রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বের হওয়ার পর দিয়াবাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। শিক্ষার্থীরা তাঁদের গাড়ি ঘুরিয়ে আবার কলেজে ফেরত পাঠান। পরে তাঁরা কলেজের ভেতরে একটি ভবনে যান।
কলেজের বাইরে ও আশপাশের এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। তাঁরা আইন উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের বাধায় আবার কলেজে ফিরে আসেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার কিছু আগে কলেজ থেকে বের হন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় কলেজের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দেখা না গেলেও তাঁদের গাড়ি দিয়াবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে বিকেল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন।
এর আগে বেলা পৌনে একটার দিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা প্রতিটি দাবি পূরণ করব। বিশ্বাস রাখুন।’ তবে তাঁর আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। উপদেষ্টারা আবার কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও উপস্থিত ছিল।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সি আর আবরার ও শফিকুল আলম কলেজ পরিদর্শনে আসেন। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ করেন। পরে উপদেষ্টারা কলেজের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় কনফারেন্স কক্ষে যান। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষকেরা এবং শিক্ষার্থীদের পাঁচ থেকে সাতজন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। বাইরে তখনও শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছিলেন।
বেলা পৌনে একটার দিকে উপদেষ্টারা কনফারেন্স কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। অভিভাবক হিসেবে ভালোবাসা জানাতেও আসার কথা বলেন। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং জানায়, শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবিই যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। দাবিগুলো হলো—নিহত ব্যক্তিদের সঠিক নাম-পরিচয় প্রকাশ, আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিমানবাহিনীর ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ বিমান চালু করা, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র সংস্কার করে মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করা এবং শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলার ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানায়, এই ঘটনায় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বের হওয়ার পর দিয়াবাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। শিক্ষার্থীরা তাঁদের গাড়ি ঘুরিয়ে আবার কলেজে ফেরত পাঠান। পরে তাঁরা কলেজের ভেতরে একটি ভবনে যান।
কলেজের বাইরে ও আশপাশের এলাকায় শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। তাঁরা আইন উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। শিক্ষার্থীদের বাধায় আবার কলেজে ফিরে আসেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার কিছু আগে কলেজ থেকে বের হন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় কলেজের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা দেখা না গেলেও তাঁদের গাড়ি দিয়াবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে বিকেল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন।
এর আগে বেলা পৌনে একটার দিকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিচ্ছি, আমরা প্রতিটি দাবি পূরণ করব। বিশ্বাস রাখুন।’ তবে তাঁর আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। উপদেষ্টারা আবার কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও উপস্থিত ছিল।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সি আর আবরার ও শফিকুল আলম কলেজ পরিদর্শনে আসেন। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ করেন। পরে উপদেষ্টারা কলেজের ৫ নম্বর ভবনের নিচতলায় কনফারেন্স কক্ষে যান। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষকেরা এবং শিক্ষার্থীদের পাঁচ থেকে সাতজন প্রতিনিধি আলোচনা করেন। বাইরে তখনও শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছিলেন।
বেলা পৌনে একটার দিকে উপদেষ্টারা কনফারেন্স কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। অভিভাবক হিসেবে ভালোবাসা জানাতেও আসার কথা বলেন। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং জানায়, শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবিই যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। দাবিগুলো হলো—নিহত ব্যক্তিদের সঠিক নাম-পরিচয় প্রকাশ, আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, বিমানবাহিনীর ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো প্রশিক্ষণ বিমান বাতিল করে আধুনিক ও নিরাপদ বিমান চালু করা, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও কেন্দ্র সংস্কার করে মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করা এবং শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলার ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানায়, এই ঘটনায় আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩১ জন নিহত ও ১৬৫ জন আহত হয়েছেন।