সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় দুইশরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ২০৭টি মামলায় মোট ২,৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, কোন থানায় কী পরিমাণ মামলা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে নামে। জুলাই মাসে এই আন্দোলন সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্ররা প্রথমে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং পরে কোটা সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করার দাবি জানায়। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘাতের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ দুইজন, চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন ও রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় সহিংসতায়।
১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলা হয়।
রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করা হয় এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাব স্টেশন, মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনও ভাঙচুর হয়।
ঢাকার বাইরে নরসিংদী কারাগারে হামলা করে ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয় এবং প্রায় ৮০০ বন্দি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ২০টি এবং এক হাজারের বেশি গুলি উদ্ধার হয়েছে।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি হয় এবং সেনাবাহিনী নামানো হয়। যাত্রাবাড়ী, রামপুরা এবং মোহাম্মদপুরে সংঘাত চলতে থাকে। দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে।
কারফিউ জারির তিনদিন পর যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকলেও কারফিউ এখনও চলছে।
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় দুইশরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ২০৭টি মামলায় মোট ২,৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে, কোন থানায় কী পরিমাণ মামলা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করলে ছাত্ররা ফের আন্দোলনে নামে। জুলাই মাসে এই আন্দোলন সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্ররা প্রথমে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং পরে কোটা সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ করার দাবি জানায়। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বাংলা ব্লকেড নামে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়।
১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘাতের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীসহ দুইজন, চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন ও রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় সহিংসতায়।
১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুলির ঘটনা ঘটে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিতে হামলা হয়।
রামপুরায় বিটিভি ভবন, বনানীতে সেতু ভবন, মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ভাঙচুর করা হয় এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাব স্টেশন, মেট্রোরেলের দুটি স্টেশনও ভাঙচুর হয়।
ঢাকার বাইরে নরসিংদী কারাগারে হামলা করে ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয় এবং প্রায় ৮০০ বন্দি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ২০টি এবং এক হাজারের বেশি গুলি উদ্ধার হয়েছে।
১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি হয় এবং সেনাবাহিনী নামানো হয়। যাত্রাবাড়ী, রামপুরা এবং মোহাম্মদপুরে সংঘাত চলতে থাকে। দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে।
কারফিউ জারির তিনদিন পর যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে অফিস সীমিত পরিসরে খোলা থাকলেও কারফিউ এখনও চলছে।