সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য আইন ভেঙেছেন বলে স্বীকার করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি জানান, তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরাফাত সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার অনুমতি ছিল না। তাদের সংবিধান ও আইনের অধীনে কাজ করতে হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে, যা তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দাবি করেছে, আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রতিমন্ত্রী আরাফাত বলেন, “আমরা তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করব এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনব।”
সহিংসতায় হতাহতের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “প্রতিটি মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করব।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “সহিংসতার জন্য তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।”
সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংস হয়ে ওঠে। ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দেয়, যা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সমর্থন পায়। সহিংসতায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দুই শতাধিক প্রাণহানির খবর এলেও সরকার বলছে, তাদের কাছে ১৪৭ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ আগস্ট ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য আইন ভেঙেছেন বলে স্বীকার করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি জানান, তদন্তের মাধ্যমে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরাফাত সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার অনুমতি ছিল না। তাদের সংবিধান ও আইনের অধীনে কাজ করতে হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটেছে, যা তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা দাবি করেছে, আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। প্রতিমন্ত্রী আরাফাত বলেন, “আমরা তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করব এবং দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনব।”
সহিংসতায় হতাহতের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “প্রতিটি মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করব। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করব।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “সহিংসতার জন্য তৃতীয় পক্ষের হাত রয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।”
সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংস হয়ে ওঠে। ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দেয়, যা বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সমর্থন পায়। সহিংসতায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দুই শতাধিক প্রাণহানির খবর এলেও সরকার বলছে, তাদের কাছে ১৪৭ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।