সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির পর বুধবার সকালেও থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল ঢাকায়। এতে সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘ভারী বৃষ্টিপাত’-এর মধ্যে পড়ে। এতে মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, নিকেতন, খিলগাঁও, নিউ মার্কেট, ভাটারা ও নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি জমে যায়। যদিও অধিকাংশ জায়গায় এ পানি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আফরোজা সুলতানা জানান, অফিসে যেতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পড়েন এবং ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায়ও ভুগছেন।
খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আদিব হাসান বলেন, সকালে হাঁটুসমান পানি জমায় এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মৌচাকে যেতে ৫০ টাকার ভাড়ায় ১০০ টাকা গুনতে হয় তাঁকে।
বৃষ্টির কারণে শহরে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলও ছিল কম। রাস্তায় যানবাহন মিললেও যাত্রী সংকটে পড়েছে পরিবহনগুলো। মহাখালী থেকে রামপুরাগামী বাসের হেলপার আলমগীর বলেন, “এই সময়ে সাধারণত দাঁড়ানো যাত্রী থাকে। আজ অর্ধেক আসন ফাঁকা।”
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় প্রস্তুত সিটি করপোরেশন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, ভারি বর্ষণের ফলে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য (ইমার্জেন্সি রেসপন্স) টিম গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে চালু রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হটলাইন: ০১৭০৯৯০০৮৮৮)। কোনো এলাকায় পানি জমে গেলে এই নম্বরে ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান বলেন, “রাতে বৃষ্টি হলেও বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে আমাদের টিম প্রস্তুত আছে।”
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির পর বুধবার সকালেও থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল ঢাকায়। এতে সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নগরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ‘ভারী বৃষ্টিপাত’-এর মধ্যে পড়ে। এতে মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, নিকেতন, খিলগাঁও, নিউ মার্কেট, ভাটারা ও নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি জমে যায়। যদিও অধিকাংশ জায়গায় এ পানি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আফরোজা সুলতানা জানান, অফিসে যেতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে পড়েন এবং ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায়ও ভুগছেন।
খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা আদিব হাসান বলেন, সকালে হাঁটুসমান পানি জমায় এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। মৌচাকে যেতে ৫০ টাকার ভাড়ায় ১০০ টাকা গুনতে হয় তাঁকে।
বৃষ্টির কারণে শহরে সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলও ছিল কম। রাস্তায় যানবাহন মিললেও যাত্রী সংকটে পড়েছে পরিবহনগুলো। মহাখালী থেকে রামপুরাগামী বাসের হেলপার আলমগীর বলেন, “এই সময়ে সাধারণত দাঁড়ানো যাত্রী থাকে। আজ অর্ধেক আসন ফাঁকা।”
জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় প্রস্তুত সিটি করপোরেশন: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানিয়েছে, ভারি বর্ষণের ফলে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে জরুরি সাড়া দেওয়ার জন্য (ইমার্জেন্সি রেসপন্স) টিম গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে চালু রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হটলাইন: ০১৭০৯৯০০৮৮৮)। কোনো এলাকায় পানি জমে গেলে এই নম্বরে ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান বলেন, “রাতে বৃষ্টি হলেও বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে আমাদের টিম প্রস্তুত আছে।”