রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানির জন্য হাইকোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। চিন্ময়ের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য জানান, শুনানির জন্য রুল প্রস্তুত হয়েছে এবং ২৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। এর আগে ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন তিনি।
২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জনসভায় জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা টাঙানোর অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এক মাস পর ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয় এবং কোতোয়ালি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করে, যেখানে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এছাড়া, আলিফের বাবা হত্যা মামলা করেন এবং তার ভাই যানবাহন ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানির জন্য হাইকোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। চিন্ময়ের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য জানান, শুনানির জন্য রুল প্রস্তুত হয়েছে এবং ২৩ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। এর আগে ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেন তিনি।
২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময়সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। জনসভায় জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা টাঙানোর অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এক মাস পর ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয় এবং কোতোয়ালি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যেখানে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। পুলিশ এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করে, যেখানে ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এছাড়া, আলিফের বাবা হত্যা মামলা করেন এবং তার ভাই যানবাহন ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।