ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে আজ সোমবার টানা ছয় ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তান মোড়ের একপাশ দখলে নিয়ে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো এই কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীরা ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক আংশিক বন্ধ করে দেন। মাইকিং, স্লোগান, মিছিল ও গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে চলে তাঁদের প্রতিবাদ।
নগর ভবনে প্রবেশ বন্ধ
নগর ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ইশরাকপন্থীরা। এ সময় নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। ফলে সেবাব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে না পারায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ‘হস্তক্ষেপেই’ শপথ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
যানজটে জনভোগান্তি
গুলিস্তান–সদরঘাট সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন যাত্রীরা। বাসচালক, রিকশাচালক ও পথচারীরা জানান, এমন পরিস্থিতি প্রতিদিনের জীবনে ভোগান্তি ডেকে আনছে।
আন্দোলন চলবে, ঘোষণা আরও কর্মসূচির
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানান, “যত দিন না ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো হচ্ছে, তত দিন আন্দোলন চলবে। কাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবারও নগর ভবনের সামনে কর্মসূচি চলবে।”
গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে এবং শপথের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শপথ কার্যকরে আইনি জটিলতা আছে কি না—সে বিষয়ে জানতে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নগর ভবনের কর্মকর্তারা বলছেন, দিনের পর দিন এভাবে তালা ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে অফিস কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার আদালতের রায়ে মেয়র ঘোষিত হলেও শপথ না হওয়ায় তার সমর্থকেরা রাজপথে নামছেন প্রতিদিন।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে আজ সোমবার টানা ছয় ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তান মোড়ের একপাশ দখলে নিয়ে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো এই কর্মসূচি পালিত হয়। আন্দোলনকারীরা ট্রাক ও দড়ি দিয়ে সড়ক আংশিক বন্ধ করে দেন। মাইকিং, স্লোগান, মিছিল ও গান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে চলে তাঁদের প্রতিবাদ।
নগর ভবনে প্রবেশ বন্ধ
নগর ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন ইশরাকপন্থীরা। এ সময় নগর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। ফলে সেবাব্যবস্থা ব্যাহত হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, আদালতের রায় ও গেজেট প্রকাশের পরও মেয়র হিসেবে শপথ নিতে না পারায় তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ‘হস্তক্ষেপেই’ শপথ প্রক্রিয়া আটকে আছে।
যানজটে জনভোগান্তি
গুলিস্তান–সদরঘাট সড়কের একপাশ বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন যাত্রীরা। বাসচালক, রিকশাচালক ও পথচারীরা জানান, এমন পরিস্থিতি প্রতিদিনের জীবনে ভোগান্তি ডেকে আনছে।
আন্দোলন চলবে, ঘোষণা আরও কর্মসূচির
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান জানান, “যত দিন না ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো হচ্ছে, তত দিন আন্দোলন চলবে। কাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবারও নগর ভবনের সামনে কর্মসূচি চলবে।”
গত ২৭ মার্চ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে এবং শপথের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শপথ কার্যকরে আইনি জটিলতা আছে কি না—সে বিষয়ে জানতে আইন ও বিচার বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নগর ভবনের কর্মকর্তারা বলছেন, দিনের পর দিন এভাবে তালা ও অবস্থান কর্মসূচির কারণে অফিস কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের সেবাও ব্যাহত হচ্ছে।
ইশরাক হোসেন ২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার আদালতের রায়ে মেয়র ঘোষিত হলেও শপথ না হওয়ায় তার সমর্থকেরা রাজপথে নামছেন প্রতিদিন।