বুধবার দুপুর ১২টা থেকে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার আউখাবো এলাকায় রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটকের কথা জানান তিনি। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কারখানার শ্রমিক ছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে রবিনটেক্স কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা বুধবার সকালে কারখানার সামনে জড়ো হন। এর আগেও দুই দিন ধরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
বুধবার অন্যান্য শ্রমিকরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কাজ বন্ধ রেখে কারখানার ভেতরে অবস্থান নেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
কারখানার দুজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ শতাধিক শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করেছে এবং মার্চ মাসের বেতন-বোনাস আংশিক পরিশোধ করেছে। তাঁরা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে লাঠিপেটা করে। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) আদনান শামস বলেন, শ্রম আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শ্রমিকরা অযৌক্তিক কারণে উৎপাদন বন্ধ করে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করেন। পরে বাইরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তাঁর দাবি, বহিরাগতরাও এতে জড়িত।
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইসলাম জানান, সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট, শিল্প পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ অন্তত ১৫ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ছাঁটাইসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সরাতে গেলে তাঁরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাঁর সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সংঘর্ষের পর রবিনটেক্স কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার আউখাবো এলাকায় রবিনটেক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (‘গ’ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটকের কথা জানান তিনি। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কারখানার শ্রমিক ছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে রবিনটেক্স কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এর প্রতিবাদে চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা বুধবার সকালে কারখানার সামনে জড়ো হন। এর আগেও দুই দিন ধরে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
বুধবার অন্যান্য শ্রমিকরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কাজ বন্ধ রেখে কারখানার ভেতরে অবস্থান নেন। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
কারখানার দুজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, মালিকপক্ষ শতাধিক শ্রমিককে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করেছে এবং মার্চ মাসের বেতন-বোনাস আংশিক পরিশোধ করেছে। তাঁরা দাবি করেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী বিনা উসকানিতে লাঠিপেটা করে। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তবে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) আদনান শামস বলেন, শ্রম আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, শ্রমিকরা অযৌক্তিক কারণে উৎপাদন বন্ধ করে ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর করেন। পরে বাইরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। তাঁর দাবি, বহিরাগতরাও এতে জড়িত।
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী ইসলাম জানান, সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট, শিল্প পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ সুপারসহ অন্তত ১৫ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ছাঁটাইসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করলে যানজটের সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের সরাতে গেলে তাঁরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাঁর সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সংঘর্ষের পর রবিনটেক্স কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।