alt

নগর-মহানগর

শহীদ পরিবারের আহ্বান: "আমরা আর পারছি না, আমাদের পাশে দাঁড়ান"

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বীকৃতি ও বিচারের দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছেন, অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অথচ সরকার তাঁদের পুনর্বাসনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, ৩ ফেব্রির মধ্যে সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে না বসলে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে একজন বীথি খাতুন, যাঁর স্বামী হাফিজুর রহমান ৫ আগস্ট আগারগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ১৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বীথি খাতুন বলেন, "শহীদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।"

যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, "ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি, কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি।"

৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহীনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ কোনো আসামিকে ধরা হচ্ছে না।"

শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান বলেন, "এই সরকার তো আমাদের সরকার, অথচ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। শহীদদের রক্তের ওপর এই সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের উচিত পরিবারগুলোর ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।"

পটুয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বাবা মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, "আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই কি তার অপরাধ? সরকার হত্যার বিচার ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।"

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান। তিনি বলেন, "শহীদ পরিবারের অনেকের বাচ্চার দুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সরকার কেন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?"

নিহত মো. সোহাগের স্ত্রী রীমা আক্তার বলেন, "আমরা আর পারছি না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কেন আমাদের দাবির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে?"

শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ে দ্রুত সরকারি উদ্যোগের আহ্বান জানান এবং বলেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

ছবি

সুচিকিৎসার দাবিতে আহতদের আবারও সড়ক অবরোধ

ছবি

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চতুর্থ দিনের অনশন

ছবি

খিলগাঁওয়ে মায়ের হাতে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু

ছবি

নবজীবনে পদার্পণ: সারজিস আলমের বিয়ে, সহকর্মীদের শুভেচ্ছা

ছবি

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ: বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে চলমান আন্দোলন

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও চলছে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের অনশন

ছবি

ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ‘কমনওয়েলথ স্কলার্স ওয়েলকাম হোম’ উদযাপিত

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

ছবি

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের এক ঘণ্টা অবস্থান

ছবি

বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

পিলখানা হত্যাঃ ‘প্রকৃত খুনীদের’ আড়ালের চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের

ছবি

প্রকৌশলী আফসারের মৃত্যু: ডা. স্বপ্নীলের নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশ, ল্যাবএইডের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

ছবি

বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম বিষয়ে তদন্ত কমিটি করবে ডিএসসিসি

ছবি

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সাথে ভিওন প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি

শাহবাগে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগ গঠন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ছবি

রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে অচলাবস্থা, আলোচনার দরজা খোলা

ছবি

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে রেলওয়ের স্টাফরা

ছবি

পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

ছবি

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

ছবি

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের

ছবি

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নরের ‘কতল’ বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক, দুঃখ প্রকাশ

ছবি

শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা, ৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

ছবি

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধে রাজধানীতে তীব্র যানজট

ছবি

মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘ওবিআর লঞ্চিং সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলা একাডেমিতে সংস্কার দাবিতে বিক্ষোভ: পুরস্কার স্থগিত নিয়ে বিতর্ক

ছবি

চকবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে হামলা: আহত একজন কর্মকর্তা

ছবি

ছাত্রী মেসে ঝুলছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪ স্থগিত

ছবি

বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ১ হাজার ২১ জন, গত একদিনে ২১ জন ভর্তি

ছবি

ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীর ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি

গুলিস্তানের ফুটপাথ থেকে নবজাতক উদ্ধার

ছবি

ঢাকায় মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন, এক ঘণ্টার মধ্যে চালু

ব্যবসায়ীকে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা

ছবি

হাজারীবাগে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে ৭০ ভরি সোনা ও টাকা লুটের অভিযোগ

ছবি

ছুটির দিনেও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বায়ু

tab

নগর-মহানগর

শহীদ পরিবারের আহ্বান: "আমরা আর পারছি না, আমাদের পাশে দাঁড়ান"

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বীকৃতি ও বিচারের দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছেন, অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অথচ সরকার তাঁদের পুনর্বাসনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, ৩ ফেব্রির মধ্যে সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে না বসলে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে একজন বীথি খাতুন, যাঁর স্বামী হাফিজুর রহমান ৫ আগস্ট আগারগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ১৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বীথি খাতুন বলেন, "শহীদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।"

যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, "ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি, কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি।"

৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহীনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ কোনো আসামিকে ধরা হচ্ছে না।"

শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান বলেন, "এই সরকার তো আমাদের সরকার, অথচ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। শহীদদের রক্তের ওপর এই সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের উচিত পরিবারগুলোর ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।"

পটুয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বাবা মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, "আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই কি তার অপরাধ? সরকার হত্যার বিচার ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।"

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান। তিনি বলেন, "শহীদ পরিবারের অনেকের বাচ্চার দুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সরকার কেন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?"

নিহত মো. সোহাগের স্ত্রী রীমা আক্তার বলেন, "আমরা আর পারছি না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কেন আমাদের দাবির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে?"

শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ে দ্রুত সরকারি উদ্যোগের আহ্বান জানান এবং বলেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

back to top