alt

নগর-মহানগর

পিলখানা হত্যাঃ ‘প্রকৃত খুনীদের’ আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নতুন আন্দোলনের আহ্বান: তদন্তের প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/29Jan25/news/press-conference-bdr-family-290125-005-1738163234.jpg

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/29Jan25/news/press-conference-bdr-family-290125-002-1738163365.jpg

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ড, যেখানে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জঘন্য ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা এই ঘটনার পুনরায় তদন্তের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার দায়ভার ভারতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে, যাতে প্রকৃত খুনীরা আড়াল হয়ে যায়।

বুধবার, রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিহত কর্মকর্তাদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, “বিডিআর জওয়ানরা সেদিন খুন করার পর উল্লাস করেছে, লাশ বিকৃত করেছে, অফিসারদের পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের বাসস্থানে ধ্বংসযজ্ঞ-লুটপাট করেছে। কিন্তু এখন সেই ঘটনাগুলোকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

এছাড়া, তারা গঠন করা নতুন তদন্ত কমিশনের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “খুনীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যদের জামিনে মুক্তির আবেদন শুরু হয়েছে। একে তাঁরা হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা বলছেন।”

এ ব্যাপারে সাকিব রহমান, নিহত কর্নেল কুদরত এলাহির ছেলে, বলেন, “এত বড় খুনের ঘটনা ঘটানোর পর ন্যারেটিভ চেঞ্জ করা আমাদের কাছে মানা হবে না। আমরা চাই জনগণ এবং মিডিয়া নিজেদের বিচার করুক।” তিনি আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে, আমরা কি খুনীদের জন্য নিরপরাধ হিসেবে গণ্য করব?"

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, “এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে যাদের ইন্ধন থাকতে পারে, তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হোক, কিন্তু যারা সরাসরি খুন করেছে, তাদের মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

এদিকে, নিহত লে. কর্নেল ডা. লুৎফুর রহমান খানের মেয়ে ডা. সাবিহা বুশরা প্রমি বলেন, "আমরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম, তা কথা দিয়ে বোঝানো যাবে না। আমাদের কপালে কখনোই এমন নির্যাতন আর সহ্য করা হয়নি। এর মধ্যে তাদের উল্লাস, তাদের বেহায়াপনা ছিল।" তিনি আরও বলেন, “আমার বাবাকে ৩২ জনের গণকবরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল দুদিন পর। তার মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।”

অন্যদিকে, নিহত মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, “আমার বাবা একমাত্র যিনি হত্যাকাণ্ডে বাধা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। যারা হত্যা করেছে তারা শুধু খুনই করেনি, তাদের লাশ বিকৃতও করেছে।”

তারা আরও বলেন, “সেদিন যারা আমাদের কাছ থেকে নিরীহভাবে জীবন বাঁচাতে সাহায্য চাইছিল, আজ তাদেরকেই নিরাপরাধ বলে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

এ সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, সেদিন যারা সেনা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের অধিকাংশ এখনও বিচারের আওতায় আসেনি। এবং এখন নতুনভাবে তারা নিরাপরাধ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছেন।

নিহত লে. কর্নেল শামসুল আরেফিনের স্ত্রী মুনমুন আখতার বলেন, “আমরা শুধু নিজেদের বাবার হত্যার বিচার চাই না, আমাদের দাবি যে, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে। তাদের মুক্তি চেয়ে যারা দাবি জানাচ্ছে, তাদের দাবি আমরা মেনে নেব না।”

এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা দেশবাসীকে জানান, তাদের চাহিদা একটাই – বিচার এবং খুনীদের শাস্তি।

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের এক ঘণ্টা অবস্থান

ছবি

বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

প্রকৌশলী আফসারের মৃত্যু: ডা. স্বপ্নীলের নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশ, ল্যাবএইডের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ছবি

বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম বিষয়ে তদন্ত কমিটি করবে ডিএসসিসি

ছবি

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সাথে ভিওন প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

শাহবাগে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ গঠন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ছবি

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে অচলাবস্থা, আলোচনার দরজা খোলা

ছবি

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে রেলওয়ের স্টাফরা

ছবি

পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

ছবি

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

ছবি

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের

ছবি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নরের ‘কতল’ বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক, দুঃখ প্রকাশ

ছবি

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা, ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ছবি

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

ছবি

মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘ওবিআর লঞ্চিং সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলা একাডেমিতে সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ: পুরস্কার স্থগিত নিয়ে বিতর্ক

ছবি

চকবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে হামলা: আহত একজন কর্মকর্তা

ছবি

ছাত্রী মেসে ঝুলছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ স্থগিত

ছবি

বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ১ হাজার ২১ জন, গত একদিনে ২১ জন ভর্তি

ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীর ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি

