সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ এবং ফারজানা রূপাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোশাররফ হোসেনের আদালত তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে রোববার ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পরে আদাবর থানায় দায়ের করা পোশাক শ্রমিক মো. রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোলাপের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এদিকে, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা, যারা একাত্তর টেলিভিশন থেকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, তাদেরকেও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সরকার পতনের পর তারা দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তবে বিমানবন্দরে তাদের আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৫ আগস্ট উত্তরার জসিম উদ্দিন মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পোশাক শ্রমিক ফজলুল করিম। তাকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে এই মামলায় শাকিল ও রূপা প্রথমে গ্রেপ্তার হন। চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আবার আদাবরের রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রুবেল গত ৫ আগস্ট আদাবরে গুলিবিদ্ধ হন এবং দুই দিন পর হাসপাতালে মারা যান। তার বাবা রফিকুল ইসলাম ২২ আগস্ট এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টু চন্দ্র বণিক আদালতে রিমান্ডের আবেদনে জানান, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অন্যান্য আসামিদের অবস্থান শনাক্তের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। গোলাপের আইনজীবীরা দাবি করেন, তাদের মক্কেলরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে রিমান্ড আবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
সাংবাদিক দম্পতির পক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী দাবি করেন, শাকিল ও রূপা ‘স্বৈরাচারী’ শক্তির দোসর এবং হলুদ সাংবাদিকতা করেন। শুনানির সময় আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।
সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ঢাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ এবং ফারজানা রূপাকে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোশাররফ হোসেনের আদালত তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপকে রোববার ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে পরে আদাবর থানায় দায়ের করা পোশাক শ্রমিক মো. রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোলাপের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও আদালত তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এদিকে, সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা, যারা একাত্তর টেলিভিশন থেকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন, তাদেরকেও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সরকার পতনের পর তারা দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তবে বিমানবন্দরে তাদের আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৫ আগস্ট উত্তরার জসিম উদ্দিন মোড়ের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন পোশাক শ্রমিক ফজলুল করিম। তাকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে এই মামলায় শাকিল ও রূপা প্রথমে গ্রেপ্তার হন। চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আবার আদাবরের রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রুবেল গত ৫ আগস্ট আদাবরে গুলিবিদ্ধ হন এবং দুই দিন পর হাসপাতালে মারা যান। তার বাবা রফিকুল ইসলাম ২২ আগস্ট এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টু চন্দ্র বণিক আদালতে রিমান্ডের আবেদনে জানান, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং অন্যান্য আসামিদের অবস্থান শনাক্তের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। গোলাপের আইনজীবীরা দাবি করেন, তাদের মক্কেলরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সপক্ষে রিমান্ড আবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
সাংবাদিক দম্পতির পক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী দাবি করেন, শাকিল ও রূপা ‘স্বৈরাচারী’ শক্তির দোসর এবং হলুদ সাংবাদিকতা করেন। শুনানির সময় আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন।