alt

নগর-মহানগর

“নারী কমিশন বাতিলের দাবি ভাবনার পরিসর সংকুচিত করছে”—গীতি আরা নাসরিন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৫ মে ২০২৫

নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, “কমিশন হয়েছে, যারা অন্তর্বর্তী সরকার তারাই কমিশন গঠন করেছেন। এরকম একটি কমিশনকে সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না। তখন কিন্তু আশাবাদী থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।”

অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন খাতে ১১টি সংস্কার কমিশন করে। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে ৪৩৩টি সুপারিশ রয়েছে।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই এসব সুপারিশ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কথা ওঠে নারী কমিশন নিয়েও। দেশের ইসলামপন্থিদের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হেফাজতে ইসলাম নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে, জামায়াতে ইসলামীও কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি মনে করে, কিছু সুপারিশ ধর্ম ও নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পাল্টা বিবৃতি এসেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও ১১০ নাগরিকের তরফে। বিবৃতিতে এই নাগরিকরা বলেছেন, সরকারকে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে এবং কমিশনকে সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে হবে।

গীতি আরা নাসরিন বলেন, “তাদের সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে। ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু একটি কমিশন তৈরি হয়েছে। তারা একই পরিশ্রম করে সবার মতামত নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বলা হয় সেই কমিশন বাতিল করতে হবে। তখনই প্রশ্ন জাগে যে আমরা স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করারও একটি পরিসর তৈরি করতে পারছি না।”

তিনি বলেন, “বিতর্ক থাকতেই পারে, প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেটি যে কোনো কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে। কিন্তু উপেক্ষা করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও আমরা এখনও দেখিনি—এখন যারা সরকারে আছেন, তারা এটি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেছেন যে এটি করা যাবে না।”

সাধারণ জনগণের মতামত ও তাদের নিরাপত্তাকে কোন চোখে দেখা হচ্ছে, তা নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রয়েছে এ অধ্যাপকের।

গীতি আরা নাসরিন বলেন, “প্রথমতই আমি নারীদের বিষয়টি বলব, কারণ এই প্রান্তিকতা আমরা শুরু থেকেই লক্ষ্য করছি। পুরো অভ্যুত্থানে যে বিপুল নারীদের আমরা দেখেছি, এরপরে সব জায়গায় এমনকি কমিশনগুলোতেও তাদের ভয়াবহ প্রান্তিকতা দেখতে পেয়েছি। শুধুমাত্র নারী কমিশন বাদে সব জায়গায় নারীর প্রতিনিধিত্ব কম।”

নারীদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট করার দাবি জানান তিনি।

“আমি রাজনৈতিক দলের কাছে স্পষ্ট করে শুনতে চাই, নারীদের ওপর যে বৈষম্য আছে তারা এগুলোর বিষয়ে কী অবস্থান নেবে। পরিষ্কারভাবে তাদের ঘোষণা দিতে হবে নারী বিষয়ে তারা কী অবস্থান নেবে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসতে হবে।”

মনোনয়নে ৩৩% নারী চান সামিনা

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।

রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটি অসাধারণ সময় ও সুযোগ পার করছেন বলে মনে করেন তিনি।

এই শিক্ষক বলেন, “নারীরা রাজনীতি আসতে চাইছেন, তাদের সে সুযোগটা করে দিতে হবে। এ কারণে তারা দাবি করছেন, নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী দিতে হবে।

“রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আবার নির্বাচনপদ্ধতিতে নারীদের অংশগ্রহণে আগ্রহী করার প্রক্রিয়া থাকতে হবে।”

ঢাকায় খামারবাড়ি এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান, ওয়ারেসুল করিম, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, চৌধুরী সামিউল হক, মির্জা হাসান, ইলিরা দেওয়ান, সাইদা সুলতানা রাজিয়া, বাসুদেব ধর, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, বিচারপতি এম এ মতিন।

