে উঠবে। বিক্রি জমলে দামেও কিছুটা ছাড় দেবেন তারা।
শুক্রবার গাবতলীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর মনের মতো হলেই কিনে নিচ্ছেন কোরবানির পশু। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার আছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।ক্রেতারা বলছেন, সাইজের তুলনায় হাঁকা হচ্ছে বেশি দাম। আর বিক্রেতাদের দাবি, কেনার খরচের তুলনায় প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলছেন না ক্রেতারা।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা সাদেক আলী জানান, দুদিন আগে হাটে ৪টি গরু এনেছেন। এর মধ্যে ২টি গরু মাঝারি ও বাকি চারটি ছোট আকারের। হাটে অনেক গরু থাকলেও ক্রেতা নেই। দাম শুনেই লোকজন চলে যাচ্ছেন।
রংপুর থেকে আগত খামারি মো. হোসেন বলেন, হাটে বড় সাইজের ১০টি গরু এনেছেন। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর দামাদামি করলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।
মোহাম্মদপুর থেকে গাবতলী হাটে আসা আসিকুর বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও ছোট সাইজের গরু কেনার পরিকল্পনা নিয়ে হাটে এসেছি। বাজেট অনুযায়ী গরু পাওয়া গেলে আজ গরু কিনবো।’
গাবতলী হাটের ম্যানেজার রাজু সংবাদকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেচাকেনা খুব স্লো হয়েগেছে বিকেলে বৃষ্টি হয়েছে। আবার ওই দিন লাস্ট অফিস গেল। এসব কারণে গতকাল একটু সাড়া কম পাওয়া গেছে। আমরা মনে করছি আজ (শুক্রবার) ফ্লোটা ভালো পাওয়া যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমাদের হাটের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। আমরা গাড়ি আনলোডের জন্য চারটা পয়েন্ট সেট করছি। এছাড়া আমাদের এখানে ইসলামী ব্যংক থেকে এজেন্ট বুথ আছে সেখানে যে কেউ টাকা জমা ও তুলতে পারে। এছাড়া জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা আছে।’
বড় গরুর দামে বড় তফাৎ
বিক্রেতারা বলছেন, মাঝারি আকারে গরু ক্রেতারা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা কম বললেও, বড় গরুর দাম ২ থেকে ৩ লাখ টাকা কম বলছে। রংপুর থেকে আসা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শাহী ওয়াল জাতের দুইটা গরু এনেছি। একটার দাম চাইছি ৫ লাখ, আরেকটার সাড়ে ৮ লাখ। বিক্রেতারা ১/২ লাখ টাকা কম বলছেন। বড় গরু লালন-পালন এখন ‘বিপদ’।
আছে ডিজিটাল হাট
ঈদুল আজহায় হাট ঘুরে পছন্দের পশু কেনা চিরায়ত এক ঐতিহ্য। তবে এখন সেই হাটে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ব্যস্ততা ও পশু রাখার জায়গার সংকটে মানুষ এখন পশু কিনছেন সরাসরি খামার বা অনলাইনে।
ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে পশুর হাটও। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খামার থেকেই হাজারো পশু বিক্রি করছেন ব্যাপারীরা। ঘরে বসে পছন্দের পশু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। আধুনিক এ ব্যবস্থাপনার নাম ‘ডিজিটাল হাট’।
অনলাইনে পশু বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর অনলাইনে জমে উঠেছে পশু বেচাকেনা। অধিকাংশ ফার্মে এরইমধ্যে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ পশু। অনলাইনে পশু ক্রয়ে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের।
অনলাইনে গরু কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহী বিষয়ে জানা গেছে, ক্রেতাদের অনলাইনে আগ্রহী করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ও ‘সাদেক এগ্রো’র মালিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘করোনার সময় অনলাইন হাট যে পরিমাণে সাড়া ফেলেছিল, কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দুর্নীতির কারণে সেটি এখন অনেকটা কমে গেছে। তবে এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে আছে বেচাবিক্রি। সরকারের উচিত অনলাইন হাটকে মানুষের বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। তাহলে গ্রামের একজন প্রান্তিক খামারিও সহজেই মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি ক্রেতার কাছে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন।
