হেলপার শিক্ষার্থী দেখলে উঠতে দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ
বুধবারও শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সড়কে বিক্ষোভ করে -সংবাদ
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর করেছে ঢাকার পরিবহন মালিকরা। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অনেক বাস-মিনিবাসে হেলপার (চালকের সহকারী) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো ভাড়া নিতে দেখা গেছে। প্রতিবাদ করলে ৩০ টাকা ভাড়া নেয়া হয় ২০ টাকা ও ২০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নেয়া হয়। মনে করিয়ে না দিলে পুরো ভাড়া নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাস-মিনিবাসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বেশি থাকে। এ সময় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বাসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি হয়। কিন্তু বুধবার থেকে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর হওয়ায় বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কম উঠাতে দেখা গেছে। ছাত্র-ছাত্রী দেখলেই বাসে জায়গা নেই বলে হেলপাররা তাদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি যাত্রী পরিবহনের কারণে অনেকেই বাসে উঠতে পারে না। এ ছাড়া হাফ ভাড়া ঘোষণার পর বাস-মিনিবাসে নিতে চায় না বলে জানান তারা।
বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাইফুর রহমান নামের মুগদা আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমনিতেই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকালে বাস পাওয়া যায় না। এখন ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া করায় আরও বিপদ বাড়ছে। বাসে উঠতে গেলে বলে ডাইরেক্ট গাবতলী। তুরাগ ও ৮ নাম্বার পরিবহনগুলো সকালে সিটিং সার্ভিস নামের বেশি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। তখন আমাদের উঠাতে চায় না। ডাইরেক্ট গাবতলী বলে যাত্রী উঠানো হয়। এ সময় যাত্রীর কাছে বেশি ভাড়া নেয়া হয়। তাই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’
গুলিস্তান এলাকা পাভেল নামের সিটি কলেজের এক ছাত্র বলেন, ‘ট্রান্স সিলভা পরিবহনে যাত্রাবাড়ী-সায়েন্স ল্যাবের ভাড়া ২০ টাকা। এই রুটে হাফ ভাড়া হয় ১০ টাকা। কিন্তু আমি তাকে ২০ টাকা দেয়ার পর সে আমাকে ৫ টাকা ফেরত দিয়েছে। জানতে চাইলে বলে, ১৫ টাকায় হাফ ভাড়া।’
সায়েদবাদ এলাকায় তানভীর নামের যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের এক ছাত্র বলেন, ‘রাইদা পরিবহনে পোস্তগোলা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয়েছে ১০ টাকা। অথচ এখানে অর্ধেক ভাড়া হয় ৫ টাকা। প্রতিবাদ করলে বাসের হেলপার বলে, সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। এর নিচে নেয়া যায় না।’
অনেক বাসে অর্ধেক ভাড়া দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়া ছবিযুক্ত আইডি কার্ড দেখানো নিয়ে শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হতেও দেখা গেছে।
শাহবাগ থেকে বিআরটিসির বাসে ওঠা তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়া দেয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখতে চান চালকের সহকারী। কিন্তু এতে বিরক্তি বোধ করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি চালকের সহকারীকে বলেন, ‘দেখছেন তো কলেজ ড্রেস পরা। এতে কী প্রমাণ হয় না আমি ছাত্র?’
