বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি তাদের দাবির প্রতি অনড় অবস্থান জানিয়েছে। রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল ঢাকা শাখার সভাপতি নাজমুল হাসান অপু। তিনি জানান, “দাবি যৌক্তিক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করছি। ৯০টির মতো মিটিং হলেও সমাধান হয়নি। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি চলবে, তবে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।”
সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে ঢাকার কমলাপুরসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বড় শহরগুলো থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মধ্যরাতের পর কমলাপুর থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। যদিও রাত ১২টার আগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো মঙ্গলবার সকালে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
কর্মবিরতির কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়ে নাজমুল হাসান অপু বলেন, “আমরা জনগণকে কষ্ট দিতে চাই না। তবে আমাদের রুটি-রুজির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন বলেন, “আমাদের কর্মসূচি চলবে যতক্ষণ না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নেয়।”
অন্যদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অর্থ বিভাগের হাতে বিষয়টি রয়েছে। আমরা রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সবসময় প্রস্তুত।”
কর্মবিরতির কারণে যাত্রীদের টিকিট ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল বিভাগ। তবে দাবি মেনে নিলে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি তাদের দাবির প্রতি অনড় অবস্থান জানিয়েছে। রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধার সঙ্গে যুক্ত করার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল ঢাকা শাখার সভাপতি নাজমুল হাসান অপু। তিনি জানান, “দাবি যৌক্তিক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করছি। ৯০টির মতো মিটিং হলেও সমাধান হয়নি। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি চলবে, তবে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।”
সোমবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির ফলে ঢাকার কমলাপুরসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বড় শহরগুলো থেকে কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মধ্যরাতের পর কমলাপুর থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। যদিও রাত ১২টার আগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো মঙ্গলবার সকালে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
কর্মবিরতির কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়ে নাজমুল হাসান অপু বলেন, “আমরা জনগণকে কষ্ট দিতে চাই না। তবে আমাদের রুটি-রুজির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।”
রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন বলেন, “আমাদের কর্মসূচি চলবে যতক্ষণ না ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নেয়।”
অন্যদিকে, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অর্থ বিভাগের হাতে বিষয়টি রয়েছে। আমরা রানিং স্টাফদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য সবসময় প্রস্তুত।”
কর্মবিরতির কারণে যাত্রীদের টিকিট ফেরতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল বিভাগ। তবে দাবি মেনে নিলে দ্রুত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।