মানুষ এখনও সরাসরি হাটে এসে দরদাম করেই গরু কিনতে পছন্দ করে বলে অনলাইনে গরু যতোই বেচাকেনা হোক, সেটা হাটের তুলনায় ‘খুবই কম’।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গো-খাদ্যের ‘বাজার’
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে পশু বেচাকেনার পাশাপাশি চলছে গো-খাদ্যের বেচাবিক্রি চলছে। জানা যায়, যারা হাটে পশু বিক্রি করতে আসছেন ও কোরবানী দেবার জন্য পশু কিনছেন তারাও তাদের পশুদের জন্য খাবার কিনছেন। এজন্য সেই পশুগুলোর জন্য খাবার বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোর আশপাশে এমনি বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট স্থানেও বষছে পশুর খাবারের পসরা। কারণ যারা পশু কিনছেন তারা স্থানীয় বিভিন্ন জায়গা থেকেই ওই খাবারটা কিনে খাওয়াচ্ছেন।
তবে গত বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। মোহাম্মদপুরের টাউন হলে মেহেদী নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছর খড়ের কেজি ২০ টাকা ছিল। এবার সেটি ৩০ টাকা হয়েছে। দাম বেড়েছে বিভিন্ন ভুসি, ভুট্টা, কালাই, ডালেরও।
সরেজমিন গাবতলী, মীরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাটে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বসেছে গো-খাদ্যের অস্থায়ী দোকান। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুটের ভুসি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, গমের ভুসি ৫০-৬০ টাকা, গমের ছাটাই ৭০ টাকা, ক্ষুদ ৬০ টাকা ও কুড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এছাড়া ডাবলি ৮০ টাকা, ভুট্টা ৫০ টাকা, কালাই ৭০ টাকা ও খড় ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে রাজধানীতে আসছেন খামারিরা। এ বছর রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে ২০টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। এখনো বেচাকেনা পুরোদমে ‘জমে ওঠেনি’। কিছুসংখ্যক ক্রেতা হাটে ঘুরে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন ও দাম যাচাই করে করছেন।
হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা ক্রেতার ‘অপেক্ষায়’ আছেন। তারা বলছেন, হাটে পশুর সরবরাহ ‘বেশি’ থাকলেও ক্রেতা ‘কম’। ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম ‘বেশি’ চাওয়া হচ্ছে।
বিক্রেতারা আরো জানান, হাটে আসা ক্রেতারা কেনার চেয়ে গরু দেখছেন আর দামাদামি ‘বেশি’ করছেন। দাম শুনেই আরেক জায়গায় চলে যাচ্ছেন। কেউ দাম বলছেন, তবে কেনার আগ্রহ কম। তবে তারা আশা করছেন, এই দুই দিনে বিক্রি জমে উঠবে। বিক্রি জমলে দামেও কিছুটা ছাড় দেবেন তারা।
শুক্রবার গাবতলীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, পছন্দের পশু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর মনের মতো হলেই কিনে নিচ্ছেন কোরবানির পশু। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতার আছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।ক্রেতারা বলছেন, সাইজের তুলনায় হাঁকা হচ্ছে বেশি দাম। আর বিক্রেতাদের দাবি, কেনার খরচের তুলনায় প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম বলছেন না ক্রেতারা।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা সাদেক আলী জানান, দুদিন আগে হাটে ৪টি গরু এনেছেন। এর মধ্যে ২টি গরু মাঝারি ও বাকি চারটি ছোট আকারের। হাটে অনেক গরু থাকলেও ক্রেতা নেই। দাম শুনেই লোকজন চলে যাচ্ছেন।
রংপুর থেকে আগত খামারি মো. হোসেন বলেন, হাটে বড় সাইজের ১০টি গরু এনেছেন। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর দামাদামি করলেও বড় গরুর ক্রেতা কম।
মোহাম্মদপুর থেকে গাবতলী হাটে আসা আসিকুর বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও ছোট সাইজের গরু কেনার পরিকল্পনা নিয়ে হাটে এসেছি। বাজেট অনুযায়ী গরু পাওয়া গেলে আজ গরু কিনবো।’
গাবতলী হাটের ম্যানেজার রাজু সংবাদকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেচাকেনা খুব স্লো হয়েগেছে বিকেলে বৃষ্টি হয়েছে। আবার ওই দিন লাস্ট অফিস গেল। এসব কারণে গতকাল একটু সাড়া কম পাওয়া গেছে। আমরা মনে করছি আজ (শুক্রবার) ফ্লোটা ভালো পাওয়া যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সার্বিকভাবে আমাদের হাটের ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। আমরা গাড়ি আনলোডের জন্য চারটা পয়েন্ট সেট করছি। এছাড়া আমাদের এখানে ইসলামী ব্যংক থেকে এজেন্ট বুথ আছে সেখানে যে কেউ টাকা জমা ও তুলতে পারে। এছাড়া জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা আছে।’
