ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী মঙ্গলবারের হরতাল মোকাবিলায় পুলিশকে প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এছাড়া, তেজগাঁও উপকমিশনার কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমাদের ডিপার্টমেন্ট সব প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। আপনারা চিন্তা করবেন না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।" তিনি আশ্বস্ত করেন যে, পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে অতীতে সফলভাবে কাজ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে, আওয়ামী লীগের ফেইসবুকভিত্তিক কর্মসূচি সম্পর্কে ঢাকা পুলিশ কমিশনার বলেন, "ফেইসবুকে এমন কর্মসূচি আগেও ঘোষণা করা হয়েছে। মিডিয়ার যুগে এসব প্রকাশ্যে আসতে পারে, তবে আমরা সতর্ক আছি।" তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি মোকাবিলায় পুলিশ সফল ছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কোনো অসুবিধা হবে না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, "ঢাকার শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে এবং আমরা এই ধরনের পরিস্থিতি আগেও মোকাবিলা করেছি। শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।" তিনি আরও বলেন, "কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না এবং পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।"
এছাড়া, তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাজের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এটি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।" তার মতে, জনগণকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ পুলিশ প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম।
ঢাকা পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, অপারেশন ডেভিল হান্টের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, "এই অভিযানে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।" অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বৃহৎ অভিযান ছিল, যার মাধ্যমে ঢাকা শহরের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
কমিশনার বলেন, "এই অভিযানের ফলস্বরূপ, রাজধানী ঢাকা শহরের অপরাধ প্রবণতা কিছুটা কমেছে।" তিনি আশাবাদী যে, এই ধরনের অভিযানগুলো ভবিষ্যতেও অপরাধ কমাতে সহায়ক হবে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বর্তমানে সড়কে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলছে, যা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করছে। তিনি জানান, "এই ধরনের আন্দোলনে অনেক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।" তিনি এসব আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা দাবি-দাওয়ার জন্য রাস্তা ব্যবহার করবেন না। দাবির সমাধান টেবিল আলোচনা করেই সম্ভব।"
তিনি আরও বলেন, "যখন মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে, তখন ট্রাফিক সিস্টেম থেমে যায়, যা সাধারণ জনগণের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করেছি এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য।"
পুলিশ কমিশনারের মতে, রাস্তায় বসে দাবি আদায়ের চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমাধান করা অনেক কার্যকরী হবে। তিনি বলেন, "এটা খুবই মর্মান্তিক যে, দাবি আদায়ে মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে ঢাকাবাসীকে কষ্ট দেওয়া হয়।"
ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পর, পুলিশ কমিশনার বলেন, "এই এলাকাগুলিতে নতুন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেগুলির সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিদিন ব্লক রেইড পরিচালিত হচ্ছে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে যাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা, শ্যামলীসহ অন্যান্য এলাকাগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পুলিশ, ডিবি এবং র্যাবকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে সেখানে টহল জোরদার করার জন্য। কমিশনার আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পুলিশ কমিশনার তেজগাঁও উপকমিশনার কার্যালয়ের পুনঃউদ্বোধন উপলক্ষে তার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, "এই কার্যালয়ে আমি দুই বছর কাজ করেছি এবং সে সময় এখানকার অপরাধ পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল। তাছাড়া এখানে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী বিচরণ করত।"
তিনি আরও জানান, গত বছর অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই কার্যালয়টি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে, কার্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং এখন এটি পুলিশের কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
সাজ্জাত আলী বলেন, "এই এলাকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমানে এখানকার অপরাধ পরিস্থিতি অনেক ভালো।" তিনি আরো বলেন, "এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সন্ত্রাসী চক্রগুলোকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে।"
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সজাগ অবস্থান এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন। হরতাল মোকাবিলা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং সড়কে আন্দোলনকারীদের কার্যক্রম সম্পর্কিত পুলিশ কমিশনারের মন্তব্য শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী মঙ্গলবারের হরতাল মোকাবিলায় পুলিশকে প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ বিভাগ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
