তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম, গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে দুদকের একটি দল।
শনিবার দুপুরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসে দুদকের চার সদস্যের একটি দল। এর আগে গত মাসেও দুই দফায় বিসিবিতে অভিযান চালায় সংস্থাটি।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ জানান, বিভিন্ন বিভাগ থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করে কিছু অসঙ্গতির তথ্য পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
“আজকের অভিযানের বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম এবং বিসিবির গঠনতন্ত্র ও আর্থিক অনিয়মসহ অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ। এসবের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি ও পর্যালোচনা করেছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কিছু রেকর্ডপত্র ও বক্তব্য পর্যালোচনা করা হবে।”
বিসিবিতে প্রথম দিনের অভিযানের পর তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের নিবন্ধন ফি বাড়ানোসহ কিছু নতুন নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে দুদক। মাসখানেক পর একই বিষয় নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলে সংস্থাটি।
“তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশ নেওয়া একসময় সহজ ছিল। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়গুলো কতটা স্বচ্ছ বা বৈধ, কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এছাড়া বিসিবির গঠনতন্ত্রের বৈধতা নিয়েও তথ্য যাচাই-বাছাই করার কথা বলেন রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, “বিসিবির গঠনতন্ত্র কতটা বৈধ, তা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে গঠনতন্ত্রে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের একটি রায় ছিল, সেই আলোকে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিসিবি একটি সুসংগঠিত কাঠামোবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানে কিছু গ্যাপ পাওয়া গেছে। চাকরির সঠিক নীতিমালা নেই। আরও কিছু গ্যাপ আছে, যা আমরা পর্যালোচনা করতে চাই। আদতে এই পরিস্থিতি কেমন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, আগে কেন এসব তৈরি হয়নি—এসব বিষয় যাচাই করা হবে।”
অভিযানের মাঝপথে বিসিবি কার্যালয়ে আসেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। রাজু আহমেদ জানান, বিসিবির এফডিআরের অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা এবং আর্থিক অনিয়ম নিয়ে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা।
গত মাসের শেষ দিকে দ্বিতীয় দফা অভিযানের পর বিসিবির কাছে ২৭টি আলাদা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছিল দুদক। শনিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রাজু জানান, এসব অভিযোগ নিয়ে দুদকের আরেকটি দল কাজ করছে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম, গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে দুদকের একটি দল।
শনিবার দুপুরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসে দুদকের চার সদস্যের একটি দল। এর আগে গত মাসেও দুই দফায় বিসিবিতে অভিযান চালায় সংস্থাটি।
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ জানান, বিভিন্ন বিভাগ থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করে কিছু অসঙ্গতির তথ্য পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
“আজকের অভিযানের বিষয় ছিল তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম এবং বিসিবির গঠনতন্ত্র ও আর্থিক অনিয়মসহ অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ। এসবের ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি ও পর্যালোচনা করেছি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও কিছু রেকর্ডপত্র ও বক্তব্য পর্যালোচনা করা হবে।”
বিসিবিতে প্রথম দিনের অভিযানের পর তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ের নিবন্ধন ফি বাড়ানোসহ কিছু নতুন নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে দুদক। মাসখানেক পর একই বিষয় নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলে সংস্থাটি।
“তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশ নেওয়া একসময় সহজ ছিল। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। এই বিষয়গুলো কতটা স্বচ্ছ বা বৈধ, কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এছাড়া বিসিবির গঠনতন্ত্রের বৈধতা নিয়েও তথ্য যাচাই-বাছাই করার কথা বলেন রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, “বিসিবির গঠনতন্ত্র কতটা বৈধ, তা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে গঠনতন্ত্রে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের একটি রায় ছিল, সেই আলোকে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হচ্ছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিসিবি একটি সুসংগঠিত কাঠামোবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানে কিছু গ্যাপ পাওয়া গেছে। চাকরির সঠিক নীতিমালা নেই। আরও কিছু গ্যাপ আছে, যা আমরা পর্যালোচনা করতে চাই। আদতে এই পরিস্থিতি কেমন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, আগে কেন এসব তৈরি হয়নি—এসব বিষয় যাচাই করা হবে।”
অভিযানের মাঝপথে বিসিবি কার্যালয়ে আসেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ। রাজু আহমেদ জানান, বিসিবির এফডিআরের অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা এবং আর্থিক অনিয়ম নিয়ে ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা।
গত মাসের শেষ দিকে দ্বিতীয় দফা অভিযানের পর বিসিবির কাছে ২৭টি আলাদা অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথিপত্র চেয়েছিল দুদক। শনিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রাজু জানান, এসব অভিযোগ নিয়ে দুদকের আরেকটি দল কাজ করছে।