সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্র সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্র সমাবেশ করেছে। তারা দাবি করেছে, সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুত সব বই তুলে দিতে হবে। একই দাবিতে তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে স্মারকলিপি দিয়েছে।
পরে মিছিল নিয়ে তারা শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয় বরাবর যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে চারজনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “সরকারের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার নীতিগত দিক নিয়ে কাজ করা, তবে তারা সে পথে না হেঁটে অন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, বই বিতরণে কেন এতো বিলম্ব হচ্ছে, তা নিয়ে কার্যকর কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। অপরদিকে, বাজারে বিনামূল্যে বিতরণের বই চড়া দামে যারা বিক্রি করছেন, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় মাসের শেষ সপ্তাহ বাদেও স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের সব বই হাতে পায়নি। অষ্টম ও নবম শ্রেণির এবং এবতেদায়ী পর্যায়ের কিছু বই এখনো ছাপার অপেক্ষায়। প্রাক-প্রাথমিক আর প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি। এনসিটিবির হিসাব অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০ কোটি কপির বেশি বই বিতরণ বাকি আছে এবং সাড়ে ৫ কোটি কপি এখনো ছাপা বাকি।
সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্টের ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে ছিল:
১. কাল বিলম্ব নয়, দ্রুততম সময়ে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে হবে; শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করতে হবে।
২. বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক যারা বাজারে বিক্রি করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. সাম্প্রদায়িক-কুপমণ্ডুক শিক্ষা নয়; সেক্যুলার ও বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সারাদেশে নতুন নতুন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ নির্মাণ করতে হবে।
৬. বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, কারিকুলাম নিয়ে অপব্যয় ও শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৭. শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্র সমাবেশ
বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্র সমাবেশ করেছে। তারা দাবি করেছে, সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে দ্রুত সব বই তুলে দিতে হবে। একই দাবিতে তারা শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে স্মারকলিপি দিয়েছে।
পরে মিছিল নিয়ে তারা শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয় বরাবর যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে চারজনের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “সরকারের দায়িত্ব ছিল শিক্ষার নীতিগত দিক নিয়ে কাজ করা, তবে তারা সে পথে না হেঁটে অন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, বই বিতরণে কেন এতো বিলম্ব হচ্ছে, তা নিয়ে কার্যকর কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। অপরদিকে, বাজারে বিনামূল্যে বিতরণের বই চড়া দামে যারা বিক্রি করছেন, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় মাসের শেষ সপ্তাহ বাদেও স্কুল শিক্ষার্থীরা তাদের সব বই হাতে পায়নি। অষ্টম ও নবম শ্রেণির এবং এবতেদায়ী পর্যায়ের কিছু বই এখনো ছাপার অপেক্ষায়। প্রাক-প্রাথমিক আর প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি। এনসিটিবির হিসাব অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০ কোটি কপির বেশি বই বিতরণ বাকি আছে এবং সাড়ে ৫ কোটি কপি এখনো ছাপা বাকি।
সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্টের ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে ছিল:
১. কাল বিলম্ব নয়, দ্রুততম সময়ে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিতে হবে; শিক্ষা ব্যবস্থা সচল করতে হবে।
২. বিনামূল্যে বিতরণের পাঠ্যপুস্তক যারা বাজারে বিক্রি করছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. সাম্প্রদায়িক-কুপমণ্ডুক শিক্ষা নয়; সেক্যুলার ও বিজ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন কাঠামো ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সারাদেশে নতুন নতুন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজ নির্মাণ করতে হবে।
৬. বিগত সরকারের আমলে শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস, কারিকুলাম নিয়ে অপব্যয় ও শিক্ষা ব্যবসায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৭. শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে।
সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাস বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন।