alt

নগর-মহানগর

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

বঙ্গবন্ধু-হাসিনাকে নিয়ে লেখা বইয়ে আগুন, পরে শিক্ষকদের কাছে ‘ক্ষমা’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫

ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কয়েকটি বইয়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় জড়িতরা বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “তারা আজ এসে শিক্ষকদের কাছে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।”

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ মাঠে স্তুপ করা বেশ কিছু বই থেকে ধোঁয়া উঠছে। এ সময় এক ব্যক্তি আশপাশের লোকজনকে উদ্দেশ করে বলেন, “হাসিনার জন্য জেল খেটেছি, হাসিনার বই, বঙ্গবন্ধুর বই পুড়ে ফেলব। আপনারা এত উত্তেজিত কেন।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তুহিন দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও কলেজে সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্বোধনী ফলক রয়েছে, যা সরানো হয়নি। “বুধবার আমরা কয়েকজন গ্রন্থাগারে বসে কথা বলছিলাম, তখন চোখে পড়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ মুজিবের কয়েকটি বই। কেন এগুলো এখনও আছে জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে ফোন দিই, কিন্তু তিনি ধরেননি।”

তুহিনের ভাষ্য, লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে বিরূপ আচরণের পর তারা বইগুলো নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যেতে চান, কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকায় মাঠে বইগুলো রেখে দেন। “এসময় আমাদের সংগঠনের বাইরের কেউ বইয়ে আগুন দেয়, কিন্তু দায় আমাদের ওপর চাপানো হয়।”

অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ জানান, “প্রায় ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে মিটিং চলাকালে তুহিন ফোন করেছিলেন, কিন্তু ব্যস্ত থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। পরে লাইব্রেরিয়ান এসে জানায়, কয়েকজন ছেলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে গেছে। মিটিং শেষে মাঠে গিয়ে দেখি বইয়ের স্তুপ। এ সময় একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের দিকে হাত তুলে কথা বললে এক শিক্ষক প্রতিবাদ করেন। পরে অন্য এক শিক্ষক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেন।”

এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতা তুহিন বলেন, “আমরা সরি বলেছি।”

ছবি

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগ সন্দেহে একজনকে মারধর, ৩ জনকে আটক

ছবি

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনকে আবার গ্রেপ্তার

ছবি

মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে নেতৃত্ব বিরোধ: ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপি নেতার হট্টগোল

ছবি

সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, সন্ধ্যা ৬টার পর অবস্থানের জন্য অনুমতি বাধ্যতামূলক

ছবি

মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা: অভিভাবকদের ৯ দফা দাবি

চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ১৪ আগষ্ট শুরু হচ্ছে হজ ও ওমরাহ মেলা

ছবি

ঢাকায় সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলের পার্কিংয়ে গাড়ির ভেতর দুই জনের লাশ

ছবি

ডিএমপির ৯ ওসিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার

ছবি

মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনা: সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল আরও দুজন

ছবি

সড়ক ব্যবস্থাপনা সংস্কারে তিন স্তরের রূপরেখা প্রস্তাব রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের

ছবি

কাঁটাবনে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২

ছবি

গুলশানে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রনেতা অপুর দোষ স্বীকার

ছবি

জুলাই উদযাপন কর্মসূচিতে শিবিরের প্রদর্শনী নিয়ে সমালোচনা

ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে রাজধানীতে গান, স্লোগান ও ড্রোন শো

ছবি

‘৩৬ জুলাই’ উদযাপনে বেলুন বিস্ফোরণে আহত, কেউ গুরুতর নয়

ছবি

অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির আহ্বান

ছবি

মাইলস্টোন কলেজ : যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার ১২ দিন পর খুলল, পাঠদান শুরু ৬ আগস্ট

ছবি

ডাইভারশন আরোপে বিকল্প সড়কে চাপ, ভোগান্তিতে নগরবাসী

ছবি

যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে মাইলস্টোনে দোয়া ও শ্রদ্ধা

মাইলস্টোন দুর্ঘটনা: আরও এক শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে

