আন্দোলনে নামায় ‘সাজার ভয়ে’ থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মীদের অভয় দিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তবে সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ঢাকা কাস্টম হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমিসহ আমরা যারা এখানে আছি, আমরা কেউই অপরিহার্য নই। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র অপরিহার্য। আমাদের কাস্টম হাউজ ঢাকা, কাস্টম হাউজ চট্টগ্রাম, কাস্টম হাউজ বেনাপোল, কাস্টম হাউজ মোংলা—প্রত্যেকটা শুল্ক স্টেশন অপরিহার্য। রাজস্ব আহরণের প্রতিটি দপ্তর, ট্যাক্সেস অফিস, ভ্যাট কমিশনারেট—সবই অপরিহার্য। এগুলোর স্বাভাবিক কাজ চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কারা কাজ করবে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এগুলোর কার্যক্রম কোনোভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।”
গত সপ্তাহে আবদুর রহমান খানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন এনবিআর কর্মীরা। পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর আর বদলির আশঙ্কা রয়ে গেছে তাদের মধ্যে।
সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “এই জন্যই তাদের কাছে এসেছি। তাদের অভয় দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আচরণ করলে এবং দায়িত্ব ঠিকভাবে সম্পন্ন করলে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কেউ যদি সীমা লঙ্ঘন করে থাকে, সেটি অবশ্যই ভিন্নভাবে দেখা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তিনটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন এবং বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের সাময়িক তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি জানান, “৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এই পরিমাণ আরও বাড়বে।”
এর আগে মে মাসে সরকার এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন।
২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে এবং বিদ্যমান কাঠামোতেই এনবিআরের কাজ চলবে। এরপরও আন্দোলন চলতে থাকলে সরকার ২৫ মে জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না, বরং ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে।
এনবিআর কর্মীরা পরে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে এবং তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে। ২৮ জুন শুরু হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, যা আমদানি-রপ্তানিসহ এনবিআরের কার্যক্রম স্থবির করে দেয়।
২৯ জুন সরকার এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানায় এবং আইনবিরোধী কার্যক্রম বন্ধে হুঁশিয়ারি দেয়। পরে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এনবিআর কর্মীরা।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
আন্দোলনে নামায় ‘সাজার ভয়ে’ থাকা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মীদের অভয় দিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তবে সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ঢাকা কাস্টম হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমিসহ আমরা যারা এখানে আছি, আমরা কেউই অপরিহার্য নই। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র অপরিহার্য। আমাদের কাস্টম হাউজ ঢাকা, কাস্টম হাউজ চট্টগ্রাম, কাস্টম হাউজ বেনাপোল, কাস্টম হাউজ মোংলা—প্রত্যেকটা শুল্ক স্টেশন অপরিহার্য। রাজস্ব আহরণের প্রতিটি দপ্তর, ট্যাক্সেস অফিস, ভ্যাট কমিশনারেট—সবই অপরিহার্য। এগুলোর স্বাভাবিক কাজ চালু রাখার কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কারা কাজ করবে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু এগুলোর কার্যক্রম কোনোভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।”
গত সপ্তাহে আবদুর রহমান খানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন এনবিআর কর্মীরা। পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর আর বদলির আশঙ্কা রয়ে গেছে তাদের মধ্যে।
সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, “এই জন্যই তাদের কাছে এসেছি। তাদের অভয় দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আচরণ করলে এবং দায়িত্ব ঠিকভাবে সম্পন্ন করলে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কেউ যদি সীমা লঙ্ঘন করে থাকে, সেটি অবশ্যই ভিন্নভাবে দেখা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তিনটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন এবং বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের সাময়িক তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি জানান, “৩০ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। এই পরিমাণ আরও বাড়বে।”
এর আগে মে মাসে সরকার এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করে অধ্যাদেশ জারি করে। এই অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন।
২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে এবং বিদ্যমান কাঠামোতেই এনবিআরের কাজ চলবে। এরপরও আন্দোলন চলতে থাকলে সরকার ২৫ মে জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত হবে না, বরং ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে।
এনবিআর কর্মীরা পরে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে এবং তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে। ২৮ জুন শুরু হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, যা আমদানি-রপ্তানিসহ এনবিআরের কার্যক্রম স্থবির করে দেয়।
২৯ জুন সরকার এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে কর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানায় এবং আইনবিরোধী কার্যক্রম বন্ধে হুঁশিয়ারি দেয়। পরে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে কমিটি গঠন এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন এনবিআর কর্মীরা।