ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে বুধবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই এই দাবির বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এই কর্মসূচি, যা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ এর সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচির মাধ্যমে শতভাগ উৎসব ভাতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ এবং সরকারি কর্মচারীদের মতো বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। বুধবার থেকে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২৪ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আমরা ২৪ ঘণ্টা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। উপস্থিতি যাই থাকুক, আমরা ২৪ ঘণ্টাই কর্মসূচি পালন করব।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যরা দাবি করছেন যে, তাদের অবস্থান শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থও এতে জড়িত। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হলে শিক্ষার্থীরা মাসে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকা বেতন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে, যা তাদের জন্য অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার পদে পরিবর্তন আসার কারণে তাদের আশ্বাসের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাতা পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টার পদে রদবদল আসছে। এর ফলে শিক্ষকদের দেওয়া সে আশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে আশা প্রকাশ করি।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের পলিসি ডিসিশনগুলো মূলত মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাস্তবায়ন করেন। তারা তো থাকবেনই। তাই আশা করছি আমাদের দেওয়া আশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হবে না।”
মঙ্গলবার দুপুরে জোটের সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে তারা রাস্তাটি পরিবর্তন করে শিক্ষা ভবনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ফিরে আসেন এবং প্রেস ক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এই দাবি গৃহীত না হলে তারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার হুমকি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ঈদের নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দাবি করছেন যে, তাদের বেতন বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার বিষয়টি একটি ন্যায়সংগত দাবি। তাদের মতে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের দৃষ্টিতে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত এবং জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন।
তারা আরও বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে এটি শুধু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্যই লাভজনক হবে না, বরং পুরো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ ২০২৫
ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শতভাগ উৎসব ভাতার দাবিতে বুধবার থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগেই এই দাবির বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এই কর্মসূচি, যা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ এর সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন আন্দোলন ও কর্মসূচির মাধ্যমে শতভাগ উৎসব ভাতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ এবং সরকারি কর্মচারীদের মতো বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবি জানিয়ে আসছেন। বুধবার থেকে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২৪ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “দাবি আদায় না হাওয়া পর্যন্ত আমরা ২৪ ঘণ্টা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। উপস্থিতি যাই থাকুক, আমরা ২৪ ঘণ্টাই কর্মসূচি পালন করব।”
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যরা দাবি করছেন যে, তাদের অবস্থান শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থও এতে জড়িত। বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হলে শিক্ষার্থীরা মাসে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকা বেতন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে, যা তাদের জন্য অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।
পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলোতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাসের অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার পদে পরিবর্তন আসার কারণে তাদের আশ্বাসের বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, “বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাতা পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে শিক্ষা উপদেষ্টার পদে রদবদল আসছে। এর ফলে শিক্ষকদের দেওয়া সে আশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে আশা প্রকাশ করি।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের পলিসি ডিসিশনগুলো মূলত মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাস্তবায়ন করেন। তারা তো থাকবেনই। তাই আশা করছি আমাদের দেওয়া আশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হবে না।”
মঙ্গলবার দুপুরে জোটের সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে তারা রাস্তাটি পরিবর্তন করে শিক্ষা ভবনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ফিরে আসেন এবং প্রেস ক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এই দাবি গৃহীত না হলে তারা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার হুমকি দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ঈদের নামাজের পর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দাবি করছেন যে, তাদের বেতন বৃদ্ধি, উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার বিষয়টি একটি ন্যায়সংগত দাবি। তাদের মতে, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের দৃষ্টিতে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত এবং জাতীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন।
তারা আরও বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে এটি শুধু শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্যই লাভজনক হবে না, বরং পুরো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।