জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বীকৃতি ও বিচারের দাবি
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছেন, অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অথচ সরকার তাঁদের পুনর্বাসনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, ৩ ফেব্রির মধ্যে সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে না বসলে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে একজন বীথি খাতুন, যাঁর স্বামী হাফিজুর রহমান ৫ আগস্ট আগারগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ১৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বীথি খাতুন বলেন, "শহীদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।"
যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, "ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি, কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি।"
৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহীনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ কোনো আসামিকে ধরা হচ্ছে না।"
শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান বলেন, "এই সরকার তো আমাদের সরকার, অথচ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। শহীদদের রক্তের ওপর এই সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের উচিত পরিবারগুলোর ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।"
পটুয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বাবা মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, "আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই কি তার অপরাধ? সরকার হত্যার বিচার ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।"
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান। তিনি বলেন, "শহীদ পরিবারের অনেকের বাচ্চার দুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সরকার কেন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?"
নিহত মো. সোহাগের স্ত্রী রীমা আক্তার বলেন, "আমরা আর পারছি না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কেন আমাদের দাবির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে?"
শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ে দ্রুত সরকারি উদ্যোগের আহ্বান জানান এবং বলেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বীকৃতি ও বিচারের দাবি
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেছেন, অনেক শহীদ পরিবারের সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অথচ সরকার তাঁদের পুনর্বাসনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখন পর্যন্ত শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি, ৩ ফেব্রির মধ্যে সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে না বসলে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ২০টি শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। তাঁদের মধ্যে একজন বীথি খাতুন, যাঁর স্বামী হাফিজুর রহমান ৫ আগস্ট আগারগাঁওয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ১৬ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বীথি খাতুন বলেন, "শহীদদের পরিবারের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তবে আমাদেরও মেরে ফেলুন। আমাদের এখন বাঁচার কোনো দরকার নাই।"
যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত ইমাম হাসানের ভাই রবিউল আউয়াল বলেন, "ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ছয় মাস ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছি, কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি।"
৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় নিহত সাজ্জাদ হোসেনের মা শাহীনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, অথচ কোনো আসামিকে ধরা হচ্ছে না।"
শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান বলেন, "এই সরকার তো আমাদের সরকার, অথচ আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না। শহীদদের রক্তের ওপর এই সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের উচিত পরিবারগুলোর ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।"
পটুয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসানের বাবা মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, "আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল? সত্য সংবাদ পৌঁছে দেওয়াই কি তার অপরাধ? সরকার হত্যার বিচার ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।"
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিহত শাহরিয়ার হাসান আলভীর বাবা আবুল হাসান। তিনি বলেন, "শহীদ পরিবারের অনেকের বাচ্চার দুধ কেনার মতো সামর্থ্য নেই। সরকার কেন আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?"
নিহত মো. সোহাগের স্ত্রী রীমা আক্তার বলেন, "আমরা আর পারছি না। আমাদের পাশে দাঁড়ান। শহীদ পরিবারের দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। কেন আমাদের দাবির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে?"
শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ে দ্রুত সরকারি উদ্যোগের আহ্বান জানান এবং বলেন, দাবি মানা না হলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।