# ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ মোড় ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় ভার্সিটির নাক কান ও গলা বিভাগের ডাঃ হাসানুল হক নিপুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহবাগ থানার একটি মামলায় (মামলা নম্বর-২৫,তারিখ-১৭-৯-২৪) তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদকে জানান, ডাঃ হাসানুল হক নিপুনকে গাজীপুৃর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছে। এরপর তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওই মামলার বাদি মোঃ ইসমাইল হোসেন। এই ঘটন্য়া জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, ডাঃ নিপুনকে গ্রেফতার করার পর অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুৃর এবং পরিবহন শাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনায় তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন ১. ভার্সিটির নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোজাম্মেল হক,২. বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন ডাঃ আহমেদ আবু সালেহ, ৩. মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ডাঃ মোঃ সফিউদ্দিন ও ৪.ডাঃ শেখ ফরহাদ। তিনি ভার্সিটির অর্থোপেডিক্্র সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক। তারা ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে হামলা , ভাঙ্গচুৃর ও অগ্নিসংযোগের নেপথ্য কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারিদের চিহ্নিত করে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য ডাঃ শেখ ফরহাদ সংবাদকে জানান, রোববার তদন্ত কমিটি বৈঠক করে তদন্তের পরিকল্পনা করবেন। ইতোমধ্যে ঘটনার দিনের একাধিক ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব,ছাত্রদের উপর হামলা,ছাত্রদের চিকিৎসা কাজে বাঁধাসহ বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করবেন। এরপর শিগগিরই তাদের রিপোট চুড়ান্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডাক্তার ও কর্মকর্তারা জানান, গত ৪ আগস্ট সকালে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা শাহবাগ মোড় থেকে পরিবাগ মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে মিছিল ও ম্লোগান দেয়। ওই সময় হঠাৎ করে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ও ভিতর থেকে ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে ইটপাথর নিক্ষেপ করে। গজারি লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামল্ াও তান্ডব চালায়। ওই সময় অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। অনেক সাধারণ কর্মকর্তা ও রোগী এবং স্বজনরা বিপাকে পড়ে চারদিকে ছুটাছুটি করেন। ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো ভার্সিটি ও শাহবাগ মোড় রণেেক্ষত্রে পরিণত হয়। এরপরও ভার্সিটির বিভিন্ন ব্লকের উপর থেকে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। ছাত্ররা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ভার্সিটির ভিতরে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন লাগানো হয়।
ঘটনার সময় স্বজনদের পক্ষ থেকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা ইটপাথর নিক্ষেপ বন্ধ করার আহবান জানান। ইট-পাথর নিক্ষেপ ও আগুন লাগানোর কারনে ফায়ার সার্ভিসের টিম ছাড়া পুলিশও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে,ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানে ভার্সিটির প্রক্টর,একজন প্রো-ভিসি,একজন ভিসির একান্ত সচিব, নার্স নেত্রী, কন্ট্রোলার অফিসেরসহ দলবাজ কিছু অতি উৎসাহী কর্মচারী পরিস্থিতি ভিন্নখাতে নিতে তান্ডব চালিয়েছে। যাদের নাম এখনো সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।
ভার্সিটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান,হামলাকারিদের মধ্যে কিছুৃ কর্মকর্তা ও ডাক্তার গাঢাকা দিয়েছে। আবার অনেকেই এখনও কর্মস্থলে যাচ্ছে না। তাদের ভিডিও অনেকেই প্রকাশ করছেন। হামলাকারিদের মধ্যে কেউ কেউ কর্মস্থলে বসে রাজনীতি ছাড়াও নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য যা করার দরকার সবই করছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ও ডাক্তার গ্রেফতার এবং পুলিশি তৎপরতা শুরু হলে অনেকেই আতœগোপনে চলে গেছেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মুনসুর সংবাদকে জানান,গ্রেফতারকৃত ডাক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত পর্যায়ে আছে।
# ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা
রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ মোড় ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় ভার্সিটির নাক কান ও গলা বিভাগের ডাঃ হাসানুল হক নিপুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহবাগ থানার একটি মামলায় (মামলা নম্বর-২৫,তারিখ-১৭-৯-২৪) তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদকে জানান, ডাঃ হাসানুল হক নিপুনকে গাজীপুৃর মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছে। এরপর তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ওই মামলার বাদি মোঃ ইসমাইল হোসেন। এই ঘটন্য়া জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযোগ রয়েছে, ডাঃ নিপুনকে গ্রেফতার করার পর অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে আইন শৃংখলা বাহিনী কাজ করছেন।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুৃর এবং পরিবহন শাখাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংসের ঘটনায় তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন ১. ভার্সিটির নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডাঃ মোজাম্মেল হক,২. বেসিক সায়েন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন ডাঃ আহমেদ আবু সালেহ, ৩. মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন ডাঃ মোঃ সফিউদ্দিন ও ৪.ডাঃ শেখ ফরহাদ। তিনি ভার্সিটির অর্থোপেডিক্্র সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক। তারা ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন।
জানা গেছে, তদন্ত কমিটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে হামলা , ভাঙ্গচুৃর ও অগ্নিসংযোগের নেপথ্য কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারিদের চিহ্নিত করে তাদের রিপোর্ট পেশ করবেন।
তদন্ত কমিটির সদস্য ডাঃ শেখ ফরহাদ সংবাদকে জানান, রোববার তদন্ত কমিটি বৈঠক করে তদন্তের পরিকল্পনা করবেন। ইতোমধ্যে ঘটনার দিনের একাধিক ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব,ছাত্রদের উপর হামলা,ছাত্রদের চিকিৎসা কাজে বাঁধাসহ বিভিন্ন বিষয় তদন্ত করবেন। এরপর শিগগিরই তাদের রিপোট চুড়ান্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডাক্তার ও কর্মকর্তারা জানান, গত ৪ আগস্ট সকালে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা শাহবাগ মোড় থেকে পরিবাগ মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে মিছিল ও ম্লোগান দেয়। ওই সময় হঠাৎ করে ভার্সিটির বিভিন্ন ভবনের ছাদের উপর ও ভিতর থেকে ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে ইটপাথর নিক্ষেপ করে। গজারি লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামল্ াও তান্ডব চালায়। ওই সময় অনেক ছাত্র আহত হয়েছে। অনেক সাধারণ কর্মকর্তা ও রোগী এবং স্বজনরা বিপাকে পড়ে চারদিকে ছুটাছুটি করেন। ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো ভার্সিটি ও শাহবাগ মোড় রণেেক্ষত্রে পরিণত হয়। এরপরও ভার্সিটির বিভিন্ন ব্লকের উপর থেকে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। ছাত্ররা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ভার্সিটির ভিতরে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন লাগানো হয়।
ঘটনার সময় স্বজনদের পক্ষ থেকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হলেও তারা ইটপাথর নিক্ষেপ বন্ধ করার আহবান জানান। ইট-পাথর নিক্ষেপ ও আগুন লাগানোর কারনে ফায়ার সার্ভিসের টিম ছাড়া পুলিশও ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে,ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানে ভার্সিটির প্রক্টর,একজন প্রো-ভিসি,একজন ভিসির একান্ত সচিব, নার্স নেত্রী, কন্ট্রোলার অফিসেরসহ দলবাজ কিছু অতি উৎসাহী কর্মচারী পরিস্থিতি ভিন্নখাতে নিতে তান্ডব চালিয়েছে। যাদের নাম এখনো সবার মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে।
ভার্সিটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান,হামলাকারিদের মধ্যে কিছুৃ কর্মকর্তা ও ডাক্তার গাঢাকা দিয়েছে। আবার অনেকেই এখনও কর্মস্থলে যাচ্ছে না। তাদের ভিডিও অনেকেই প্রকাশ করছেন। হামলাকারিদের মধ্যে কেউ কেউ কর্মস্থলে বসে রাজনীতি ছাড়াও নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য যা করার দরকার সবই করছেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ও ডাক্তার গ্রেফতার এবং পুলিশি তৎপরতা শুরু হলে অনেকেই আতœগোপনে চলে গেছেন।
শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মুনসুর সংবাদকে জানান,গ্রেফতারকৃত ডাক্তারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলাটি এখন তদন্ত পর্যায়ে আছে।