মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কয়েকটি বইয়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় জড়িতরা বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “তারা আজ এসে শিক্ষকদের কাছে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।”
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ মাঠে স্তুপ করা বেশ কিছু বই থেকে ধোঁয়া উঠছে। এ সময় এক ব্যক্তি আশপাশের লোকজনকে উদ্দেশ করে বলেন, “হাসিনার জন্য জেল খেটেছি, হাসিনার বই, বঙ্গবন্ধুর বই পুড়ে ফেলব। আপনারা এত উত্তেজিত কেন।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তুহিন দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও কলেজে সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্বোধনী ফলক রয়েছে, যা সরানো হয়নি। “বুধবার আমরা কয়েকজন গ্রন্থাগারে বসে কথা বলছিলাম, তখন চোখে পড়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ মুজিবের কয়েকটি বই। কেন এগুলো এখনও আছে জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে ফোন দিই, কিন্তু তিনি ধরেননি।”
তুহিনের ভাষ্য, লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে বিরূপ আচরণের পর তারা বইগুলো নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যেতে চান, কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকায় মাঠে বইগুলো রেখে দেন। “এসময় আমাদের সংগঠনের বাইরের কেউ বইয়ে আগুন দেয়, কিন্তু দায় আমাদের ওপর চাপানো হয়।”
অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ জানান, “প্রায় ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে মিটিং চলাকালে তুহিন ফোন করেছিলেন, কিন্তু ব্যস্ত থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। পরে লাইব্রেরিয়ান এসে জানায়, কয়েকজন ছেলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে গেছে। মিটিং শেষে মাঠে গিয়ে দেখি বইয়ের স্তুপ। এ সময় একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের দিকে হাত তুলে কথা বললে এক শিক্ষক প্রতিবাদ করেন। পরে অন্য এক শিক্ষক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেন।”
এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতা তুহিন বলেন, “আমরা সরি বলেছি।”
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা কয়েকটি বইয়ে আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় জড়িতরা বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “তারা আজ এসে শিক্ষকদের কাছে ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন।”
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কলেজ মাঠে স্তুপ করা বেশ কিছু বই থেকে ধোঁয়া উঠছে। এ সময় এক ব্যক্তি আশপাশের লোকজনকে উদ্দেশ করে বলেন, “হাসিনার জন্য জেল খেটেছি, হাসিনার বই, বঙ্গবন্ধুর বই পুড়ে ফেলব। আপনারা এত উত্তেজিত কেন।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তুহিন দাবি করেন, শেখ হাসিনার পতনের পরও কলেজে সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্বোধনী ফলক রয়েছে, যা সরানো হয়নি। “বুধবার আমরা কয়েকজন গ্রন্থাগারে বসে কথা বলছিলাম, তখন চোখে পড়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শেখ মুজিবের কয়েকটি বই। কেন এগুলো এখনও আছে জানতে চাইলে লাইব্রেরিয়ান আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে অধ্যক্ষকে ফোন দিই, কিন্তু তিনি ধরেননি।”
তুহিনের ভাষ্য, লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে বিরূপ আচরণের পর তারা বইগুলো নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে যেতে চান, কিন্তু তিনি মিটিংয়ে থাকায় মাঠে বইগুলো রেখে দেন। “এসময় আমাদের সংগঠনের বাইরের কেউ বইয়ে আগুন দেয়, কিন্তু দায় আমাদের ওপর চাপানো হয়।”
অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লাহ জানান, “প্রায় ৩৫ জন শিক্ষককে নিয়ে মিটিং চলাকালে তুহিন ফোন করেছিলেন, কিন্তু ব্যস্ত থাকায় ধরা সম্ভব হয়নি। পরে লাইব্রেরিয়ান এসে জানায়, কয়েকজন ছেলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে গেছে। মিটিং শেষে মাঠে গিয়ে দেখি বইয়ের স্তুপ। এ সময় একজন শিক্ষার্থী শিক্ষকদের দিকে হাত তুলে কথা বললে এক শিক্ষক প্রতিবাদ করেন। পরে অন্য এক শিক্ষক উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেন।”
এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতা তুহিন বলেন, “আমরা সরি বলেছি।”