দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের সবাই খালাস পাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।
রোববার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামিকে সংবিধান, আইন ও বিচারিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। বিচারিক আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।
তবে সম্প্রতি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের ত্রুটি উল্লেখ করে তাদের খালাস দেয়। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মুফতি আব্দুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে গৃহীত সম্পূরক অভিযোগপত্র ‘অবৈধ’ ছিল এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতি থাকায় সাজা বহাল রাখা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই রায় সংবিধানের ওপর আঘাত হেনেছে। ২১ আগস্টের হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। বিচারিক আদালত দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচারিক রীতি মেনে আসামিদের দোষ প্রমাণ করেছিল। অথচ এই বেঞ্চ বেআইনিভাবে বিচারপ্রক্রিয়া নাকচ করেছে।”
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “এটি প্রহসনমূলক রায়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত এনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”
আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে আসামিদের সবাই খালাস পাওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দলটি।
রোববার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ বলেছে, “একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সকল আসামিকে সংবিধান, আইন ও বিচারিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে খালাস দেওয়া হয়েছে। এটি গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।”
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। বিচারিক আদালত ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল।
তবে সম্প্রতি হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ অভিযোগ গঠনের ত্রুটি উল্লেখ করে তাদের খালাস দেয়। পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, মুফতি আব্দুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে গৃহীত সম্পূরক অভিযোগপত্র ‘অবৈধ’ ছিল এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ঘাটতি থাকায় সাজা বহাল রাখা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই রায় সংবিধানের ওপর আঘাত হেনেছে। ২১ আগস্টের হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র। বিচারিক আদালত দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচারিক রীতি মেনে আসামিদের দোষ প্রমাণ করেছিল। অথচ এই বেঞ্চ বেআইনিভাবে বিচারপ্রক্রিয়া নাকচ করেছে।”
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, “এটি প্রহসনমূলক রায়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি স্পষ্ট। বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত এনে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে।”
আওয়ামী লীগ সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।