চাকরির আশায় লিবিয়ায় গিয়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়া দুই বাংলাদেশির একজন দেশে ফিরেছেন, আরেকজনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, দেশে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ‘চাপ প্রয়োগের’ মাধ্যমে তাদেরকে ছাড়াতে পেরেছেন তারা।
৪২ দিন বন্দি থাকার পর মুক্ত হওয়া দুই বাংলাদেশি হলেন– আলমগীর হোসেন (৪৫) ও সিরাজ উদ্দিন (৩৫)। বুধবার দেশে ফিরেছেন আলমগীর।
বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, “লিবিয়ার মিলিশিয়া ও বাংলাদেশিদের একটি চক্র জিম্মি নাটক করে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করত। তাদের পরিবারকে ইমোতে লাইভ রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। প্রত্যেকের কাছে ২২ লাখ টাকা করে দাবি করা হয়।”
লিবিয়া থেকে ফেরা আলমগীর বলেন, তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতনকারীরা সবাই বাংলাদেশি ছিল। সেখানে আরও সাতজন বাংলাদেশিকেও নির্যাতিত অবস্থায় দেখেছেন তিনি।
পিবিআই জানায়, ৮ জানুয়ারি লিবিয়ার ত্রিপোলির জমাজৈতন এলাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে সিরাজের পরিবার ইসলামী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে দেড় লাখ টাকা পাঠায়। এরপরও নির্যাতন থামেনি, পরে আরও চার লাখ টাকা পাঠাতে বাধ্য হয় পরিবার।
এ ঘটনায় আলমগীরের ভাই ঢাকার আদাবর থানায় মামলা করেন। তদন্তে রাজশাহী থেকে রাসেল হক (২৫) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থেকে মিন্টু ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারদের মাধ্যমে লিবিয়ার চক্রের ওপর চাপ তৈরি হলে অপহরণকারীরা জিনজিয়া এলাকায় দুই ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় ফেলে যায়।
পরে তারা পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে আশ্রয় নেন এবং ব্র্যাক ও আইওএম-এর সহায়তায় আলমগীর দেশে ফেরেন। সিরাজকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
পিবিআই কর্মকর্তা এনায়েত বলেন, “এটা একটি চক্র। স্থানীয় মিলিশিয়াদের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ধরে নির্যাতন করে মুক্তিপণ নেয়া হয়। জনশক্তি রপ্তানির কোনো প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।”
ভুক্তভোগী আলমগীর বলেন, ২০২২ সালে লিবিয়ায় গিয়ে প্রথমে চাকরি করলেও পরে নিজে একটি ওয়ার্কশপ চালাতেন। ৮ জানুয়ারি সকালে দোকান খোলার সময় মিলিশিয়ারা তাদের ধরে নিয়ে যায়, পাসপোর্টও কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, “প্রথমে ইতালি পাঠানোর কথা বলে মারধর করে। পরদিন আমাদের বাংলা মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে একটি ক্যাম্পে নিয়ে তিনবেলা মারধর করত। ভোরে ফোন দিয়ে পরিবারকে টাকা পাঠাতে বলত, টাকা না এলে মারধর করত।”
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
চাকরির আশায় লিবিয়ায় গিয়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়া দুই বাংলাদেশির একজন দেশে ফিরেছেন, আরেকজনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, দেশে দুজনকে গ্রেপ্তার করে ‘চাপ প্রয়োগের’ মাধ্যমে তাদেরকে ছাড়াতে পেরেছেন তারা।
৪২ দিন বন্দি থাকার পর মুক্ত হওয়া দুই বাংলাদেশি হলেন– আলমগীর হোসেন (৪৫) ও সিরাজ উদ্দিন (৩৫)। বুধবার দেশে ফিরেছেন আলমগীর।
বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, “লিবিয়ার মিলিশিয়া ও বাংলাদেশিদের একটি চক্র জিম্মি নাটক করে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করত। তাদের পরিবারকে ইমোতে লাইভ রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হতো। প্রত্যেকের কাছে ২২ লাখ টাকা করে দাবি করা হয়।”
লিবিয়া থেকে ফেরা আলমগীর বলেন, তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতনকারীরা সবাই বাংলাদেশি ছিল। সেখানে আরও সাতজন বাংলাদেশিকেও নির্যাতিত অবস্থায় দেখেছেন তিনি।
পিবিআই জানায়, ৮ জানুয়ারি লিবিয়ার ত্রিপোলির জমাজৈতন এলাকার একটি ওয়ার্কশপ থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে সিরাজের পরিবার ইসলামী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে দেড় লাখ টাকা পাঠায়। এরপরও নির্যাতন থামেনি, পরে আরও চার লাখ টাকা পাঠাতে বাধ্য হয় পরিবার।
এ ঘটনায় আলমগীরের ভাই ঢাকার আদাবর থানায় মামলা করেন। তদন্তে রাজশাহী থেকে রাসেল হক (২৫) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থেকে মিন্টু ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তারদের মাধ্যমে লিবিয়ার চক্রের ওপর চাপ তৈরি হলে অপহরণকারীরা জিনজিয়া এলাকায় দুই ভুক্তভোগীকে আহত অবস্থায় ফেলে যায়।
পরে তারা পরিচিত এক ব্যক্তির কাছে আশ্রয় নেন এবং ব্র্যাক ও আইওএম-এর সহায়তায় আলমগীর দেশে ফেরেন। সিরাজকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
পিবিআই কর্মকর্তা এনায়েত বলেন, “এটা একটি চক্র। স্থানীয় মিলিশিয়াদের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ধরে নির্যাতন করে মুক্তিপণ নেয়া হয়। জনশক্তি রপ্তানির কোনো প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।”
ভুক্তভোগী আলমগীর বলেন, ২০২২ সালে লিবিয়ায় গিয়ে প্রথমে চাকরি করলেও পরে নিজে একটি ওয়ার্কশপ চালাতেন। ৮ জানুয়ারি সকালে দোকান খোলার সময় মিলিশিয়ারা তাদের ধরে নিয়ে যায়, পাসপোর্টও কেড়ে নেয়।
তিনি বলেন, “প্রথমে ইতালি পাঠানোর কথা বলে মারধর করে। পরদিন আমাদের বাংলা মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে একটি ক্যাম্পে নিয়ে তিনবেলা মারধর করত। ভোরে ফোন দিয়ে পরিবারকে টাকা পাঠাতে বলত, টাকা না এলে মারধর করত।”