গুলিস্তানের ফুটপাথ থেকে নবজাতক উদ্ধার

ছবি

ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন, এক ঘণ্টার মধ্যে চালু

ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা

ছবি

হাজারীবাগে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৭০ ভরি সোনা ও টাকা লুটের অভিযোগ

ছবি

ছুটির দিনেও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বায়ু

ছবি

বাংলাবাজারে ১০ হাজার সরকারি পাঠ্যবইসহ গ্রেপ্তার ২

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছে ঝুলন্ত লাশের পরিচয় মিলেছে

ছবি

সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা ও রিমান্ড

ছবি

চার দফা দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি

উত্তরা থানার সাবেক ওসি শাহ আলম পালিয়েছেন: দেশত্যাগের শঙ্কা পুলিশের

ছবি

মেনিনজাইটিস টিকা না পেয়ে বিদেশগামীদের বিক্ষোভ, পান্থপথে অবরোধে ভোগান্তি

ছবি

২৪৬ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

ছবি

তেজগাঁয়ে রেলেওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

tab

নগর-মহানগর

পিলখানা হত্যাঃ ‘প্রকৃত খুনীদের’ আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নতুন আন্দোলনের আহ্বান: তদন্তের প্রতিবাদ ও ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/29Jan25/news/press-conference-bdr-family-290125-005-1738163234.jpg

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/29Jan25/news/press-conference-bdr-family-290125-002-1738163365.jpg

২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ড, যেখানে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি জঘন্য ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এ হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা এই ঘটনার পুনরায় তদন্তের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার দায়ভার ভারতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে, যাতে প্রকৃত খুনীরা আড়াল হয়ে যায়।

বুধবার, রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিহত কর্মকর্তাদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, “বিডিআর জওয়ানরা সেদিন খুন করার পর উল্লাস করেছে, লাশ বিকৃত করেছে, অফিসারদের পরিবারের সদস্যদের বন্দি করে নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের বাসস্থানে ধ্বংসযজ্ঞ-লুটপাট করেছে। কিন্তু এখন সেই ঘটনাগুলোকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

এছাড়া, তারা গঠন করা নতুন তদন্ত কমিশনের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “খুনীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত বিডিআর সদস্যদের জামিনে মুক্তির আবেদন শুরু হয়েছে। একে তাঁরা হত্যাকারীদের পক্ষ থেকে নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা বলছেন।”

এ ব্যাপারে সাকিব রহমান, নিহত কর্নেল কুদরত এলাহির ছেলে, বলেন, “এত বড় খুনের ঘটনা ঘটানোর পর ন্যারেটিভ চেঞ্জ করা আমাদের কাছে মানা হবে না। আমরা চাই জনগণ এবং মিডিয়া নিজেদের বিচার করুক।” তিনি আরও বলেন, "এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা সরাসরি জড়িত ছিল, তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলে, আমরা কি খুনীদের জন্য নিরপরাধ হিসেবে গণ্য করব?"

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা একই সঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, “এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে যাদের ইন্ধন থাকতে পারে, তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হোক, কিন্তু যারা সরাসরি খুন করেছে, তাদের মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

এদিকে, নিহত লে. কর্নেল ডা. লুৎফুর রহমান খানের মেয়ে ডা. সাবিহা বুশরা প্রমি বলেন, "আমরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম, তা কথা দিয়ে বোঝানো যাবে না। আমাদের কপালে কখনোই এমন নির্যাতন আর সহ্য করা হয়নি। এর মধ্যে তাদের উল্লাস, তাদের বেহায়াপনা ছিল।" তিনি আরও বলেন, “আমার বাবাকে ৩২ জনের গণকবরে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল দুদিন পর। তার মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।”

অন্যদিকে, নিহত মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, “আমার বাবা একমাত্র যিনি হত্যাকাণ্ডে বাধা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। যারা হত্যা করেছে তারা শুধু খুনই করেনি, তাদের লাশ বিকৃতও করেছে।”

তারা আরও বলেন, “সেদিন যারা আমাদের কাছ থেকে নিরীহভাবে জীবন বাঁচাতে সাহায্য চাইছিল, আজ তাদেরকেই নিরাপরাধ বলে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

এ সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, সেদিন যারা সেনা বাহিনীর সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের অধিকাংশ এখনও বিচারের আওতায় আসেনি। এবং এখন নতুনভাবে তারা নিরাপরাধ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছেন।

নিহত লে. কর্নেল শামসুল আরেফিনের স্ত্রী মুনমুন আখতার বলেন, “আমরা শুধু নিজেদের বাবার হত্যার বিচার চাই না, আমাদের দাবি যে, যাদের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিচার করতে হবে। তাদের মুক্তি চেয়ে যারা দাবি জানাচ্ছে, তাদের দাবি আমরা মেনে নেব না।”

এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিহতদের পরিবার এবং বেঁচে ফেরা কর্মকর্তারা দেশবাসীকে জানান, তাদের চাহিদা একটাই – বিচার এবং খুনীদের শাস্তি।

back to top