ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন জানান, বর্তমানে ৪০ জন রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ‘ক্রিটিক্যাল পেশেন্ট’ আছে পাঁচজন, আর ‘সিভিআর পেশেন্ট’ ১০ জন। ‘ইন্টারমেডিয়েট’ গ্রুপে ২৫ জন রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ‘পোস্ট অপারেটিভ’ কক্ষে রাখা হয়েছে, আর ১৫ জনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

পরদিন চার-পাঁচজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “প্রতিদিন কিছুসংখ্যক রোগীকে ছুটি দিতে পারব বলে আমাদের প্রত্যাশা।”

তিনি আরও বলেন, “যদিও আজকে আমরা দুইজন শিশুকে হারিয়েছি, তবে একটি ভালো দিক হলো—ভেন্টিলেশনে থাকা দুইজন এখন নিজে নিজে শ্বাস নিতে পারছে।”

শুক্রবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ১০ বছর বয়সী তাসনিম আফরোজ আইমান এবং দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ১৩ বছর বয়সী মুসাব্বির মাকিন মারা যায়। আইমান শরীয়তপুরের ও মাকিন গাজীপুরের বাসিন্দা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক বলেন, “আমি নিজে উপস্থিত থেকে মরদেহ হস্তান্তর করেছি। মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় পাঠানো হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জন অফিসকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।”

সোমবার দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু।

এছাড়া দগ্ধ ও আহত ৫০ জন এখনও জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।