গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানি সরকার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কর্মী।
সানি জানান, হামলায় তাঁর মাথার পেছনে, পিঠে ও বাঁ কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। হামলার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে সানি বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে কর্মসূচি চলাকালে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের পতাকা ব্যবহার করতে দেখে তিনি তাদের অনুরোধ করেন পতাকাটি সরিয়ে ফেলতে। কিছু অংশগ্রহণকারী অনুরোধে সাড়া দিলেও, অন্যরা তাঁকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে মারধর করে। হামলার সময় প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে জানান তিনি।
সানি আরও বলেন, তাঁকে তিন দফায় আক্রমণ করা হয় এবং রিকশায় তুলে দেওয়ার সময়ও হামলা অব্যাহত ছিল। প্রায় ২০-২৫ মিনিট ধরে এই হামলা চলে, অথচ এত সময়েও প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি বা কোনো ধরনের বাধা দেয়নি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম কীভাবে সম্ভব? বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের কোনো কর্মসূচি চালানোর অধিকার না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কীভাবে হামলা চালায় এবং এর বিরুদ্ধে বাধা দিলে কেন শিক্ষার্থীদেরই শিকার হতে হয়? তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিবৃতি
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিসরে আন্দোলনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
তারা জানায়, পতাকা ব্যবহার না করার অনুরোধ করায় সানি সরকারের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। হামলায় হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনকে现场ে দেখা গেছে। তাঁরা ‘নাস্তিক’ ট্যাগ দিয়ে বহিরাগত মব ব্যবহার করে সানির ওপর তিন দফায় শারীরিক নির্যাতন চালান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলেও তারা দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। ছাত্রসংসদ মনে করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি ও কার্যক্রম প্রতিহত করতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তারা হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সানি সরকার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কর্মী।
সানি জানান, হামলায় তাঁর মাথার পেছনে, পিঠে ও বাঁ কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। হামলার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগে সানি বলেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে কর্মসূচি চলাকালে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের পতাকা ব্যবহার করতে দেখে তিনি তাদের অনুরোধ করেন পতাকাটি সরিয়ে ফেলতে। কিছু অংশগ্রহণকারী অনুরোধে সাড়া দিলেও, অন্যরা তাঁকে ‘ইসলামবিদ্বেষী’ আখ্যা দিয়ে মারধর করে। হামলার সময় প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে জানান তিনি।
সানি আরও বলেন, তাঁকে তিন দফায় আক্রমণ করা হয় এবং রিকশায় তুলে দেওয়ার সময়ও হামলা অব্যাহত ছিল। প্রায় ২০-২৫ মিনিট ধরে এই হামলা চলে, অথচ এত সময়েও প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি বা কোনো ধরনের বাধা দেয়নি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, স্বায়ত্তশাসিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম কীভাবে সম্ভব? বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের কোনো কর্মসূচি চালানোর অধিকার না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কীভাবে হামলা চালায় এবং এর বিরুদ্ধে বাধা দিলে কেন শিক্ষার্থীদেরই শিকার হতে হয়? তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বিবৃতি
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের কারণে আন্তর্জাতিক পরিসরে আন্দোলনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
তারা জানায়, পতাকা ব্যবহার না করার অনুরোধ করায় সানি সরকারের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়। হামলায় হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজনকে现场ে দেখা গেছে। তাঁরা ‘নাস্তিক’ ট্যাগ দিয়ে বহিরাগত মব ব্যবহার করে সানির ওপর তিন দফায় শারীরিক নির্যাতন চালান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রক্টরিয়াল টিমকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলেও তারা দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। ছাত্রসংসদ মনে করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের উপস্থিতি ও কার্যক্রম প্রতিহত করতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তারা হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।