ছবি

নাশকতার শঙ্কায় ঢাকায় আওয়ামী নেতাদের বাসায় নজর, বলছে পুলিশ

ছবি

"সাবেক এমপির বাসায় চাঁদা দাবির অভিযোগে অপু চার দিনের রিমান্ডে"

ছবি

অবৈধ বসবাসের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রে আটক, ফিরলেন ৩৯ বাংলাদেশি

ছবি

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানি: মাইলস্টোনে শোক ও দোয়ার আয়োজন

ছবি

ধানমন্ডিতে গাছ উপড়ে গাড়ির ওপর, গুরুতর আহত অটোরিকশাচালক

ছবি

লাঠিপেটা, হাতাহাতি, তারপর ভাঙলো মঞ্চ: শাহবাগে অবরোধের ইতি

ছবি

৮ আগস্ট ঘিরে ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের রহস্য উদঘাটনে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ঢাকায় পূর্ব শত্রুতায় নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবি

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর

ছবি

থানায় মব সৃষ্টি: জামিন শুনানি রোববার, তিন আসামি কারাগারে

ছবি

নাসিক হকার্স মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মাসুদুজ্জামানের চেক বিতরণ

ছবি

ফার্মগেটে এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের নিচে ঢুকে পড়ল বিআরটিসির দোতলা বাস

ছবি

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট: সম্ভাব্য নৈরাজ্য ঠেকাতে এসবির সতর্কবার্তা

ছবি

ঢাকা ছেড়ে দাম্মাম যাওয়ার পথে যান্ত্রিক সংকেত, শাহজালালে ফিরে এলো বোয়িং ৭৭৭

ছবি

রাজধানীতে যুদ্ধবিমান ঘাঁটি থাকা অত্যাবশ্যক: বিমান বাহিনী

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভেতর চাঁদাবাজি-তদবিরের অভিযোগ : উমামা ফাতেমার

tab

নগর-মহানগর

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ

বঙ্গবন্ধু-হাসিনাকে নিয়ে লেখা বইয়ে আগুন, পরে শিক্ষকদের কাছে ‘ক্ষমা’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫

ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কয়েকটি বইয়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় জড়িতরা বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “তারা আজ এসে শিক্ষকদের কাছে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।”

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ মাঠে স্তুপ করা বেশ কিছু বই থেকে ধোঁয়া উঠছে। এ সময় এক ব্যক্তি আশপাশের লোকজনকে উদ্দেশ করে বলেন, “হাসিনার জন্য জেল খেটেছি, হাসিনার বই, বঙ্গবন্ধুর বই পুড়ে ফেলব। আপনারা এত উত্তেজিত কেন।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তুহিন দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও কলেজে সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্বোধনী ফলক রয়েছে, যা সরানো হয়নি। “বুধবার আমরা কয়েকজন গ্রন্থাগারে বসে কথা বলছিলাম, তখন চোখে পড়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ মুজিবের কয়েকটি বই। কেন এগুলো এখনও আছে জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে ফোন দিই, কিন্তু তিনি ধরেননি।”

তুহিনের ভাষ্য, লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে বিরূপ আচরণের পর তারা বইগুলো নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যেতে চান, কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকায় মাঠে বইগুলো রেখে দেন। “এসময় আমাদের সংগঠনের বাইরের কেউ বইয়ে আগুন দেয়, কিন্তু দায় আমাদের ওপর চাপানো হয়।”

অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ জানান, “প্রায় ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে মিটিং চলাকালে তুহিন ফোন করেছিলেন, কিন্তু ব্যস্ত থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। পরে লাইব্রেরিয়ান এসে জানায়, কয়েকজন ছেলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে গেছে। মিটিং শেষে মাঠে গিয়ে দেখি বইয়ের স্তুপ। এ সময় একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের দিকে হাত তুলে কথা বললে এক শিক্ষক প্রতিবাদ করেন। পরে অন্য এক শিক্ষক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেন।”

এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতা তুহিন বলেন, “আমরা সরি বলেছি।”

back to top