সাভারের আশুলিয়ায় গণআন্দোলনের সময় ছয়টি লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কৌঁসুলি এম তাজুল ইসলাম জানান, মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে, আর ঈদের পর আরও ৩৪টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এরপর এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হবে, যা বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে এতে আসামি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান নিহতদের দুজনের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সাত আসামির পরিকল্পনা ও নির্দেশে বাকি আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, বেক্সিমকোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মনতাজউদ্দিন মণ্ডল, সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি সাবের আহমেদ সজীব ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান কৌঁসুলি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে কোনো দলকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে। তবে বর্তমানে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউটররা মাঠপর্যায়ের অপরাধীদের বিচারের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া। এটি গণআদালতের বিচার নয়, সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যেই করতে হয়। মাত্র ৫-৬ মাসের মধ্যে এমন জটিল অপরাধের তদন্ত করা সহজ নয়। তবুও আমরা দ্রুততম সময়ে মানসম্মত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
প্রধান কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রয়োজনের জায়গা থেকে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থা দিনরাত পরিশ্রম করছে। বিচার নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, তা করা হবে এবং শিগগিরই এর অগ্রগতি দেখা যাবে।’
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সাভারের আশুলিয়ায় গণআন্দোলনের সময় ছয়টি লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কৌঁসুলি এম তাজুল ইসলাম জানান, মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে, আর ঈদের পর আরও ৩৪টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এরপর এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হবে, যা বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে এতে আসামি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট হুজ্জাতুল ইসলাম খান নিহতদের দুজনের পরিবারের পক্ষে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, সাত আসামির পরিকল্পনা ও নির্দেশে বাকি আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং তাদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফি, বেক্সিমকোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মনতাজউদ্দিন মণ্ডল, সাবেক কাউন্সিলর শরীফ ব্যাপারী, কাশিমপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাক আহমদ, কাশিমপুর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি সাবের আহমেদ সজীব ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. নাদিম হোসেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান কৌঁসুলি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে কোনো দলকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে। তবে বর্তমানে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউটররা মাঠপর্যায়ের অপরাধীদের বিচারের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া। এটি গণআদালতের বিচার নয়, সুনির্দিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যেই করতে হয়। মাত্র ৫-৬ মাসের মধ্যে এমন জটিল অপরাধের তদন্ত করা সহজ নয়। তবুও আমরা দ্রুততম সময়ে মানসম্মত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
প্রধান কৌঁসুলি আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রয়োজনের জায়গা থেকে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থা দিনরাত পরিশ্রম করছে। বিচার নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, তা করা হবে এবং শিগগিরই এর অগ্রগতি দেখা যাবে।’