রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার, ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলায় কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি ডিএমপি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, এবং প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায় কামরুল ইসলামের গ্রেপ্তার হলো। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা গত কয়েক মাস ধরে জনসম্মুখে উপস্থিত ছিলেন না।
কামরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং টানা চারবার জয়ী হয়ে সংসদে আসেন। নবম সংসদে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে পরবর্তী মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।
আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে সময় টেলিভিশনের লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল। সূত্র জানায়, ৯৩ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা আহমেদ জোবায়েরের নামে হলেও প্রকৃতপক্ষে এর ৯০ শতাংশ কামরুল ইসলামের ছিল। এছাড়া তার ভাই মোরশেদুল ইসলামের নামে ৩ শতাংশ শেয়ার ছিল।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিজ এবং সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়েছেন। এছাড়া, আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে।
এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো নিয়ে আরও তদন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার, ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া বেশ কয়েকটি মামলায় কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানায়নি ডিএমপি।
ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, এবং প্রভাবশালী নেতাদের গ্রেপ্তারের ধারাবাহিকতায় কামরুল ইসলামের গ্রেপ্তার হলো। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা গত কয়েক মাস ধরে জনসম্মুখে উপস্থিত ছিলেন না।
কামরুল ইসলাম ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং টানা চারবার জয়ী হয়ে সংসদে আসেন। নবম সংসদে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে পরবর্তী মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি।
আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে সময় টেলিভিশনের লাইসেন্স নেওয়া হয়েছিল। সূত্র জানায়, ৯৩ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা আহমেদ জোবায়েরের নামে হলেও প্রকৃতপক্ষে এর ৯০ শতাংশ কামরুল ইসলামের ছিল। এছাড়া তার ভাই মোরশেদুল ইসলামের নামে ৩ শতাংশ শেয়ার ছিল।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি নিজ এবং সন্তানদের নামে দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদ গড়েছেন। এছাড়া, আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে।
এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো নিয়ে আরও তদন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।