আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নোটিশ পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, “আমরা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছি, যদিও এতে অনেকেই হয়তো অভিযোগ করতে পারেন যে তারা ঝামেলায় পড়েছেন।”
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। এ কর্মশালায় এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন একজন সিনিয়র সাংবাদিক।
আগামী বাজেট প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না; বরং বিদ্যমান কর অব্যাহতি কমিয়ে বা পুরোপুরি বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা কম হারে কর প্রদান করেন, তাদের হারও বাড়ানো হতে পারে। তবে বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে, যার মধ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুর, ডাল, ডিম, চাল ও পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য। শুল্ক ছাড় দেওয়ার ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারালেও এনবিআর জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
কর্মশালায় বক্তারা দেশের কর ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। মূল প্রবন্ধে র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, রাজস্ব-জিডিপির হার বেশ কয়েক বছর ধরে ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে, যা সম্প্রতি ৮ শতাংশেরও নিচে নেমেছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ে সরকার বেশি ভ্যাট ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক রাজস্বের ওপর নির্ভর করছে, যা নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টিআইএনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের কর পরিশোধ নিশ্চিত করা গেলে দেশের কর-জিডিপি হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
আয়কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও যারা রিটার্ন দাখিল করেন না, তাদের নোটিশ পাঠানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, “আমরা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছি, যদিও এতে অনেকেই হয়তো অভিযোগ করতে পারেন যে তারা ঝামেলায় পড়েছেন।”
শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। এ কর্মশালায় এনবিআর চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন একজন সিনিয়র সাংবাদিক।
আগামী বাজেট প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নতুন কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না; বরং বিদ্যমান কর অব্যাহতি কমিয়ে বা পুরোপুরি বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। যারা কম হারে কর প্রদান করেন, তাদের হারও বাড়ানো হতে পারে। তবে বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে, যার মধ্যে সয়াবিন তেল, চিনি, খেজুর, ডাল, ডিম, চাল ও পেঁয়াজ উল্লেখযোগ্য। শুল্ক ছাড় দেওয়ার ফলে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারালেও এনবিআর জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
কর্মশালায় বক্তারা দেশের কর ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। মূল প্রবন্ধে র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, রাজস্ব-জিডিপির হার বেশ কয়েক বছর ধরে ১০ শতাংশের নিচে রয়েছে, যা সম্প্রতি ৮ শতাংশেরও নিচে নেমেছে। এ পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায়ে সরকার বেশি ভ্যাট ও বাণিজ্যকেন্দ্রিক রাজস্বের ওপর নির্ভর করছে, যা নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টিআইএনের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের কর পরিশোধ নিশ্চিত করা গেলে দেশের কর-জিডিপি হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।