ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিবের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন লেখক, প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। সোমবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গালিবকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রকাশক মাহাবুবুর রহমান বলেন, "গালিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পিটিশন করব। কোথায় কোথায় পিটিশন করতে হয়, আমাদের জানা আছে। আমাদেরকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করবেন না।"
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সানারপাড় থেকে সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে তোলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গালিবের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোমবার তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে লেখক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, "গালিবকে ধরে নেওয়া হয়েছে, রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার অবিলম্বে মুক্তি চাই।"
কবি-প্রাবন্ধিক রাজু আলাউদ্দিন বলেন, "গালিবের সঙ্গে রাষ্ট্র যে আচরণ করছে, তা নতুন কিছু নয়। লেখককে গ্রেপ্তার করা যায়, কিন্তু তার চিন্তাকে বন্দি করা সম্ভব নয়।"
কবি চঞ্চল আশরাফ বলেন, "গালিব তো চুরি বা দুর্নীতি করেননি। তবে তাকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হলো? যখন বড় বড় দুর্নীতিবাজরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।"
কবি ও সাংবাদিক জুয়েল মাজহার বলেন, "রাষ্ট্র যেন কবির ভাষাকে সরলীকরণ না করে।"
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ বলেন, "প্রথমে শুনলাম গালিবকে আটক করা হয়েছে, পরে গ্রেপ্তার, আর এখন রিমান্ডে। কবিতা লেখার জন্য একজন কবিকে গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত দুঃখজনক।"
প্রকাশক মাহাবুবুর রহমান বলেন, "আমি তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, এমনকি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের সঙ্গেও। কিন্তু তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে মনে হচ্ছে।"
লেখক ও সাংবাদিক ধ্রুব সাদিক বলেন, "গালিবের বিরুদ্ধে পুলিশ হঠাৎ এত উৎসাহী হয়ে উঠল কেন? সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান— গালিবকে মুক্তি দিন এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।"
২০২৪ সালে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান উজান থেকে প্রকাশিত এক কবিতার কারণে গালিবের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠে। কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিবের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন লেখক, প্রকাশক ও সংস্কৃতিকর্মীরা। সোমবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গালিবকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রকাশক মাহাবুবুর রহমান বলেন, "গালিবকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দিলে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পিটিশন করব। কোথায় কোথায় পিটিশন করতে হয়, আমাদের জানা আছে। আমাদেরকে সংখ্যা দিয়ে বিচার করবেন না।"
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সানারপাড় থেকে সোহেল হাসান গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে তোলা হলে তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গালিবের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সোমবার তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে লেখক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, "গালিবকে ধরে নেওয়া হয়েছে, রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার অবিলম্বে মুক্তি চাই।"
কবি-প্রাবন্ধিক রাজু আলাউদ্দিন বলেন, "গালিবের সঙ্গে রাষ্ট্র যে আচরণ করছে, তা নতুন কিছু নয়। লেখককে গ্রেপ্তার করা যায়, কিন্তু তার চিন্তাকে বন্দি করা সম্ভব নয়।"
কবি চঞ্চল আশরাফ বলেন, "গালিব তো চুরি বা দুর্নীতি করেননি। তবে তাকে কেন রিমান্ডে নেওয়া হলো? যখন বড় বড় দুর্নীতিবাজরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।"
কবি ও সাংবাদিক জুয়েল মাজহার বলেন, "রাষ্ট্র যেন কবির ভাষাকে সরলীকরণ না করে।"
কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ বলেন, "প্রথমে শুনলাম গালিবকে আটক করা হয়েছে, পরে গ্রেপ্তার, আর এখন রিমান্ডে। কবিতা লেখার জন্য একজন কবিকে গ্রেপ্তার করা অত্যন্ত দুঃখজনক।"
প্রকাশক মাহাবুবুর রহমান বলেন, "আমি তিনজন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, এমনকি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিসের সঙ্গেও। কিন্তু তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে মনে হচ্ছে।"
লেখক ও সাংবাদিক ধ্রুব সাদিক বলেন, "গালিবের বিরুদ্ধে পুলিশ হঠাৎ এত উৎসাহী হয়ে উঠল কেন? সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান— গালিবকে মুক্তি দিন এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।"
২০২৪ সালে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান উজান থেকে প্রকাশিত এক কবিতার কারণে গালিবের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ ওঠে। কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।