সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সময় নিহত এক কলেজ ছাত্রের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনটি ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়ে এসআই শাহরিয়ার আলমকে গুলি করার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার দুই সদস্যসহ মোট ৯ জনকে নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে গত ১৯ জুলাই বিকালে কলেজ ছাত্র মাহামুদুর রহমান সৈকত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই ঘটনার পর তার বাবা মাহাবুবের রহমান রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ:
মামলায় বলা হয়, সদ্য এসএসসি পাস করা সৈকত তার আহত বন্ধুকে সহায়তা করতে ১৯ জুলাই বিকালে নূরজাহান রোডে যান। সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি মিছিল চলাকালে সৈকত মিছিলের সামনে পড়ে যায়। মিছিল চলে যাওয়ার পরও সে সেখানেই অবস্থান করছিল।
এসআই শাহরিয়ার আলম তখন সৈকতের অবস্থান সম্পর্কে মোহাম্মদপুর থানার তৎকালীন ওসি ও পরিদর্শককে জানান এবং তাদের নির্দেশ অনুযায়ী সৈকতকে গুলি করেন। গুলিটি মাথার বাম পাশ দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার সঙ্গে ঘটনাস্থলের তিনটি ভিডিও ফুটেজও জমা দেওয়া হয়েছে। ভিডিওগুলোতে সৈকতের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মামলায় বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, মোহাম্মদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকসহ ৯ জনকে দায়ী করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া:
নিহত সৈকতের বোন সাব্রিনা সেবন্তি তার ফেসবুক পোস্টে ভাইকে নিয়ে আবেগময় একটি লেখা শেয়ার করেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে তিনি তার ভাইকে ‘টুনা’ নামে ডাকতেন এবং সৈকতের অকালে চলে যাওয়ার শোকে ভেঙে পড়ার কথা উল্লেখ করেন।
সাব্রিনা লিখেছেন, “আমার ফুলের মত ভাইটাকে ঠান্ডা মাথায় টার্গেট করে মাথায় গুলি করা হয়েছে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশের চেয়ে ভারী এই পৃথিবীতে কিছু আছে?”
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির সময় নিহত এক কলেজ ছাত্রের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনটি ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়ে এসআই শাহরিয়ার আলমকে গুলি করার জন্য সরাসরি দায়ী করা হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভার দুই সদস্যসহ মোট ৯ জনকে নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে গত ১৯ জুলাই বিকালে কলেজ ছাত্র মাহামুদুর রহমান সৈকত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এই ঘটনার পর তার বাবা মাহাবুবের রহমান রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ:
মামলায় বলা হয়, সদ্য এসএসসি পাস করা সৈকত তার আহত বন্ধুকে সহায়তা করতে ১৯ জুলাই বিকালে নূরজাহান রোডে যান। সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি মিছিল চলাকালে সৈকত মিছিলের সামনে পড়ে যায়। মিছিল চলে যাওয়ার পরও সে সেখানেই অবস্থান করছিল।
এসআই শাহরিয়ার আলম তখন সৈকতের অবস্থান সম্পর্কে মোহাম্মদপুর থানার তৎকালীন ওসি ও পরিদর্শককে জানান এবং তাদের নির্দেশ অনুযায়ী সৈকতকে গুলি করেন। গুলিটি মাথার বাম পাশ দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা সৈকতকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার সঙ্গে ঘটনাস্থলের তিনটি ভিডিও ফুটেজও জমা দেওয়া হয়েছে। ভিডিওগুলোতে সৈকতের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মামলায় বলা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, মোহাম্মদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকসহ ৯ জনকে দায়ী করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া:
নিহত সৈকতের বোন সাব্রিনা সেবন্তি তার ফেসবুক পোস্টে ভাইকে নিয়ে আবেগময় একটি লেখা শেয়ার করেন, যা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টে তিনি তার ভাইকে ‘টুনা’ নামে ডাকতেন এবং সৈকতের অকালে চলে যাওয়ার শোকে ভেঙে পড়ার কথা উল্লেখ করেন।
সাব্রিনা লিখেছেন, “আমার ফুলের মত ভাইটাকে ঠান্ডা মাথায় টার্গেট করে মাথায় গুলি করা হয়েছে। বাবার কাঁধে ছেলের লাশের চেয়ে ভারী এই পৃথিবীতে কিছু আছে?”