ছবি

বিদেশে নারী পাচারে জালিয়াতি, বিএমইটির কর্মকর্তাসহ ৯ জনের নামে দুদকের মামলা

ছবি

মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িত টুন্ডা বাবুর বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা

ছবি

আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতি, তাজিয়া মিছিলে কঠোর নজরদারি

ছবি

তেজগাঁওয়ে ছিনতাইয়ের নাটক: মানি এক্সচেঞ্জকর্মীসহ গ্রেপ্তার ৬

ছবি

হাটখোলায় রাসায়নিক গুদামে আগুন, ২ ঘন্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

ছবি

ডিউটি না করায় ডিআইজি, ডিসিসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

ছবি

ঢাকায় প্রবাসী মনির ও পরিবারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা, সন্দেহে আত্মীয় গ্রেপ্তার

ছবি

রাজধানীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ওয়ার্ড নেতার মৃত্যু

ছবি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রীন ফোর্স বাংলাদেশের পথচলা শুরু

ছবি

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকা হলো আহমেদ আকবর সোবহানকে, তারিক আহমেদ সিদ্দিকের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন মোড়

ছবি

‘শাটডাউন’ আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

ছবি

কমপ্লিট শাটডাউন’ চলাকালে এনবিআর সেবা অপরিহার্য ঘোষণা

ছবি

এক রাতেই ঢাকার সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

ছবি

অবাঞ্ছিত ঘোষণার মধ্যেও এনবিআর চেয়ারম্যান দায়িত্বে, চলছে আন্দোলন

অবশেষে নগর ভবনে ফিরলেন প্রশাসক শাহজাহান মিয়া

ছবি

অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগে হাছান মাহমুদের ৯টি হিসাব ও গাড়ি জব্দ

ছবি

বিএনপির মামলায় গ্রেপ্তারের পর সাবেক সিইসিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ছবি

বৈঠকে ‘সন্তুষ্ট’ হলেও ক্লাসে ফিরছে না মেডিকেল শিক্ষার্থীরা, সিদ্ধান্ত কাল

ছবি

‘মব সংস্কৃতির’ হুমকি বাড়ছে, সাবেক সিইসির লাঞ্ছনায় তীব্র সমালোচনা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের

ছবি

ঢাকা মেডিকেল অ্যালামনাই ট্রাস্টের নেতৃত্বে নতুন কমিটি, চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন

ছবি

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলনে সাময়িক বিরতি

ছবি

পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত

ছবি

উত্তরায় সাবেক সিইসি আটক, উচ্ছৃংখল ‘জনতার’ হাতে লাঞ্ছিত

ছবি

নতুন আইন মানি না, বাতিল চাই’: কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি কর্মচারীদের

ছবি

ঢাকায় শুরু হলো ‘চীনা বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সপ্তাহ’

ছবি

গায়েবি মামলার সংস্কৃতিতে বিনিয়োগ স্থবির, সমাধানে বাজেটে কিছুই নেই: হোসেন জিল্লুর রহমান

ছবি

প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ল পুলিশ, ছত্রভঙ্গ শিক্ষার্থী

ছবি

ছাত্রদলের মিছিলে হামলার চেষ্টায় চারজন গ্রেপ্তার, উদ্ধার বিস্ফোরক-অস্ত্র

ছবি

ঐক্য পরিষদের আহ্বানে এনবিআরে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি

ছবি

দুর্নীতি-অপচয় বন্ধে ইতিবাচক উদাহরণ রেখে যেতে চান ফাওজুল কবির

ছবি

নতুনবাজারে সড়ক অবরোধ, অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের ঘোষণা ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

হল ত্যাগের নির্দেশ, বন্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

এনবিআর-বিডা কার্যালয় এলাকায় সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

ছবি

জনশৃঙ্খলার স্বার্থে ডিএমপির নতুন গণবিজ্ঞপ্তি

ছবি

‘অবৈধ বহিষ্কারাদেশ’ বাতিলের দাবি, নতুনবাজার অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের

