ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকালে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর।
তিনি বলেন, “ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া সন্দেহভাজন যুবককে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।”
এর আগে সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন এক যুবককে চারুকলা অনুষদের ভেতরে ঢুকে আগুন দিতে দেখতে পাওয়ার কথা বলেছিলেন শাহবাগ ওসি।
শনিবার ভোরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এ ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশ।
অপরদিকে মোটিফ পুড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে ‘হাসিনার দোসররা’।
আগের দিন শুক্রবার আয়োজন সংশ্লিষ্টরা বলেছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় বড়, মাঝারি এবং ছোট মোটিফ থাকবে।
এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ৬টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। নারীর দাঁতাল এই মুখাবয়বে মাথায় রয়েছে খাড়া দুটো শিং।
এ ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও দেখে এক যুবককে আগুন দিতে দেখতে পাওয়ার তথ্য দিয়ে চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল বলেন, ওই যুবক মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে একইভাবে চলে যান।
“আমরা সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখেছি। আমাদের দুই তিনটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েছে। যার পরনে ছিল কালো রঙের টিশার্ট এবং মুখে মাস্ক ছিল।”
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে দেখে যেটা মনে হচ্ছে এটা এক্সিডেন্টাল না, কেউ ইনটেনশনালি এটা করছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।”
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বিকালে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর।
তিনি বলেন, “ঢাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া সন্দেহভাজন যুবককে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।”
এর আগে সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজন এক যুবককে চারুকলা অনুষদের ভেতরে ঢুকে আগুন দিতে দেখতে পাওয়ার কথা বলেছিলেন শাহবাগ ওসি।
শনিবার ভোরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আগুন লেগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার’ জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ এবং ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ পুড়ে যায়।
এ ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করছে পুলিশ।
অপরদিকে মোটিফ পুড়ে যাওয়ার ঘটনার পেছনে ‘ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দোসরদের’ হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ফেইসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে ‘হাসিনার দোসররা’।
আগের দিন শুক্রবার আয়োজন সংশ্লিষ্টরা বলেছিলেন, এবার শোভাযাত্রায় বড়, মাঝারি এবং ছোট মোটিফ থাকবে।
এর মধ্যে বড় মোটিফ থাকবে ৬টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। নারীর দাঁতাল এই মুখাবয়বে মাথায় রয়েছে খাড়া দুটো শিং।
এ ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও দেখে এক যুবককে আগুন দিতে দেখতে পাওয়ার তথ্য দিয়ে চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইসরাফিল বলেন, ওই যুবক মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে একইভাবে চলে যান।
“আমরা সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে দেখেছি। আমাদের দুই তিনটা ক্যামেরাতে ধরা পড়েছে। যার পরনে ছিল কালো রঙের টিশার্ট এবং মুখে মাস্ক ছিল।”
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে দেখে যেটা মনে হচ্ছে এটা এক্সিডেন্টাল না, কেউ ইনটেনশনালি এটা করছে। এটুকু আমরা নিশ্চিত।”