সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপুকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তার গুলশান থানার মামলায় পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে চার দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, অপু সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। তারা বিভিন্নজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কার্যকলাপ প্রচারিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ওয়ারী থেকে অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
রিমান্ডে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকার চারটি তারিখ ও প্রাপকের নামবিহীন চেক উদ্ধার করে পুলিশ। এগুলো ‘ট্রেড জোন’ নামের একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
বাড্ডার রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই অর্থ সাবেক এমপির বাসা থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকার অংশ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রিয়াদ ও অপু সরকার পতনের গুজব ছড়িয়ে একটি গ্রুপ গঠন করে মব সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
২৬ জুলাই শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু তার বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তারা। বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দেন বাদী।
এরপর ১৯ ও ২৬ জুলাই আরও দুই দফা এসে চাপ দিলে পুলিশকে জানানো হয়। ২৬ জুলাই বিকালে পুলিশ পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। অপু তখন পালিয়ে গেলেও পরে গ্রেপ্তার হন।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ওরফে কাজী গৌরব অপুকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তার গুলশান থানার মামলায় পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে তাকে চার দিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান বলেন, অপু সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। তারা বিভিন্নজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কার্যকলাপ প্রচারিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ওয়ারী থেকে অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে এই মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন মুন্না ও এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সব শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
রিমান্ডে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া দুই কোটি টাকার চারটি তারিখ ও প্রাপকের নামবিহীন চেক উদ্ধার করে পুলিশ। এগুলো ‘ট্রেড জোন’ নামের একটি কোম্পানির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
বাড্ডার রিয়াদের ভাড়া বাসা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই অর্থ সাবেক এমপির বাসা থেকে নেওয়া ১০ লাখ টাকার অংশ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রিয়াদ ও অপু সরকার পতনের গুজব ছড়িয়ে একটি গ্রুপ গঠন করে মব সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
২৬ জুলাই শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু তার বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন তারা। বাধ্য হয়ে ১০ লাখ টাকা দেন বাদী।
এরপর ১৯ ও ২৬ জুলাই আরও দুই দফা এসে চাপ দিলে পুলিশকে জানানো হয়। ২৬ জুলাই বিকালে পুলিশ পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। অপু তখন পালিয়ে গেলেও পরে গ্রেপ্তার হন।