কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুলাল মাতবর নামের পঞ্চাশোর্ধ একজন নিহত হয়েছেন।
দুলাল মাতবর, পেশায় মাইক্রোবাস চালক, বৃহস্পতিবার সকালে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত রামপুরা বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ফরাজী হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রুবেল হোসেন জানান, “দুলাল মাতবরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে গুলি লেগেছিল। আমরা উনার নাম ঠিকানা লিখে রেখেছি। তিনি সম্ভবত পথচারী ছিলেন। উনার ছেলেরা এসে লাশ নিয়ে গেছেন। দুলালের বাড়ি পটুয়াখালীতে।”
এ ঘটনায় আহত আরও অনেকে ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রুবেল বলেন, “আমাদের এখানে আহত হয়ে অনেকেই আসছেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী এবং পথচারী রয়েছেন। আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, “আমাদের হাসপাতাল প্রাইভেট হওয়ায় আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম নেই। ঘটনার সময় প্রচুর মানুষ আসছিল, তাই আমরা তাদের সেবা দিতে ব্যস্ত ছিলাম। পরে তার আত্মীয়স্বজন এসে মরদেহ নিয়ে গেছেন।”
দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগ জানান, “আমরা ফরাজী হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে এসেছি এবং এখন বাড়ির দিকে যাচ্ছি।”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “এখনও না।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর আন্দোলনকারীরা এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এই কর্মসূচির কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে সড়ক অবরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গণপরিবহনের সংকটে কর্মজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুলাল মাতবর নামের পঞ্চাশোর্ধ একজন নিহত হয়েছেন।
দুলাল মাতবর, পেশায় মাইক্রোবাস চালক, বৃহস্পতিবার সকালে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত রামপুরা বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ফরাজী হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রুবেল হোসেন জানান, “দুলাল মাতবরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে গুলি লেগেছিল। আমরা উনার নাম ঠিকানা লিখে রেখেছি। তিনি সম্ভবত পথচারী ছিলেন। উনার ছেলেরা এসে লাশ নিয়ে গেছেন। দুলালের বাড়ি পটুয়াখালীতে।”
এ ঘটনায় আহত আরও অনেকে ফরাজী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রুবেল বলেন, “আমাদের এখানে আহত হয়ে অনেকেই আসছেন। এর মধ্যে শিক্ষার্থী এবং পথচারী রয়েছেন। আমরা সবাইকে চিকিৎসা দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, “আমাদের হাসপাতাল প্রাইভেট হওয়ায় আমরা ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম নেই। ঘটনার সময় প্রচুর মানুষ আসছিল, তাই আমরা তাদের সেবা দিতে ব্যস্ত ছিলাম। পরে তার আত্মীয়স্বজন এসে মরদেহ নিয়ে গেছেন।”
দুলাল মাতবরের ছেলে সোহাগ জানান, “আমরা ফরাজী হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে এসেছি এবং এখন বাড়ির দিকে যাচ্ছি।”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, “এখনও না।” এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
গত দুই দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা বিরোধীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর আন্দোলনকারীরা এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এই কর্মসূচির কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অংশে সড়ক অবরোধ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গণপরিবহনের সংকটে কর্মজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।