ঢাকার কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ মৃত্যুর ঘটনায় ‘জঙ্গি নাটক’ সাজানোর অভিযোগে করা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে সময়ের আবেদন করে, যা মঞ্জুর করে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শহীদুল হকের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পাওয়া অন্য দুইজন হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা। চলতি মাসের ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে তদন্ত সংস্থা এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল প্রথম দফায় এই তিন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। সেই অনুযায়ী ২০, ২১ ও ২২ এপ্রিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি বলেন, “তদন্তে এমন কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তাদের আবারো জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। আশা করছি, খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।”
গত ২৪ মার্চ ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়। চিফ প্রসিকিউটর এম তাজুল ইসলাম ওইদিন আদালতকে জানান, পুলিশের সাবেক তিন কর্মকর্তার নির্দেশ ও পরিকল্পনায় জাহাজবাড়ি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তাজুল বলেন, “জঙ্গি তকমা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ তরুণকে ধরে এনে জাহাজবাড়িতে রাখা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়। ইসলামি ভাবধারার মানুষের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতেই এমন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, যাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা টিকে থাকে।”
গুলশান হামলার ২৫ দিন পর, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনটির নাম তাজ মঞ্জিল হলেও এর আকৃতির কারণে স্থানীয়ভাবে এটি জাহাজবাড়ি নামে পরিচিত।
অভিযান শেষে নয়জন ‘জঙ্গি’ নিহত হওয়ার খবর জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন এবং একজন পালিয়ে যান। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে দাবি করা হয়।
পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। এটি এখন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এ ঘটনার ভিন্ন ভাষ্য সামনে আসতে শুরু করে। এরপর গত ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে ৯ তরুণ হত্যার অভিযোগে মামলা হয়।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
ঢাকার কল্যাণপুরের জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ মৃত্যুর ঘটনায় ‘জঙ্গি নাটক’ সাজানোর অভিযোগে করা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেয়। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে সময়ের আবেদন করে, যা মঞ্জুর করে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শহীদুল হকের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পাওয়া অন্য দুইজন হলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া এবং মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা। চলতি মাসের ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে তদন্ত সংস্থা এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল প্রথম দফায় এই তিন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। সেই অনুযায়ী ২০, ২১ ও ২২ এপ্রিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি বলেন, “তদন্তে এমন কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে তাদের আবারো জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। আশা করছি, খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।”
গত ২৪ মার্চ ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয়। চিফ প্রসিকিউটর এম তাজুল ইসলাম ওইদিন আদালতকে জানান, পুলিশের সাবেক তিন কর্মকর্তার নির্দেশ ও পরিকল্পনায় জাহাজবাড়ি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
তাজুল বলেন, “জঙ্গি তকমা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৯ তরুণকে ধরে এনে জাহাজবাড়িতে রাখা হয় এবং পরে হত্যা করা হয়। ইসলামি ভাবধারার মানুষের মধ্যে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতেই এমন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল, যাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা টিকে থাকে।”
গুলশান হামলার ২৫ দিন পর, ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবনটির নাম তাজ মঞ্জিল হলেও এর আকৃতির কারণে স্থানীয়ভাবে এটি জাহাজবাড়ি নামে পরিচিত।
অভিযান শেষে নয়জন ‘জঙ্গি’ নিহত হওয়ার খবর জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন এবং একজন পালিয়ে যান। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে দাবি করা হয়।
পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। এটি এখন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এ ঘটনার ভিন্ন ভাষ্য সামনে আসতে শুরু করে। এরপর গত ৬ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে ৯ তরুণ হত্যার অভিযোগে মামলা হয়।