ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন লাগার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন এক যুবকের কথা জানিয়েছেন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন।
তিনি বলেন, ওই যুবক মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে একইভাবে সরে যান।
ইসরাফিল রতন বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখেছি। আমাদের দুই-তিনটা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যার পরনে ছিল কালো রঙের টিশার্ট এবং মুখে মাস্ক ছিল। ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে ৪টা ৪৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে সে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন দিয়ে আবার দেয়াল টপকে বের হয়ে যায়।”
ঘটনার পুরো বিষয়টি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে মনে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছেলেটি অনেক স্মার্ট, অর্ডিনারি কোনো পিপল মনে হয়নি। মনে হয়েছে কারও অ্যাসাইন করা ছিল।”
শনিবার ভোরে আগুনে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এর আগের দিন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় বড়, মাঝারি ও ছোট মোটিফ থাকবে। এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ছয়টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’—নারীর দাঁতাল মুখাবয়বে খাড়া দুটো শিং।
চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, “ভোরবেলা আগুন লেগেছে। সম্ভবত ফজরের নামাজের সময় হতে পারে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তদন্ত করে মন্তব্য করব। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সভায় বসব।”
এ ঘটনায় ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে ‘হাসিনার দোসররা’।
ঘটনাটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশও।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে দেখে যেটা মনে হচ্ছে, এটা এক্সিডেন্টাল না, কেউ ইনটেনশনালি এটা করছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।”
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ইসরাফিল রতন।
তিনি বলেন, “যুবকটি যখন দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে, তখন কয়েকটি কুকুর বেরিয়ে যায়, গাছপালার পাশে একটু দাঁড়ায়। কুকুরগুলো শান্ত হলে সে সামনে গিয়ে মোটিফে আগুন ধরিয়ে একটু পর্যবেক্ষণ করে। আগুন ঠিকমতো ধরেনি দেখে ফিরে এসে আবার আগুন দেয়। এরপর একটানে দেয়াল টপকে বের হয়ে ছবির হাটের দিকে চলে যায়।”
চারুকলার এই শিক্ষক আরও বলেন, “আমার মনে হয়েছে, সে ভেতরে প্রবেশের আগে অনেকক্ষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই সময় প্রক্টরিয়াল টিমের দুইজন নামাজ পড়তে গিয়েছিল। যে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তারা সম্ভবত পেছনে ওয়াশরুমে গিয়েছিল। সেই ফাঁকা সময়টাতেই সে ঢুকে পড়ে আগুন দেয়।”
“ওয়াল টপকে আসবে, আবার ফিরে যাবে, তার সঙ্গে কোনো সঙ্গী ছিল না। তারপরও ওই সুযোগে সে রিস্কটা নিয়েছে।”
তাকে দেখে ক্যাম্পাসের কেউ মনে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হতে পারে। তবে মনে হয়েছে, সে এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জানে। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র যদি চায়, তাকে শনাক্ত করে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা সম্ভব।”
ঘটনার পর চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নিজে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কত সদস্যের কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি ইসরাফিল রতন।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুরও সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।”
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন লাগার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন এক যুবকের কথা জানিয়েছেন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল রতন।
তিনি বলেন, ওই যুবক মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে একইভাবে সরে যান।
ইসরাফিল রতন বলেন, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখেছি। আমাদের দুই-তিনটা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যার পরনে ছিল কালো রঙের টিশার্ট এবং মুখে মাস্ক ছিল। ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে ৪টা ৪৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে সে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন দিয়ে আবার দেয়াল টপকে বের হয়ে যায়।”
ঘটনার পুরো বিষয়টি ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে মনে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছেলেটি অনেক স্মার্ট, অর্ডিনারি কোনো পিপল মনে হয়নি। মনে হয়েছে কারও অ্যাসাইন করা ছিল।”
শনিবার ভোরে আগুনে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এর আগের দিন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় বড়, মাঝারি ও ছোট মোটিফ থাকবে। এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ছয়টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’—নারীর দাঁতাল মুখাবয়বে খাড়া দুটো শিং।
চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, “ভোরবেলা আগুন লেগেছে। সম্ভবত ফজরের নামাজের সময় হতে পারে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে, এই বিষয়টা নিয়ে আমরা তদন্ত করে মন্তব্য করব। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সভায় বসব।”
এ ঘটনায় ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ সম্পৃক্ততার অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে ‘হাসিনার দোসররা’।
ঘটনাটি ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশও।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে দেখে যেটা মনে হচ্ছে, এটা এক্সিডেন্টাল না, কেউ ইনটেনশনালি এটা করছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।”
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয় বলে জানিয়েছেন ইসরাফিল রতন।
তিনি বলেন, “যুবকটি যখন দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে, তখন কয়েকটি কুকুর বেরিয়ে যায়, গাছপালার পাশে একটু দাঁড়ায়। কুকুরগুলো শান্ত হলে সে সামনে গিয়ে মোটিফে আগুন ধরিয়ে একটু পর্যবেক্ষণ করে। আগুন ঠিকমতো ধরেনি দেখে ফিরে এসে আবার আগুন দেয়। এরপর একটানে দেয়াল টপকে বের হয়ে ছবির হাটের দিকে চলে যায়।”
চারুকলার এই শিক্ষক আরও বলেন, “আমার মনে হয়েছে, সে ভেতরে প্রবেশের আগে অনেকক্ষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। ওই সময় প্রক্টরিয়াল টিমের দুইজন নামাজ পড়তে গিয়েছিল। যে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তারা সম্ভবত পেছনে ওয়াশরুমে গিয়েছিল। সেই ফাঁকা সময়টাতেই সে ঢুকে পড়ে আগুন দেয়।”
“ওয়াল টপকে আসবে, আবার ফিরে যাবে, তার সঙ্গে কোনো সঙ্গী ছিল না। তারপরও ওই সুযোগে সে রিস্কটা নিয়েছে।”
তাকে দেখে ক্যাম্পাসের কেউ মনে হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হতে পারে। তবে মনে হয়েছে, সে এখানকার পরিবেশ সম্পর্কে জানে। আমার মনে হয়, রাষ্ট্র যদি চায়, তাকে শনাক্ত করে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা সম্ভব।”
ঘটনার পর চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে নিজে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কত সদস্যের কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে জানাননি ইসরাফিল রতন।
শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুরও সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।”