বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকার শাহবাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে তাদের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
অপরদিকে, সংগঠনের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রোববার মধ্যরাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক বাস, পিকআপ, ও মাইক্রোবাসে শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করে। তারা স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে শাহবাগে জমায়েত হলে তাদেরকে ‘এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা’ ঋণ দেওয়া হবে।
আসন্ন সমাবেশে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে এই ঋণ বিতরণ করা হবে বলে তাদের জানানো হয়। সমাবেশের জন্য ২৫ নভেম্বর ‘রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ’ লেখা ব্যানারসহ গাড়ি দেখা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্ররা জমায়েত হতে বাধা দেয় এবং কথা বলে সবাইকে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শাহবাগ থানার এসআই হারুন অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনসহ ১৯ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ১,২০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ ষড়যন্ত্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাহবাগে জমায়েত করে। তাদের জমায়েতের উদ্দেশ্য ছিল দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো। অভিযোগে আরও বলা হয়, জমায়েতকারীরা শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভাঙচুর করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মেহেদী হাসান, রাহাত ইমাম নোমান, মো. মাসুদ, ইব্রাহিম, মো. আলেক ফরাজী, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আবু বক্কর, মো. রিংকু, মো. নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, মো. আফজাল মন্ডল, আব্দুর রহিম, নুরনবী, শহিদ এবং কোহিনুর আক্তার।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাহফজুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জমায়েতকারীদের কাছে পাওয়া লিফলেট অনুযায়ী, সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশের নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়।
এই মামলার আসামিদের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, চিকিৎসাধীন প্রধান আসামি মোস্তফা আমীন সুস্থ হওয়ার পর আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলাটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঢাকার শাহবাগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে তাদের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
অপরদিকে, সংগঠনের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তফা আমীন বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হওয়ার পর তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
রোববার মধ্যরাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক বাস, পিকআপ, ও মাইক্রোবাসে শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করে। তারা স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে শাহবাগে জমায়েত হলে তাদেরকে ‘এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা’ ঋণ দেওয়া হবে।
আসন্ন সমাবেশে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে এই ঋণ বিতরণ করা হবে বলে তাদের জানানো হয়। সমাবেশের জন্য ২৫ নভেম্বর ‘রাজধানীর শাহবাগে মহাসমাবেশ’ লেখা ব্যানারসহ গাড়ি দেখা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্ররা জমায়েত হতে বাধা দেয় এবং কথা বলে সবাইকে ফিরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে শাহবাগ থানার এসআই হারুন অর রশিদ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনসহ ১৯ জনকে আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ১,২০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ ষড়যন্ত্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাহবাগে জমায়েত করে। তাদের জমায়েতের উদ্দেশ্য ছিল দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো। অভিযোগে আরও বলা হয়, জমায়েতকারীরা শাহবাগ মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্লাস্টিকের রোড ডিভাইডার ভাঙচুর করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাহবুবুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মেহেদী হাসান, রাহাত ইমাম নোমান, মো. মাসুদ, ইব্রাহিম, মো. আলেক ফরাজী, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আবু বক্কর, মো. রিংকু, মো. নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, মো. আফজাল মন্ডল, আব্দুর রহিম, নুরনবী, শহিদ এবং কোহিনুর আক্তার।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার এসআই মাহফজুর রহমান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জমায়েতকারীদের কাছে পাওয়া লিফলেট অনুযায়ী, সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশের নামে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়।
এই মামলার আসামিদের বিষয়ে পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, চিকিৎসাধীন প্রধান আসামি মোস্তফা আমীন সুস্থ হওয়ার পর আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলাটি নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।