রেলের রানিং স্টাফদের দাবির প্রেক্ষিতে চলমান কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আন্দোলনরতদের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি, তবে ‘পরোক্ষ যোগাযোগ’ হচ্ছে। তিনি বলেন, “আলোচনার দরজা খোলা আছে। যে কোনো সময় তারা এলে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।”
রানিং স্টাফদের মাইলেজ অ্যালাউন্স ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহালের দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে এবং আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা:
বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের নেতারা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলবে। তারা আলোচনায় বসতে রাজি থাকলেও নিজেদের অবস্থানে অনড়।
যাত্রীদের দুর্ভোগ:
সোমবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ট্রেন চলাচল না করায় স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বিকল্প পরিবহনের জন্য হিমশিম খাচ্ছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
রানিং স্টাফদের দাবি:
গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, টিটিইসহ রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে মাইলেজ ও অতিরিক্ত সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই সুবিধাগুলো বাতিল করায় তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর আগে তারা অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন ও পেনশনে বিশেষ সুবিধা পেতেন।
ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যাত্রীদের জন্য বিকল্প বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেলের সচিব বলেন, “রানিং স্টাফদের দাবি যৌক্তিক মনে করেই আমরা আগেও কিছু সুবিধা পুনর্বহাল করেছি। আলোচনা চলমান রয়েছে এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
সরকার ও রানিং স্টাফদের আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এই অচলাবস্থা নিরসনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
রেলের রানিং স্টাফদের দাবির প্রেক্ষিতে চলমান কর্মবিরতির কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আন্দোলনরতদের সঙ্গে সরাসরি কোনো আলোচনা হয়নি, তবে ‘পরোক্ষ যোগাযোগ’ হচ্ছে। তিনি বলেন, “আলোচনার দরজা খোলা আছে। যে কোনো সময় তারা এলে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।”
রানিং স্টাফদের মাইলেজ অ্যালাউন্স ও অন্যান্য সুবিধা পুনর্বহালের দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। সচিব জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে এবং আলোচনার সুযোগ রয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসলে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হতে পারে।
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা:
বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিলের নেতারা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে কর্মবিরতি চলবে। তারা আলোচনায় বসতে রাজি থাকলেও নিজেদের অবস্থানে অনড়।
যাত্রীদের দুর্ভোগ:
সোমবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ট্রেন চলাচল না করায় স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বিকল্প পরিবহনের জন্য হিমশিম খাচ্ছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রা বাতিল হওয়া ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
রানিং স্টাফদের দাবি:
গার্ড, লোকোমাস্টার, সহকারী লোকোমাস্টার, টিটিইসহ রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে মাইলেজ ও অতিরিক্ত সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের মতে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এই সুবিধাগুলো বাতিল করায় তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর আগে তারা অতিরিক্ত কাজের জন্য বেতন ও পেনশনে বিশেষ সুবিধা পেতেন।
ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীরা বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, যাত্রীদের জন্য বিকল্প বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রেলের সচিব বলেন, “রানিং স্টাফদের দাবি যৌক্তিক মনে করেই আমরা আগেও কিছু সুবিধা পুনর্বহাল করেছি। আলোচনা চলমান রয়েছে এবং সমাধানের চেষ্টা চলছে।”
সরকার ও রানিং স্টাফদের আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এই অচলাবস্থা নিরসনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।