রাজধানীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে মশালমিছিল করেছে সনাতন অধিকার মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরে সনাতন অধিকার মঞ্চের নেতা–কর্মীরা বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে আগামী ৫ অক্টোবর সারা দেশ থেকে ঢাকায় এসে রাজধানী অবরোধ করা হবে।
মশালমিছিল শুরুর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের সঞ্চালক ও বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন রায় সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হলে সনাতনী জনগোষ্ঠী ৫ অক্টোবর ঢাকায় লংমার্চ করবে এবং পুরো শহর অবরোধ করবে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় জমায়েত হয়। সেখান থেকে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সরকারের উপদেষ্টারা দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
সমাবেশে উত্থাপিত ৮ দফা দাবি:
১. সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার।
২. ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।
৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৪. সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
৫. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
৬. বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
৭. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন।
৮. অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন ও দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি প্রদান।
শিক্ষকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ:
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা শিক্ষকদের অসম্মান এবং লাঞ্ছনার জন্য দায়ী শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক অশোক তরু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক সমস্যায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, "এ কেমন স্বাধীনতা, যেখানে শিক্ষকদেরও নির্বিচারে অসম্মান করা হয়?"
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ভক্তসংঘ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, ভক্তসংঘের সভাপতি শান্তি রঞ্জন মণ্ডল, মোহন সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধ এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে মশালমিছিল করেছে সনাতন অধিকার মঞ্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরে সনাতন অধিকার মঞ্চের নেতা–কর্মীরা বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ না হলে আগামী ৫ অক্টোবর সারা দেশ থেকে ঢাকায় এসে রাজধানী অবরোধ করা হবে।
মশালমিছিল শুরুর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশের সঞ্চালক ও বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন রায় সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পূর্বঘোষিত ৮ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হলে সনাতনী জনগোষ্ঠী ৫ অক্টোবর ঢাকায় লংমার্চ করবে এবং পুরো শহর অবরোধ করবে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় জমায়েত হয়। সেখান থেকে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সরকারের উপদেষ্টারা দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
সমাবেশে উত্থাপিত ৮ দফা দাবি:
১. সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার।
২. ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা।
৩. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।
৪. সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।
৫. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
৬. বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করা।
৭. দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন।
৮. অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন ও দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি প্রদান।
শিক্ষকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ:
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা শিক্ষকদের অসম্মান এবং লাঞ্ছনার জন্য দায়ী শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক অশোক তরু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো সামাজিক বা রাজনৈতিক সমস্যায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, "এ কেমন স্বাধীনতা, যেখানে শিক্ষকদেরও নির্বিচারে অসম্মান করা হয়?"
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ভক্তসংঘ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, ভক্তসংঘের সভাপতি শান্তি রঞ্জন মণ্ডল, মোহন সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।