ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতিতে নেমেছেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রোববার (১৩ জুলাই) নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জন করেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ উদ্দিন নাদিম জানান, “আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণহীন। গতকাল অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আজ আমরা ক্লাস বর্জন করেছি।”
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মাজহারুল শাহীন জানান, শিক্ষার্থীরা রোববার ক্লাসে অংশ নেয়নি। তবে ‘শাটডাউন’ বা পূর্ণ কর্মবিরতির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। গত বুধবার (১০ জুলাই) মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ছাত্র ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালকের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, “পরিচালক কিছু দাবি মেনে নিয়েছেন। হাসপাতালের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজ কর্মবিরতি পালন করছি। সন্ধ্যায় পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৮ দফা দাবি:
১.আনসারকে দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন ডিউটি করার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সশস্ত্র আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
হাসপাতালের প্রত্যেক ফটকে আনসার মোতায়েন করতে হবে।
৩. হাসপাতাল নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
৪. ইন্টার্ন লেডি ডক্টরস হোস্টেলে আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
৫. হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বর্তমান আনসার সম্পূর্ণ অপারগ। তাদেরকে
থাযথভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম করে তুলতে হবে।
৭. মিটফোর্ড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ বক্স স্থাপন করতে হবে।
৮.নিয়মিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি ২৩০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক মিটফোর্ড হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। তারা জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছেন।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতিতে নেমেছেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রোববার (১৩ জুলাই) নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জন করেন কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ উদ্দিন নাদিম জানান, “আমাদের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণহীন। গতকাল অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু কোনো আশ্বাস পাইনি। তাই আজ আমরা ক্লাস বর্জন করেছি।”
কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. মাজহারুল শাহীন জানান, শিক্ষার্থীরা রোববার ক্লাসে অংশ নেয়নি। তবে ‘শাটডাউন’ বা পূর্ণ কর্মবিরতির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। গত বুধবার (১০ জুলাই) মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ছাত্র ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পরিচালকের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, “পরিচালক কিছু দাবি মেনে নিয়েছেন। হাসপাতালের সামনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকি দাবিগুলো আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজ কর্মবিরতি পালন করছি। সন্ধ্যায় পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।”
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৮ দফা দাবি:
১.আনসারকে দিনে ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭ দিন ডিউটি করার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করতে হবে।
২. সশস্ত্র আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
হাসপাতালের প্রত্যেক ফটকে আনসার মোতায়েন করতে হবে।
৩. হাসপাতাল নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
৪. ইন্টার্ন লেডি ডক্টরস হোস্টেলে আনসার নিয়োগ দিতে হবে।
৫. হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বর্তমান আনসার সম্পূর্ণ অপারগ। তাদেরকে
থাযথভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম করে তুলতে হবে।
৭. মিটফোর্ড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ বক্স স্থাপন করতে হবে।
৮.নিয়মিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি ২৩০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক মিটফোর্ড হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। তারা জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত আছেন।