বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে টাকা জমা রেখে মুনাফা পাওয়ার আশায় হাজারো গ্রাহক এখন দিশেহারা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্দিন প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন।
নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও বগুড়ার প্রায় ৫ হাজার গ্রাহক এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে গৃহকর্মী, দিনমজুর, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ভ্যানচালকের স্ত্রীও রয়েছেন। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, প্রথমে তারা নিয়মিত মুনাফা পেলেও গত জুলাই থেকে মুনাফা বা মূলধন কিছুই ফেরত পাচ্ছেন না।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শত শত ভুক্তভোগী গ্রাহক প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই কর্মসূচি চলাকালে তারা নির্বাহী পরিচালকের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
গ্রাহকরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ঋণদান কার্যক্রম ও উচ্চ মুনাফার প্রলোভনে আমানত সংগ্রহ করে। শুরুর দিকে আমানতের বিপরীতে নিয়মিত মুনাফা দিলেও এ বছরের মাঝামাঝি থেকে টালবাহানা শুরু হয়। গত ১২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ করে নির্বাহী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়ে যান।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি সমবায় অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) সনদও ছিল না।
প্রতারণার অভিযোগে গ্রাহকরা এরই মধ্যে থানায় ও আদালতে মামলা করেছেন। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্দিনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ভুক্তভোগী জাহানারা বেগম জানান, দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তিনি প্রথমে মাসে চার হাজার টাকা মুনাফা পেলেও এখন কিছুই পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, প্রবাসী সন্তানদের পাঠানো ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক জনাব উদ্দিনও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গ্রাহকরা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪
বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনে টাকা জমা রেখে মুনাফা পাওয়ার আশায় হাজারো গ্রাহক এখন দিশেহারা। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্দিন প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ পালিয়ে গেছেন।
নওগাঁ, জয়পুরহাট, রাজশাহী ও বগুড়ার প্রায় ৫ হাজার গ্রাহক এ প্রতিষ্ঠানের সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে গৃহকর্মী, দিনমজুর, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ভ্যানচালকের স্ত্রীও রয়েছেন। গ্রাহকরা জানিয়েছেন, প্রথমে তারা নিয়মিত মুনাফা পেলেও গত জুলাই থেকে মুনাফা বা মূলধন কিছুই ফেরত পাচ্ছেন না।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে শত শত ভুক্তভোগী গ্রাহক প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার এই কর্মসূচি চলাকালে তারা নির্বাহী পরিচালকের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
গ্রাহকরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ঋণদান কার্যক্রম ও উচ্চ মুনাফার প্রলোভনে আমানত সংগ্রহ করে। শুরুর দিকে আমানতের বিপরীতে নিয়মিত মুনাফা দিলেও এ বছরের মাঝামাঝি থেকে টালবাহানা শুরু হয়। গত ১২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম বন্ধ করে নির্বাহী পরিচালকসহ কর্মকর্তারা লাপাত্তা হয়ে যান।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি সমবায় অধিদপ্তর ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন ছাড়াই কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তাদের মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) সনদও ছিল না।
প্রতারণার অভিযোগে গ্রাহকরা এরই মধ্যে থানায় ও আদালতে মামলা করেছেন। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে নির্বাহী পরিচালক নাজিম উদ্দিনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
ভুক্তভোগী জাহানারা বেগম জানান, দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তিনি প্রথমে মাসে চার হাজার টাকা মুনাফা পেলেও এখন কিছুই পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, প্রবাসী সন্তানদের পাঠানো ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে গ্রাহক জনাব উদ্দিনও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গ্রাহকরা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।