দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে একসঙ্গে আকাশে উড়ল হেলিকপ্টারের আদলে শতাধিক বেলুন। সঙ্গে হাজারো মানুষের কণ্ঠে স্লোগান ওঠে—“পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে।” মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেলুন উড়িয়ে ও স্লোগানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মুহূর্তটি উদযাপন করা হয়।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির রাষ্ট্রীয় উদযাপন হচ্ছে মঙ্গলবার। গান, কনসার্ট, ড্রোন শোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি ও সংসদ সচিবালয় যৌথভাবে। এই অনুষ্ঠানমালা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আয়োজনে বিকালে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় লোকসমাগম ঘটাতে আট জোড়া ট্রেন ভাড়া করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হয় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায়। তারা পরিবেশন করে ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’, ‘জীবনের গল্প’, ‘ওমা আর কেঁদো না’, ‘যাঁদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’ ও ‘জারিগান’সহ কয়েকটি গান।
পরে মঞ্চে আসে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, যারা পরিবেশন করে ‘তোমার কুদরতী পায়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’, ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ ও ‘দিল্লি না ঢাকা’। কণ্ঠশিল্পী নাহিদ পরিবেশন করেন ‘পলাশীর প্রান্তর’ ও ‘৩৬ জুলাই’, আর তাশফি পরিবেশন করেন ‘নোঙর তোল তোল’, ‘তুমি প্রিয় কবিতা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল’ ও ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’।
পর্যায়ক্রমে আর্টসেল, ওয়ারফেইজ ও শূন্য ব্যান্ডের পরিবেশনা এবং স্পেশাল ড্রোন ড্রামাসহ নানা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড আর্টসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আছেন জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।
শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, আসরের আজান ও নামাজের বিরতির পর জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘আমরা করবো জয়’ গান পরিবেশন করবে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্প তুলে ধরা হবে।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন শেষমেশ সরকার পতনের দিকে গড়ায়। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন। আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সরকার গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিপেটা, ফেসবুক এবং ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় এবং রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুরু করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে দেশে সরকারি ছুটি পালন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে একসঙ্গে আকাশে উড়ল হেলিকপ্টারের আদলে শতাধিক বেলুন। সঙ্গে হাজারো মানুষের কণ্ঠে স্লোগান ওঠে—“পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে।” মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেলুন উড়িয়ে ও স্লোগানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মুহূর্তটি উদযাপন করা হয়।
অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তির রাষ্ট্রীয় উদযাপন হচ্ছে মঙ্গলবার। গান, কনসার্ট, ড্রোন শোসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, শিল্পকলা একাডেমি ও সংসদ সচিবালয় যৌথভাবে। এই অনুষ্ঠানমালা সবার জন্য উন্মুক্ত।
আয়োজনে বিকালে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকায় লোকসমাগম ঘটাতে আট জোড়া ট্রেন ভাড়া করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
দিনব্যাপী আয়োজন শুরু হয় বেলা ১২টা ১০ মিনিটে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায়। তারা পরিবেশন করে ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’, ‘জীবনের গল্প’, ‘ওমা আর কেঁদো না’, ‘যাঁদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’ ও ‘জারিগান’সহ কয়েকটি গান।
পরে মঞ্চে আসে কলরব শিল্পীগোষ্ঠী, যারা পরিবেশন করে ‘তোমার কুদরতী পায়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’, ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ ও ‘দিল্লি না ঢাকা’। কণ্ঠশিল্পী নাহিদ পরিবেশন করেন ‘পলাশীর প্রান্তর’ ও ‘৩৬ জুলাই’, আর তাশফি পরিবেশন করেন ‘নোঙর তোল তোল’, ‘তুমি প্রিয় কবিতা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল’ ও ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’।
পর্যায়ক্রমে আর্টসেল, ওয়ারফেইজ ও শূন্য ব্যান্ডের পরিবেশনা এবং স্পেশাল ড্রোন ড্রামাসহ নানা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। সবশেষে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড আর্টসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় আছেন জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।
শিল্পকলা একাডেমি জানিয়েছে, আসরের আজান ও নামাজের বিরতির পর জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় ‘আমরা করবো জয়’ গান পরিবেশন করবে বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে প্রায় দুই হাজার ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্প তুলে ধরা হবে।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন শেষমেশ সরকার পতনের দিকে গড়ায়। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে চড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হন। আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। সরকার গুলি, টিয়ারশেল ও লাঠিপেটা, ফেসবুক এবং ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
রক্তপাত শুরু হওয়ার ২০ দিনের মধ্যে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় এবং রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ শুরু করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে দেশে সরকারি ছুটি পালন করা হচ্ছে।