ছবি : সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করেছে পুরান ঢাকার বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদ। এসময় সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ।
সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের উপরে পা দেন। এতে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে সেও প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে এই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে হাবিবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় এবং হাবিবকে গোয়ালঘাট যুুব সংঘ নামে একটি ক্লাবে আটক করে রাখে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে সালাউদ্দিন মেডিকেলে এবং পরবর্তীতে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাবিবকে উদ্ধার করা জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, আমি খবর পেয়ে টিপু সুলতান রোডে আসি। সেখানে পেট্রোলিংয়ে থাকা পুলিশকে নিয়ে গোয়ালঘাট লেনে এসে একটি ক্লাবে অনেকজনের ভিড় দেখে সেখানে যাই। সেখানে নিচে ছিলো প্রায় ২০০ জন এবং ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ছিলো ২০-২৫ জন। সেখানে গিয়ে হাবিবকে আহত অবস্থায় পেয়েছি। আমরা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আগে ওকে এখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন হাবিবকে নিয়ে সালাউদ্দিন মেডিকেল ও পরে ন্যাশনাল মেডিকেলে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ন্যাশনালে থাকাকালীন জগন্নাথের ৫ জন শিক্ষার্থী আহতবস্থায় সেখানে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতরা হলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ ১৯ তম ব্যাচের আবু বকর সিদ্দিক, আইন বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের আকাশ, আইন ১৬ ব্যাচের আবু সাঈদ মোঃ আকিব।
সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কয়েকজন বিএনপি যুবদলের লোক ছিলো। তারা স্থানীয়দের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
জানা যায়, বিএনপি নাম শহিদুল হক শহীদ। তিনি ৩৮ নং ওয়ারি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই সাথে নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে এঘটনা ফেসবুকে ছাড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাংচুর করে। এসময় রাত ১ টার দিকে ওয়ারী থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে।
রাত ৩ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিএনপি নেতা সহিদের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সেখানে উপস্থিত রয়েছে।
ছবি : সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করেছে পুরান ঢাকার বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদ। এসময় সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে ।
সোমবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের উপরে পা দেন। এতে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে সেও প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে এই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে হাবিবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসেন।
এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় এবং হাবিবকে গোয়ালঘাট যুুব সংঘ নামে একটি ক্লাবে আটক করে রাখে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে সালাউদ্দিন মেডিকেলে এবং পরবর্তীতে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাবিবকে উদ্ধার করা জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, আমি খবর পেয়ে টিপু সুলতান রোডে আসি। সেখানে পেট্রোলিংয়ে থাকা পুলিশকে নিয়ে গোয়ালঘাট লেনে এসে একটি ক্লাবে অনেকজনের ভিড় দেখে সেখানে যাই। সেখানে নিচে ছিলো প্রায় ২০০ জন এবং ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ছিলো ২০-২৫ জন। সেখানে গিয়ে হাবিবকে আহত অবস্থায় পেয়েছি। আমরা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আগে ওকে এখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন হাবিবকে নিয়ে সালাউদ্দিন মেডিকেল ও পরে ন্যাশনাল মেডিকেলে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ন্যাশনালে থাকাকালীন জগন্নাথের ৫ জন শিক্ষার্থী আহতবস্থায় সেখানে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
আহতরা হলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ ১৯ তম ব্যাচের আবু বকর সিদ্দিক, আইন বিভাগের ১৬ তম ব্যাচের আকাশ, আইন ১৬ ব্যাচের আবু সাঈদ মোঃ আকিব।
সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের মধ্যে কয়েকজন বিএনপি যুবদলের লোক ছিলো। তারা স্থানীয়দের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে।
জানা যায়, বিএনপি নাম শহিদুল হক শহীদ। তিনি ৩৮ নং ওয়ারি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একই সাথে নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে এঘটনা ফেসবুকে ছাড়ানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্র হয়ে পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাংচুর করে। এসময় রাত ১ টার দিকে ওয়ারী থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে।
রাত ৩ টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিএনপি নেতা সহিদের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে আছেন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সেখানে উপস্থিত রয়েছে।