বিদেশ ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ( পিপিপি) প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান এবং পরামর্শ দেওয়া। গতকাল সোমবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে প্ল্যাটফর্মটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন জনশক্তি,কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর(বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট ( আইসিএমপিডি) বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক এটির অর্থায়ন করছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়েরর সহযোগিতায় কার্যক্রমও পরিচালিত হবে।
প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে বিএমইটি’র মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেন, যে অভিবাসন বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড-১৯ সময়কালে এটি বিশেষভাবে বোঝা গেছে, যখন অর্থনৈতিক মন্দার ভবিষ্যদ্বাণীকে অস্বীকার করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একটি সমন্নিত অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশে যাওয়ার পূর্বে এবং যাওয়ার পরে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে শুরু করে ফিরে আসার পরেও অভিবাসীদের প্রত্যাবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিতকরণে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসন পরিষেবা কার্যক্রমের জন্য পিপিপি প্ল্যাটফর্মের প্রতি সরকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এবং সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসন নীতিমালা প্রণযনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে শহিদুল আলম জানান।
হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়াক এর ম্যারিয়ান উলব্রিচট. ইউরোপীয় ইউনিয়নের লিসা হিলেনব্র্যান্ড, আইসিএমপিডি হেডকোয়ার্টার ভিয়েনা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সেদেফ ডেয়ারিং, গলদা মাইরা রোমা ও বিভিন্ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিপি প্ল্যাটফর্মের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাসমূহকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তা এবং বাণিজ্য সংস্থা। বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে সর্বমোট ২৪টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এগারোটি সরকারিসংস্থা, দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১
বিদেশ ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ( পিপিপি) প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা প্রদান এবং পরামর্শ দেওয়া। গতকাল সোমবার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে প্ল্যাটফর্মটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন জনশক্তি,কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর(বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্ট ( আইসিএমপিডি) বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মটির কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়ার্ক এটির অর্থায়ন করছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়েরর সহযোগিতায় কার্যক্রমও পরিচালিত হবে।
প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে বিএমইটি’র মহাপরিচালক শহিদুল আলম বলেন, যে অভিবাসন বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোভিড-১৯ সময়কালে এটি বিশেষভাবে বোঝা গেছে, যখন অর্থনৈতিক মন্দার ভবিষ্যদ্বাণীকে অস্বীকার করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একটি সমন্নিত অভিবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশে যাওয়ার পূর্বে এবং যাওয়ার পরে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে শুরু করে ফিরে আসার পরেও অভিবাসীদের প্রত্যাবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা নিশ্চিতকরণে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যাবাসন পরিষেবা কার্যক্রমের জন্য পিপিপি প্ল্যাটফর্মের প্রতি সরকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি বিদেশ থেকে ফেরত আসা অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনের জন্য সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এবং সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরেন। প্রত্যাবাসন নীতিমালা প্রণযনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে শহিদুল আলম জানান।
হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউরোপিয়ান রিটার্ন অ্যান্ড রিইন্টিগ্রেশন নেটওয়াক এর ম্যারিয়ান উলব্রিচট. ইউরোপীয় ইউনিয়নের লিসা হিলেনব্র্যান্ড, আইসিএমপিডি হেডকোয়ার্টার ভিয়েনা থেকে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সেদেফ ডেয়ারিং, গলদা মাইরা রোমা ও বিভিন্ন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, পিপিপি প্ল্যাটফর্মের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাসমূহকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সংস্থা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের নিয়োগকর্তা এবং বাণিজ্য সংস্থা। বর্তমানে এ প্ল্যাটফর্মে সর্বমোট ২৪টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এগারোটি সরকারিসংস্থা, দুটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, পাঁচটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং ছয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।