রাজধানীর খিলক্ষেতে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরে এসেছেন। রোববার ভোরে বাসায় ফিরে তিনি জানান, ‘মন হালকা করতে’ কুয়াকাটা গিয়েছিলেন।
খিলক্ষেত থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মুশফিকুর রহমানের “পারিবারিক একটু সমস্যার কথা শুনেছি।”
শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান নান্নু বাসা থেকে বের হয়ে যান। বাসায় ফিরে না আসায় তার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
তদন্ত শুরুর পর শনিবার খিলক্ষেত থানার ওসি বলেছিলেন, “বাসা থেকে তিনি কোনো কিছু বলে বের হননি। জুম্মার নামাজের আগে বের হলেও তিনি মসজিদে যাননি। মোবাইল ফোন বাসায় রেখে গেছেন।”
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সালাহ উদ্দিন রাসেল শনিবার রাতে বলেছিলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তার অবস্থান ঢাকার বাইরে বলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও পাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিন মধ্যরাতে মুশফিকুর রহমানের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, তার ভাই কুয়াকাটায় গেছেন—এটা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, “যে লঞ্চে করে তার ফেরার কথা ছিল, সেই লঞ্চে তিনি আসেননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করেছিল। কিন্তু ফোনটি বাসায় রেখে যাওয়ায় আরেক ভাই রিসিভ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয় যে তিনি কুয়াকাটায় আছেন।”
রাতেই তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। রোববার সকালে তদন্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে সদরঘাটে ওই লঞ্চে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান জিয়াউর রহমান।
রোববার সকালে জিয়াউর রহমান বলেন, “আমার ভাই ভোরে বাসে করে চলে এসেছেন। তিনি স্বাভাবিক আছেন। তাকে নিয়ে এত হৈচৈ করাটা তার মনপুত হয়নি। তিনি বলছেন, ‘আমি তো চলে আসব, এতো হৈচৈ করার কী আছে।’”
তবে মুশফিকুর রহমান জানান, তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো দেখেননি।
ছেলের লেখাপড়া নিয়ে দুই দিন আগে পরিবারের সঙ্গে তার ‘মনোমালিন্য’ হয়েছিল বলে জানান জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, “মন হালকা করতেই ভাই বাসা থেকে বের হয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন।”
ওসি বলেন, তার চলে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই; পুরোপুরি পারিবারিক।
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর খিলক্ষেতে কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরে এসেছেন। রোববার ভোরে বাসায় ফিরে তিনি জানান, ‘মন হালকা করতে’ কুয়াকাটা গিয়েছিলেন।
খিলক্ষেত থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মুশফিকুর রহমানের “পারিবারিক একটু সমস্যার কথা শুনেছি।”
শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে জনতা ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মুশফিকুর রহমান নান্নু বাসা থেকে বের হয়ে যান। বাসায় ফিরে না আসায় তার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান খিলক্ষেত থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডির পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
তদন্ত শুরুর পর শনিবার খিলক্ষেত থানার ওসি বলেছিলেন, “বাসা থেকে তিনি কোনো কিছু বলে বের হননি। জুম্মার নামাজের আগে বের হলেও তিনি মসজিদে যাননি। মোবাইল ফোন বাসায় রেখে গেছেন।”
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সালাহ উদ্দিন রাসেল শনিবার রাতে বলেছিলেন, ওই ব্যাংক কর্মকর্তার অবস্থান ঢাকার বাইরে বলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও পাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিন মধ্যরাতে মুশফিকুর রহমানের ভাই জিয়াউর রহমান জানান, তার ভাই কুয়াকাটায় গেছেন—এটা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি বলেন, “যে লঞ্চে করে তার ফেরার কথা ছিল, সেই লঞ্চে তিনি আসেননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করেছিল। কিন্তু ফোনটি বাসায় রেখে যাওয়ায় আরেক ভাই রিসিভ করে বিষয়টি নিশ্চিত হয় যে তিনি কুয়াকাটায় আছেন।”
রাতেই তদন্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়। রোববার সকালে তদন্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে সদরঘাটে ওই লঞ্চে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান জিয়াউর রহমান।
রোববার সকালে জিয়াউর রহমান বলেন, “আমার ভাই ভোরে বাসে করে চলে এসেছেন। তিনি স্বাভাবিক আছেন। তাকে নিয়ে এত হৈচৈ করাটা তার মনপুত হয়নি। তিনি বলছেন, ‘আমি তো চলে আসব, এতো হৈচৈ করার কী আছে।’”
তবে মুশফিকুর রহমান জানান, তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরগুলো দেখেননি।
ছেলের লেখাপড়া নিয়ে দুই দিন আগে পরিবারের সঙ্গে তার ‘মনোমালিন্য’ হয়েছিল বলে জানান জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, “মন হালকা করতেই ভাই বাসা থেকে বের হয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলেন।”
ওসি বলেন, তার চলে যাওয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই; পুরোপুরি পারিবারিক।