ছবি

রাজধানীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বাহার আটক

tab

নগর-মহানগর

“নারী কমিশন বাতিলের দাবি ভাবনার পরিসর সংকুচিত করছে”—গীতি আরা নাসরিন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৫ মে ২০২৫

নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, “কমিশন হয়েছে, যারা অন্তর্বর্তী সরকার তারাই কমিশন গঠন করেছেন। এরকম একটি কমিশনকে সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু এ নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না। তখন কিন্তু আশাবাদী থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়।”

অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে বিভিন্ন খাতে ১১টি সংস্কার কমিশন করে। এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়, যেখানে ৪৩৩টি সুপারিশ রয়েছে।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরই এসব সুপারিশ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। কথা ওঠে নারী কমিশন নিয়েও। দেশের ইসলামপন্থিদের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হেফাজতে ইসলাম নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে, জামায়াতে ইসলামীও কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি মনে করে, কিছু সুপারিশ ধর্ম ও নারীকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পাল্টা বিবৃতি এসেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও ১১০ নাগরিকের তরফে। বিবৃতিতে এই নাগরিকরা বলেছেন, সরকারকে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে এবং কমিশনকে সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে হবে।

গীতি আরা নাসরিন বলেন, “তাদের সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে। ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু একটি কমিশন তৈরি হয়েছে। তারা একই পরিশ্রম করে সবার মতামত নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বলা হয় সেই কমিশন বাতিল করতে হবে। তখনই প্রশ্ন জাগে যে আমরা স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করারও একটি পরিসর তৈরি করতে পারছি না।”

তিনি বলেন, “বিতর্ক থাকতেই পারে, প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেটি যে কোনো কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে। কিন্তু উপেক্ষা করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। দুঃখজনক হলেও আমরা এখনও দেখিনি—এখন যারা সরকারে আছেন, তারা এটি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেছেন যে এটি করা যাবে না।”

সাধারণ জনগণের মতামত ও তাদের নিরাপত্তাকে কোন চোখে দেখা হচ্ছে, তা নিয়ে ‘উদ্বেগ’ রয়েছে এ অধ্যাপকের।

গীতি আরা নাসরিন বলেন, “প্রথমতই আমি নারীদের বিষয়টি বলব, কারণ এই প্রান্তিকতা আমরা শুরু থেকেই লক্ষ্য করছি। পুরো অভ্যুত্থানে যে বিপুল নারীদের আমরা দেখেছি, এরপরে সব জায়গায় এমনকি কমিশনগুলোতেও তাদের ভয়াবহ প্রান্তিকতা দেখতে পেয়েছি। শুধুমাত্র নারী কমিশন বাদে সব জায়গায় নারীর প্রতিনিধিত্ব কম।”

নারীদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট করার দাবি জানান তিনি।

“আমি রাজনৈতিক দলের কাছে স্পষ্ট করে শুনতে চাই, নারীদের ওপর যে বৈষম্য আছে তারা এগুলোর বিষয়ে কী অবস্থান নেবে। পরিষ্কারভাবে তাদের ঘোষণা দিতে হবে নারী বিষয়ে তারা কী অবস্থান নেবে। তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসতে হবে।”

মনোনয়নে ৩৩% নারী চান সামিনা

নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।

রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটি অসাধারণ সময় ও সুযোগ পার করছেন বলে মনে করেন তিনি।

এই শিক্ষক বলেন, “নারীরা রাজনীতি আসতে চাইছেন, তাদের সে সুযোগটা করে দিতে হবে। এ কারণে তারা দাবি করছেন, নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী দিতে হবে।

“রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। আবার নির্বাচনপদ্ধতিতে নারীদের অংশগ্রহণে আগ্রহী করার প্রক্রিয়া থাকতে হবে।”

ঢাকায় খামারবাড়ি এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনীরুজ্জামান, ওয়ারেসুল করিম, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, চৌধুরী সামিউল হক, মির্জা হাসান, ইলিরা দেওয়ান, সাইদা সুলতানা রাজিয়া, বাসুদেব ধর, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, বিচারপতি এম এ মতিন।

back to top