সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি তিন স্তরের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এসব রূপরেখা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষকে (ডিটিসিএ) একটি কাউন্সিলের অধীনে আনার প্রস্তাবও দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনার সংস্কারে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রূপরেখা: সরকারের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। রূপরেখা উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর।
সংস্থাটি জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশের সড়কে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন। এত বিপুল প্রাণহানি ও অব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার সড়ক পরিবহনব্যবস্থা সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন করেনি।
সংস্থার মতে, সড়কের নৈরাজ্যের নেপথ্যে রয়েছে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্বল ও অপ্রতুল অবকাঠামো, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা।
রূপরেখার প্রস্তাব
স্বল্পমেয়াদি (২০২৫–২০২৭) প্রস্তাবনায় রয়েছে—জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন, বিআরটিএ-বিআরটিসি-ডিটিসিএর শীর্ষপদে কারিগরি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, কাঠামোগত সংস্কার, সড়ক-সম্পর্কিত প্রশ্নে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা, যানবাহনের আয়ুষ্কাল ও ডাম্পিং নীতিমালা প্রণয়ন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ট্রাস্ট ফান্ডে প্রতিবছর সাত কোটি টাকা বরাদ্দসহ ১০টি প্রস্তাব।
মধ্যমেয়াদি (২০২৫–২০২৯) প্রস্তাবনায় রয়েছে—রোড ট্রাফিক সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরটিএমএস) চালু, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন প্রত্যাহার, রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানিভিত্তিক আধুনিক বাস সার্ভিস চালু, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বাস এবং মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ।
দীর্ঘমেয়াদি (২০২৫–২০৩১) প্রস্তাবনায় রয়েছে—রাজধানীতে বহুতলবিশিষ্ট হাইড্রোলিক পার্কিং নির্মাণ, ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক, রেল ও নৌপরিবহন একত্র করে অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠন।
সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি কমিশন গঠন করে এবং সংস্কারের কাজ শুরু করে, তাহলে পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে তা চালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। অন্যথায় সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান, উপদেষ্টা মো. আরিফ রাইহান, যুগ্ম সচিব জাহিদুল ইসলাম ও মাহমুদ রিয়াজ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ একরাম হোসেন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর পাহাড়ী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
---
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি তিন স্তরের রূপরেখা প্রস্তাব করেছে বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এসব রূপরেখা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষকে (ডিটিসিএ) একটি কাউন্সিলের অধীনে আনার প্রস্তাবও দিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনার সংস্কারে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের রূপরেখা: সরকারের কাছে প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। রূপরেখা উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর।
সংস্থাটি জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশের সড়কে ৩৪ হাজার ৮৯৪টি দুর্ঘটনায় ৩৭ হাজার ৩৮২ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৫৯৭ জন। এত বিপুল প্রাণহানি ও অব্যবস্থাপনা সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার সড়ক পরিবহনব্যবস্থা সংস্কারে কোনো কমিশন গঠন করেনি।
সংস্থার মতে, সড়কের নৈরাজ্যের নেপথ্যে রয়েছে জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, দুর্বল ও অপ্রতুল অবকাঠামো, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা।
রূপরেখার প্রস্তাব
স্বল্পমেয়াদি (২০২৫–২০২৭) প্রস্তাবনায় রয়েছে—জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন, বিআরটিএ-বিআরটিসি-ডিটিসিএর শীর্ষপদে কারিগরি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, কাঠামোগত সংস্কার, সড়ক-সম্পর্কিত প্রশ্নে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা, যানবাহনের আয়ুষ্কাল ও ডাম্পিং নীতিমালা প্রণয়ন, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ট্রাস্ট ফান্ডে প্রতিবছর সাত কোটি টাকা বরাদ্দসহ ১০টি প্রস্তাব।
মধ্যমেয়াদি (২০২৫–২০২৯) প্রস্তাবনায় রয়েছে—রোড ট্রাফিক সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরটিএমএস) চালু, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন প্রত্যাহার, রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে কোম্পানিভিত্তিক আধুনিক বাস সার্ভিস চালু, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বাস এবং মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ।
দীর্ঘমেয়াদি (২০২৫–২০৩১) প্রস্তাবনায় রয়েছে—রাজধানীতে বহুতলবিশিষ্ট হাইড্রোলিক পার্কিং নির্মাণ, ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা রোধে সড়ক, রেল ও নৌপরিবহন একত্র করে অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠন।
সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি কমিশন গঠন করে এবং সংস্কারের কাজ শুরু করে, তাহলে পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে তা চালিয়ে যেতে বাধ্য হবে। অন্যথায় সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ হবে না।”
সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান, উপদেষ্টা মো. আরিফ রাইহান, যুগ্ম সচিব জাহিদুল ইসলাম ও মাহমুদ রিয়াজ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ একরাম হোসেন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর পাহাড়ী ভট্টাচার্য প্রমুখ।
---