alt

নগর-মহানগর

একুশে আগস্ট মামলায় আসামিদের খালাস, আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের সবাই খালাস পাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।

রোববার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামিকে সংবিধান, আইন ও বিচারিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।”

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। বিচারিক আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।

তবে সম্প্রতি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের ত্রুটি উল্লেখ করে তাদের খালাস দেয়। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মুফতি আব্দুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে গৃহীত সম্পূরক অভিযোগপত্র ‘অবৈধ’ ছিল এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতি থাকায় সাজা বহাল রাখা সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই রায় সংবিধানের ওপর আঘাত হেনেছে। ২১ আগস্টের হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। বিচারিক আদালত দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচারিক রীতি মেনে আসামিদের দোষ প্রমাণ করেছিল। অথচ এই বেঞ্চ বেআইনিভাবে বিচারপ্রক্রিয়া নাকচ করেছে।”

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “এটি প্রহসনমূলক রায়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত এনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”

আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ছবি

যাত্রাবাড়ীতে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ শিশুটিও মারা গেল

ছবি

‘স্বামীর’ অঙ্গ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার নারী থানায় বিষপান করে মারা গেলেন

ছবি

পুরান ঢাকায় হত্যাকাণ্ড ও অস্ত্র মামলায় মহিন ও রবিনের রিমান্ড

ছবি

ভারত ও বাংলাদেশ অভিন্ন বৌদ্ধ ঐতিহ্যের অধিকারী : প্রণয় ভার্মা

ছবি

শাহজালাল বিমানবন্দরে নেপালগামী ফ্লাইটে বোমার ভুয়া খবর, আতঙ্কের পর স্বাভাবিক উড্ডয়ন

ছবি

সূত্রাপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৫ জন

ছবি

লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের হাতে নির্যাতিত দুই প্রবাসী, মুক্তিপণে গ্রেপ্তার দুইজন

ছবি

সংখ্যালঘুদের বাদ রেখে সংস্কার কার্যক্রম, সবচেয়ে হতাশাজনক’ — নির্মল রোজারিও

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্লাসে ফেরার নির্দেশ, হোস্টেলও খুলছে ১১ জুলাই

ছবি

দ্বিতীয় ধাপের টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ আহতরা, রোববার দেওয়ার আশ্বাস

ছবি

বৃষ্টি-জলে রাজধানীতে ভোগান্তি, জলাবদ্ধতা ঠেকাতে সতর্ক সিটি করপোরেশন

ছবি

গাজীপুরে ভবনের ছাদে পোল্ট্রি খামার: পরিবেশ দূষণের দায়ে দন্ড

ছবি

ডিপজলের বিরুদ্ধে নারীকে নির্যাতন ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ

যাত্রাবাড়ীতে বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে ডাকাতি, স্বামীর মৃত্যু

ছবি

রাজস্ব আহরণে স্থবিরতা কাটাতে কর্মীদের অভয় দিলেন আবদুর রহমান খান

ছবি

হাইকোর্টের বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থানান্তরের উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন

ছবি

তিন দাবিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও ইউনানী শিক্ষার্থীদের

ছবি

কাউকে না জানিয়ে কুয়াকাটায় যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা ভোরে বাসায় ফিরলেন

ছবি

খিলক্ষেতে কভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত

ছবি

জুমার নামাজের কথা বলে বেরিয়ে আর ফেরেননি ব্যাংক কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান

ছবি

নতুন আতঙ্ক ‘মব সন্ত্রাস’, বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে: বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা

ছবি

বনানীতে হোটেলে নারীদের ওপর হামলা, নেতৃত্বে যুবদল নেতা—ভিডিও ভাইরাল

ছবি

বিদেশে নারী পাচারে জালিয়াতি, বিএমইটির কর্মকর্তাসহ ৯ জনের নামে দুদকের মামলা

ছবি

মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িত টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা

ছবি

আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতি, তাজিয়া মিছিলে কঠোর নজরদারি

ছবি

তেজগাঁওয়ে ছিনতাইয়ের নাটক: মানি এক্সচেঞ্জকর্মীসহ গ্রেপ্তার ৬

ছবি

হাটখোলায় রাসায়নিক গুদামে আগুন, ২ ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

ছবি

ডিউটি না করায় ডিআইজি, ডিসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ছবি

ঢাকায় প্রবাসী মনির ও পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা, সন্দেহে আত্মীয় গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ওয়ার্ড নেতার মৃত্যু

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের পথচলা শুরু

ছবি

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলো আহমেদ আকবর সোবহানকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মোড়

ছবি

‘শাটডাউন’ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে এনবিআর সেবা অপরিহার্য ঘোষণা

ছবি

এক রাতেই ঢাকার সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

ছবি

অবাঞ্ছিত ঘোষণার মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়িত্বে, চলছে আন্দোলন

tab

নগর-মহানগর

একুশে আগস্ট মামলায় আসামিদের খালাস, আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের সবাই খালাস পাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।

রোববার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামিকে সংবিধান, আইন ও বিচারিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।”

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। বিচারিক আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।

তবে সম্প্রতি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের ত্রুটি উল্লেখ করে তাদের খালাস দেয়। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মুফতি আব্দুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে গৃহীত সম্পূরক অভিযোগপত্র ‘অবৈধ’ ছিল এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতি থাকায় সাজা বহাল রাখা সম্ভব হয়নি।

আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই রায় সংবিধানের ওপর আঘাত হেনেছে। ২১ আগস্টের হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। বিচারিক আদালত দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচারিক রীতি মেনে আসামিদের দোষ প্রমাণ করেছিল। অথচ এই বেঞ্চ বেআইনিভাবে বিচারপ্রক্রিয়া নাকচ করেছে।”

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “এটি প্রহসনমূলক রায়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত এনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”

আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

back to top