বড় গরুর দামে বড় তফাৎ
বিক্রেতারা বলছেন, মাঝারি আকারে গরু ক্রেতারা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা কম বললেও, বড় গরুর দাম ২ থেকে ৩ লাখ টাকা কম বলছে। রংপুর থেকে আসা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শাহী ওয়াল জাতের দুইটা গরু এনেছি। একটার দাম চাইছি ৫ লাখ, আরেকটার সাড়ে ৮ লাখ। বিক্রেতারা ১/২ লাখ টাকা কম বলছেন। বড় গরু লালন-পালন এখন ‘বিপদ’।
আছে ডিজিটাল হাট
ঈদুল আজহায় হাট ঘুরে পছন্দের পশু কেনা চিরায়ত এক ঐতিহ্য। তবে এখন সেই হাটে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ব্যস্ততা ও পশু রাখার জায়গার সংকটে মানুষ এখন পশু কিনছেন সরাসরি খামার বা অনলাইনে।
ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে পশুর হাটও। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খামার থেকেই হাজারো পশু বিক্রি করছেন ব্যাপারীরা। ঘরে বসে পছন্দের পশু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। আধুনিক এ ব্যবস্থাপনার নাম ‘ডিজিটাল হাট’।
অনলাইনে পশু বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর অনলাইনে জমে উঠেছে পশু বেচাকেনা। অধিকাংশ ফার্মে এরইমধ্যে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ পশু। অনলাইনে পশু ক্রয়ে আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের।
অনলাইনে গরু কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহী বিষয়ে জানা গেছে, ক্রেতাদের অনলাইনে আগ্রহী করতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি কমাতে হবে অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ও ‘সাদেক এগ্রো’র মালিক ইমরান হোসেন বলেন, ‘করোনার সময় অনলাইন হাট যে পরিমাণে সাড়া ফেলেছিল, কয়েকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের দুর্নীতির কারণে সেটি এখন অনেকটা কমে গেছে। তবে এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে আছে বেচাবিক্রি। সরকারের উচিত অনলাইন হাটকে মানুষের বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। তাহলে গ্রামের একজন প্রান্তিক খামারিও সহজেই মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া সরাসরি ক্রেতার কাছে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন।
মানুষ এখনও সরাসরি হাটে এসে দরদাম করেই গরু কিনতে পছন্দ করে বলে অনলাইনে গরু যতোই বেচাকেনা হোক, সেটা হাটের তুলনায় ‘খুবই কম’।
রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গো-খাদ্যের ‘বাজার’
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে পশু বেচাকেনার পাশাপাশি চলছে গো-খাদ্যের বেচাবিক্রি চলছে। জানা যায়, যারা হাটে পশু বিক্রি করতে আসছেন ও কোরবানী দেবার জন্য পশু কিনছেন তারাও তাদের পশুদের জন্য খাবার কিনছেন। এজন্য সেই পশুগুলোর জন্য খাবার বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোর আশপাশে এমনি বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট স্থানেও বষছে পশুর খাবারের পসরা। কারণ যারা পশু কিনছেন তারা স্থানীয় বিভিন্ন জায়গা থেকেই ওই খাবারটা কিনে খাওয়াচ্ছেন।
তবে গত বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। মোহাম্মদপুরের টাউন হলে মেহেদী নামে এক ক্রেতা বলেন, গত বছর খড়ের কেজি ২০ টাকা ছিল। এবার সেটি ৩০ টাকা হয়েছে। দাম বেড়েছে বিভিন্ন ভুসি, ভুট্টা, কালাই, ডালেরও।
সরেজমিন গাবতলী, মীরপুর, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হাটে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর বসেছে গো-খাদ্যের অস্থায়ী দোকান। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুটের ভুসি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, গমের ভুসি ৫০-৬০ টাকা, গমের ছাটাই ৭০ টাকা, ক্ষুদ ৬০ টাকা ও কুড়া বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এছাড়া ডাবলি ৮০ টাকা, ভুট্টা ৫০ টাকা, কালাই ৭০ টাকা ও খড় ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।