ঢাকা: জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আহত জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ।
বিশ্বখ্যাত মুরফিল্ডস আই হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভিট্রিওরেটিনা সার্জন ডা. মাহি মুকিত এবং মেডিক্যাল রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. নিয়াজ ইসলাম শনিবার সকাল থেকে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুলাই পর্যন্ত এ চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবেন এবং যাদের প্রয়োজন অস্ত্রোপচার করবেন।
আহত যোদ্ধাদের চোখের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ডা. মাহি মুকিত সার্জারির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করছেন, আর ডা. নিয়াজ ইসলাম করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এখানকার চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়েছেন, তবে রোগীরা অনেক কিছু বুঝতে চান না বা বুঝতে অসুবিধা হয়। তাই তারা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীদের সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
একজন আহত রোগী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, "আমি বাম চোখে দেখি না, ডান চোখে কিছুটা দেখি। দুই চোখের আশপাশে বুলেট রয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকরা দেখেছেন, তারা অপারেশন করবেন।"
আরেক আহত যোদ্ধা ওমর ফারুক জানান, "আমার দুই চোখে ১২টি গুলি লেগেছে, এর মধ্যে ২টি বের করা গেছে, বাকিগুলো রয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, আমার দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা নেই।"
ডা. নিয়াজ ইসলাম বলেন, "রোগীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। তার আগে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন কী অবস্থায় আছে এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা করছি। যাদের অপারেশন প্রয়োজন, সেটাও করা হবে। তবে এটি এক-দুই দিনের বিষয় নয়, দীর্ঘদিন ফলোআপের প্রয়োজন হবে।"
এই বিশেষায়িত চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল এবং সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা।
ডা. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, "আমরা আহত চক্ষু রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি। এর আগে অনেককে বিদেশেও পাঠানো হয়েছে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞদের এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসকও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাজ করছেন।"
চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই বিশেষ চক্ষু সেবা আহত যোদ্ধাদের চোখের সুস্থতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
ঢাকা: জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আহত জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন যুক্তরাজ্যের দুই বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ।
বিশ্বখ্যাত মুরফিল্ডস আই হাসপাতাল এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভিট্রিওরেটিনা সার্জন ডা. মাহি মুকিত এবং মেডিক্যাল রেটিনা বিশেষজ্ঞ ডা. নিয়াজ ইসলাম শনিবার সকাল থেকে আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুলাই পর্যন্ত এ চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাবেন এবং যাদের প্রয়োজন অস্ত্রোপচার করবেন।
আহত যোদ্ধাদের চোখের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে ডা. মাহি মুকিত সার্জারির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করছেন, আর ডা. নিয়াজ ইসলাম করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, এখানকার চিকিৎসকরা ভালো চিকিৎসা দিয়েছেন, তবে রোগীরা অনেক কিছু বুঝতে চান না বা বুঝতে অসুবিধা হয়। তাই তারা কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীদের সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
একজন আহত রোগী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, "আমি বাম চোখে দেখি না, ডান চোখে কিছুটা দেখি। দুই চোখের আশপাশে বুলেট রয়েছে। বিদেশি চিকিৎসকরা দেখেছেন, তারা অপারেশন করবেন।"
আরেক আহত যোদ্ধা ওমর ফারুক জানান, "আমার দুই চোখে ১২টি গুলি লেগেছে, এর মধ্যে ২টি বের করা গেছে, বাকিগুলো রয়ে গেছে। ডাক্তাররা বলছেন, আমার দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আশা নেই।"
ডা. নিয়াজ ইসলাম বলেন, "রোগীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। তার আগে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন কী অবস্থায় আছে এবং ভবিষ্যতে কী হতে পারে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরিকল্পনা করছি। যাদের অপারেশন প্রয়োজন, সেটাও করা হবে। তবে এটি এক-দুই দিনের বিষয় নয়, দীর্ঘদিন ফলোআপের প্রয়োজন হবে।"
এই বিশেষায়িত চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করছেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল এবং সহকারী অধ্যাপক জাকিয়া সুলতানা নীলা।
ডা. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, "আমরা আহত চক্ষু রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি। এর আগে অনেককে বিদেশেও পাঠানো হয়েছে এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞদের এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এবার যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দুই চিকিৎসকও সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাজ করছেন।"
চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এই বিশেষ চক্ষু সেবা আহত যোদ্ধাদের চোখের সুস্থতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।