এছাড়া, তেজগাঁও উপকমিশনার কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "আমাদের ডিপার্টমেন্ট সব প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। আপনারা চিন্তা করবেন না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।" তিনি আশ্বস্ত করেন যে, পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে অতীতে সফলভাবে কাজ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে, আওয়ামী লীগের ফেইসবুকভিত্তিক কর্মসূচি সম্পর্কে ঢাকা পুলিশ কমিশনার বলেন, "ফেইসবুকে এমন কর্মসূচি আগেও ঘোষণা করা হয়েছে। মিডিয়ার যুগে এসব প্রকাশ্যে আসতে পারে, তবে আমরা সতর্ক আছি।" তিনি উল্লেখ করেন, গত দেড় মাসে বিভিন্ন কর্মসূচি মোকাবিলায় পুলিশ সফল ছিল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কোনো অসুবিধা হবে না।
পুলিশ কমিশনার বলেন, "ঢাকার শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে এবং আমরা এই ধরনের পরিস্থিতি আগেও মোকাবিলা করেছি। শহরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।" তিনি আরও বলেন, "কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না এবং পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।"
এছাড়া, তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাজের গুরুত্ব উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এটি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।" তার মতে, জনগণকে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ পুলিশ প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম।
ঢাকা পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, অপারেশন ডেভিল হান্টের সাফল্য নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান, "এই অভিযানে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।" অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বৃহৎ অভিযান ছিল, যার মাধ্যমে ঢাকা শহরের অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
কমিশনার বলেন, "এই অভিযানের ফলস্বরূপ, রাজধানী ঢাকা শহরের অপরাধ প্রবণতা কিছুটা কমেছে।" তিনি আশাবাদী যে, এই ধরনের অভিযানগুলো ভবিষ্যতেও অপরাধ কমাতে সহায়ক হবে।
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বর্তমানে সড়কে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলছে, যা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করছে। তিনি জানান, "এই ধরনের আন্দোলনে অনেক মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।" তিনি এসব আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা দাবি-দাওয়ার জন্য রাস্তা ব্যবহার করবেন না। দাবির সমাধান টেবিল আলোচনা করেই সম্ভব।"
তিনি আরও বলেন, "যখন মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে, তখন ট্রাফিক সিস্টেম থেমে যায়, যা সাধারণ জনগণের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করেছি এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য।"
পুলিশ কমিশনারের মতে, রাস্তায় বসে দাবি আদায়ের চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমাধান করা অনেক কার্যকরী হবে। তিনি বলেন, "এটা খুবই মর্মান্তিক যে, দাবি আদায়ে মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে ঢাকাবাসীকে কষ্ট দেওয়া হয়।"
ঢাকা শহরের কিছু এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পর, পুলিশ কমিশনার বলেন, "এই এলাকাগুলিতে নতুন অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেগুলির সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিদিন ব্লক রেইড পরিচালিত হচ্ছে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ছিনতাইয়ের ঘটনা কমে যাবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা, শ্যামলীসহ অন্যান্য এলাকাগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং পুলিশ, ডিবি এবং র্যাবকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে সেখানে টহল জোরদার করার জন্য। কমিশনার আশাবাদী যে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পুলিশ কমিশনার তেজগাঁও উপকমিশনার কার্যালয়ের পুনঃউদ্বোধন উপলক্ষে তার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, "এই কার্যালয়ে আমি দুই বছর কাজ করেছি এবং সে সময় এখানকার অপরাধ পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল। তাছাড়া এখানে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী বিচরণ করত।"
তিনি আরও জানান, গত বছর অগাস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই কার্যালয়টি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে, কার্যালয়ের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এটি পুনরায় চালু করা হয়েছে এবং এখন এটি পুলিশের কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
সাজ্জাত আলী বলেন, "এই এলাকার পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমানে এখানকার অপরাধ পরিস্থিতি অনেক ভালো।" তিনি আরো বলেন, "এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সন্ত্রাসী চক্রগুলোকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে।"
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সজাগ অবস্থান এবং প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন। হরতাল মোকাবিলা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং সড়কে আন্দোলনকারীদের কার্যক্রম সম্পর্কিত পুলিশ কমিশনারের মন্তব্য শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে।