ভারতের অবস্থা এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি এ সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, “আমরা ভারতীয় তাবেদারি দূর করেছি, কিন্তু বর্তমানে আরেকটি বৃহত্তর শক্তি একই পথে হাঁটছে। যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চায়, তাদের ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে হবে।”
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, “ভারতের বেঙ্গালুরুতে আমাদের বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে এসে এমন বর্বর ঘটনা কেবল ভারতের মাটিতেই সম্ভব।” তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এমন একটি দেশে যেখানে নারীদের, সংখ্যালঘুদের এবং অন্য দেশের হাই কমিশনের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে অবিলম্বে জাতিসংঘ থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত।”
মইনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে যে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তাকে ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই ভারতের তাবেদারি করতে দেব না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “ভারতীয় আগ্রাসনবাদীরা যদি মনে করে যে, ফ্যাসিস্ট আমলের বিচারহীনতার কালচার এখনো রয়েছে, তাহলে তারা বড় ভুল করছে। ভারতকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিতে চাই, পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে তাদের ভাবতে হবে। এ ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুত বিচার করতে হবে।”
বাংলাদেশি নারী হত্যা: পুলিশের তদন্ত ও ঘটনার বিবরণ
ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছ থেকে ২৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারী বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনগুলো বিষয়টি নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছে। তারা ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন যে, কোনো ধরনের আধিপত্য বিস্তার করলে বাংলাদেশ কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। তারা সতর্ক করে বলেছেন, ভারতকে তার আচরণ পরিবর্তন করতে হবে এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতের অবস্থা এবং বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান দাবি
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি নারীর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি এ সময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির তুলনা করে বলেন, “আমরা ভারতীয় তাবেদারি দূর করেছি, কিন্তু বর্তমানে আরেকটি বৃহত্তর শক্তি একই পথে হাঁটছে। যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চায়, তাদের ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে হবে।”
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, “ভারতের বেঙ্গালুরুতে আমাদের বোনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ২০২৫ সালে এসে এমন বর্বর ঘটনা কেবল ভারতের মাটিতেই সম্ভব।” তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এমন একটি দেশে যেখানে নারীদের, সংখ্যালঘুদের এবং অন্য দেশের হাই কমিশনের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি, সেখানে অবিলম্বে জাতিসংঘ থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত।”
মইনুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে যে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তাকে ঢাকাকেন্দ্রিক রাজনীতি করতে হবে। আমরা কোনোভাবেই ভারতের তাবেদারি করতে দেব না।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, “ভারতীয় আগ্রাসনবাদীরা যদি মনে করে যে, ফ্যাসিস্ট আমলের বিচারহীনতার কালচার এখনো রয়েছে, তাহলে তারা বড় ভুল করছে। ভারতকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিতে চাই, পরবর্তীতে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে তাদের ভাবতে হবে। এ ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুত বিচার করতে হবে।”
বাংলাদেশি নারী হত্যা: পুলিশের তদন্ত ও ঘটনার বিবরণ
ভারতীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি নগরের কেলকেরে লেকের কাছ থেকে ২৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারী বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ভারতীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনগুলো বিষয়টি নিয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছে। তারা ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অপরাধের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া, আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন যে, কোনো ধরনের আধিপত্য বিস্তার করলে বাংলাদেশ কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না। তারা সতর্ক করে বলেছেন, ভারতকে তার আচরণ পরিবর্তন করতে হবে এবং দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।