যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে সংঘর্ষ এবং লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ছালেহ উদ্দিন। সোমবার বিকেলে কলেজের সামনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এ কথা জানান তিনি।
উপকমিশনার ছালেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, ছাত্রবেশী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং লুটপাটের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছে। তিনি বলেছেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।”
তিনি দাবি করেন, হামলাকারীদের প্রতিহত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হলেও তারা একত্র হয়ে হামলা চালিয়েছে। ৫ আগস্টে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ থাকার কারণে পুরনো সদস্যদের সরিয়ে নতুন সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপকমিশনার। তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং গোপনে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করেন।
পুলিশের বক্তব্যের পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবাইকে সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
আজ দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান, যার পেছনে পূর্বদিনের সংঘর্ষের প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রবিবার অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালিয়েছিল।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কলেজটির ১০তলা ভবনের প্রতিটি তলায় হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায় এবং কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাব লুট করে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা কলেজের টাকাপয়সাও লুট করেছে।
সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরই পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে সংঘর্ষ এবং লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ছালেহ উদ্দিন। সোমবার বিকেলে কলেজের সামনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এবং এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এ কথা জানান তিনি।
উপকমিশনার ছালেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, ছাত্রবেশী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং লুটপাটের মাধ্যমে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেছে। তিনি বলেছেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে, এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।”
তিনি দাবি করেন, হামলাকারীদের প্রতিহত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হলেও তারা একত্র হয়ে হামলা চালিয়েছে। ৫ আগস্টে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ থাকার কারণে পুরনো সদস্যদের সরিয়ে নতুন সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপকমিশনার। তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতার আহ্বান জানান এবং গোপনে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করেন।
পুলিশের বক্তব্যের পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবাইকে সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
আজ দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা চালান, যার পেছনে পূর্বদিনের সংঘর্ষের প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রবিবার অভিজিৎ হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালিয়েছিল।
মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। কলেজটির ১০তলা ভবনের প্রতিটি তলায় হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায় এবং কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আসবাব লুট করে। কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা কলেজের টাকাপয়সাও লুট করেছে।
সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপের ওপরই পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে।