ভাসমান এক্সক্যাভেটরে উপদেষ্টাদের আনুষ্ঠানিকতা
মিরপুর-১৩ নম্বরে বাউনিয়া খালে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ঢাকার খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রাস্তার পাশের খালে রাখা ভাসমান এক্সক্যাভেটরে ওঠার জন্য লোহার শিট দিয়ে অস্থায়ী পথ তৈরি করা হয়, যার ওপর বিছানো হয় লাল রঙের কার্পেট। এই পথ ধরে উপদেষ্টারা এক্সক্যাভেটরে ওঠেন। এরপর এক্সক্যাভেটর কয়েকবার খাল থেকে মাটি তুলে পাড়ে রাখে, যা খাল সংস্কার কাজের প্রতীকী উদ্বোধন হিসেবে দেখা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধন শেষে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে প্রশ্ন করেন, মেয়রদের অনুষ্ঠানে লালগালিচা না থাকলেও এখানে কেন লালগালিচা ব্যবহার করা হলো। উত্তরে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি খেয়াল করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, এক্সক্যাভেটরে ওঠার পথ কাদা ও ঢালু ছিল এবং এর মেঝে পিচ্ছিল হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য লাল রঙের কার্পেটের মতো ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং চলাচল সহজ করতে একটি ব্যবস্থা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও ন্যায়বিচারের অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করছে এবং কিছু মডেল প্রকল্প রেখে যেতে চায়। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, তবে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ঢাকা ও আশপাশের খাল ও জলাশয় সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রোববার বাউনিয়া খালে ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব হবে এবং খাল সংরক্ষণ করা গেলে শহরের চিত্র বদলে যাবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগে উন্নয়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব ছিল, তবে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতায় কাজ হচ্ছে। তিনি জানান, প্রথমে খাল খনন, এরপর পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় নানা বাধা এলে তা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ভাসমান এক্সক্যাভেটরে উপদেষ্টাদের আনুষ্ঠানিকতা
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মিরপুর-১৩ নম্বরে বাউনিয়া খালে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ঢাকার খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
রাস্তার পাশের খালে রাখা ভাসমান এক্সক্যাভেটরে ওঠার জন্য লোহার শিট দিয়ে অস্থায়ী পথ তৈরি করা হয়, যার ওপর বিছানো হয় লাল রঙের কার্পেট। এই পথ ধরে উপদেষ্টারা এক্সক্যাভেটরে ওঠেন। এরপর এক্সক্যাভেটর কয়েকবার খাল থেকে মাটি তুলে পাড়ে রাখে, যা খাল সংস্কার কাজের প্রতীকী উদ্বোধন হিসেবে দেখা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উদ্বোধন শেষে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে প্রশ্ন করেন, মেয়রদের অনুষ্ঠানে লালগালিচা না থাকলেও এখানে কেন লালগালিচা ব্যবহার করা হলো। উত্তরে তিনি বলেন, তিনি বিষয়টি খেয়াল করেননি।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, এক্সক্যাভেটরে ওঠার পথ কাদা ও ঢালু ছিল এবং এর মেঝে পিচ্ছিল হওয়ায় নিরাপত্তার জন্য লাল রঙের কার্পেটের মতো ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং চলাচল সহজ করতে একটি ব্যবস্থা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও ন্যায়বিচারের অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করছে এবং কিছু মডেল প্রকল্প রেখে যেতে চায়। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়, তবে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ঢাকা ও আশপাশের খাল ও জলাশয় সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রোববার বাউনিয়া খালে ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ব্লু নেটওয়ার্ক’ তৈরির মাধ্যমে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব হবে এবং খাল সংরক্ষণ করা গেলে শহরের চিত্র বদলে যাবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগে উন্নয়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের অভাব ছিল, তবে এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতায় কাজ হচ্ছে। তিনি জানান, প্রথমে খাল খনন, এরপর পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় নানা বাধা এলে তা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।