বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো এবং গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, "শিক্ষা সবার অধিকার, বাণিজ্যের পণ্য নয়! বর্তমান ভর্তি প্রক্রিয়ায় উচ্চ ফি, যাতায়াত ও থাকার খরচ শিক্ষার্থীদের জন্য চরম আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে টাকার অঙ্কের ওপর।"
সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে এবং অন্যান্য সরকারি চাকরির আবেদনের ফিও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কমানোর আহ্বান জানান, যদিও নির্দিষ্ট কোনো ফি নির্ধারণের প্রস্তাব তিনি দেননি।
বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি বেশ বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটপ্রতি ফি ১০৫০ টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০০ টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ টাকা, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত আবেদন ফি ১৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০০ টাকা।
গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "মেধার মূল্যায়নের পরিবর্তে বৈষম্যের দেয়াল তৈরি করছে এই ব্যবস্থা। উচ্চশিক্ষা কি কেবল ধনীদের জন্য?" তিনি দাবি করেন, গুচ্ছ পদ্ধতি চালু থাকলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমবে।
উল্লেখ্য, দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করলেও এবার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতি থেকে সরে যাচ্ছে।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো এবং গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। শনিবার ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, "শিক্ষা সবার অধিকার, বাণিজ্যের পণ্য নয়! বর্তমান ভর্তি প্রক্রিয়ায় উচ্চ ফি, যাতায়াত ও থাকার খরচ শিক্ষার্থীদের জন্য চরম আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে টাকার অঙ্কের ওপর।"
সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষার ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে এবং অন্যান্য সরকারি চাকরির আবেদনের ফিও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি কমানোর আহ্বান জানান, যদিও নির্দিষ্ট কোনো ফি নির্ধারণের প্রস্তাব তিনি দেননি।
বর্তমানে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি বেশ বেড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটপ্রতি ফি ১০৫০ টাকা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০০ টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০০ টাকা, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত আবেদন ফি ১৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতিতে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৫০০ টাকা।
গুচ্ছ পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "মেধার মূল্যায়নের পরিবর্তে বৈষম্যের দেয়াল তৈরি করছে এই ব্যবস্থা। উচ্চশিক্ষা কি কেবল ধনীদের জন্য?" তিনি দাবি করেন, গুচ্ছ পদ্ধতি চালু থাকলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমবে।
উল্লেখ্য, দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আলাদাভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করলেও এবার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতি থেকে সরে যাচ্ছে।