সেফটি বাসে চড়ে শেওড়াপাড়া থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসা সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অভিজ্ঞতাও একই। সে জানায়, প্রথমে পুরো ২০ টাকা ভাড়াই আদায় করেছিল বাসচালকের সহকারী। পরে মনে করিয়ে দিতে ১০ টাকা ফেরত দিয়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কোচিং করতে আসা আরেক ছাত্র আয়াত হোসেন বলে, খুচরা নেই এই অজুহাতে পুরো ভাড়া রেখেছে বাসচালকের সহকারী।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করে ঠিকানা পরিবহন। বুধবার সকালে এই বাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠেছিলেন ইডেন কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী। তারা জানান, বুধবার তারা কিছুটা কম ভাড়ায় আসতে পেরেছেন। বাসে ৩০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা লেগেছে। বাসচালকের সহকারী মো. হৃদয় অবশ্য দাবি করেন, তিনি ১৫ টাকা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী পুষ্পিতা, তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রাশেদকেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। রাশেদ বলল, ‘কন্ডাক্টররা তর্ক করে। তাই ছাত্রের পরিচয় দিতে মন চায় না।’ অবশ্য বাসচালকের সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিচ্ছেন। কিন্তু হাফ ভাড়ার বিষয়ে তারা কোনো নির্দেশনা এখনো পাননি।
পরিত্রান বাসের ভেতর ঝোলানো চার্ট অনুযায়ী মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর-১ এর ভাড়া ১৮ টাকা। সেই হিসাবে অর্ধেক ভাড়া ৯ টাকা। কেন ১৫ টাকা নেয়া হলো? জানতে চাইলে চালকের সহকারী বলেন, ওয়েবিলের হিসেবে ১৩ টাকা আসে, তিনি ১৫ টাকা রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘হাফ পাস মানে পুরোপুরি হাফ তো না। খুচরার কারণে কিছুটা কমবেশি রাখি। আর এই বাসে আসাদগেট চেক পার হলেই ভাড়া ২৫ টাকা।’
ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে যারা প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসেন, তারাও বুধবার বিপত্তিতে পড়েছেন। ঢাকা কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, হাফ ভাড়া ইস্যুতে কিরণমালা পরিবহন থেকে বুধবার তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ছাত্রদের একজন সাব্বির হোসেন। তিনি প্রতিদিন কিরণমালায় গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে মিরপুর-১ এর কলেজে যাতায়াত করেন।
সাব্বির বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে ৪৫ টাকা। কলেজ পর্যন্ত আসতে চারবার চেক পড়ে। এক চেকের ভাড়া কম রাখে ছাত্রদের জন্য। যখন অর্ধেক ভাড়ার কথা বলেছি, তখন তর্ক করেছে। তর্ক করে মিরপুর ১০-এর সনি সিনেমা হল মোড়ে এসে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে চেকাররা মারমুখী ভঙ্গিতে কথা বলছিলেন। পরে এক আঙ্কেল এসে আমাদের সেখান থেকে তাদের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘চেকাররা বলছিল আমরা নাকি তর্ক করে যাত্রীদের বিরক্ত করি। একজন বলেছে মারধর করলে কিছুই হবে না তার।’
হেলপার শিক্ষার্থী দেখলে উঠতে দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ
বুধবারও শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সড়কে বিক্ষোভ করে -সংবাদ
বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১
গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর করেছে ঢাকার পরিবহন মালিকরা। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অনেক বাস-মিনিবাসে হেলপার (চালকের সহকারী) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো ভাড়া নিতে দেখা গেছে। প্রতিবাদ করলে ৩০ টাকা ভাড়া নেয়া হয় ২০ টাকা ও ২০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নেয়া হয়। মনে করিয়ে না দিলে পুরো ভাড়া নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাস-মিনিবাসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বেশি থাকে। এ সময় সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বাসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ বেশি হয়। কিন্তু বুধবার থেকে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর হওয়ায় বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের কম উঠাতে দেখা গেছে। ছাত্র-ছাত্রী দেখলেই বাসে জায়গা নেই বলে হেলপাররা তাদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, দাঁড়িয়ে ও গাদাগাদি যাত্রী পরিবহনের কারণে অনেকেই বাসে উঠতে পারে না। এ ছাড়া হাফ ভাড়া ঘোষণার পর বাস-মিনিবাসে নিতে চায় না বলে জানান তারা।
বাসের অপেক্ষায় থাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় তাইফুর রহমান নামের মুগদা আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমনিতেই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সকালে বাস পাওয়া যায় না। এখন ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া করায় আরও বিপদ বাড়ছে। বাসে উঠতে গেলে বলে ডাইরেক্ট গাবতলী। তুরাগ ও ৮ নাম্বার পরিবহনগুলো সকালে সিটিং সার্ভিস নামের বেশি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। তখন আমাদের উঠাতে চায় না। ডাইরেক্ট গাবতলী বলে যাত্রী উঠানো হয়। এ সময় যাত্রীর কাছে বেশি ভাড়া নেয়া হয়। তাই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।’
গুলিস্তান এলাকা পাভেল নামের সিটি কলেজের এক ছাত্র বলেন, ‘ট্রান্স সিলভা পরিবহনে যাত্রাবাড়ী-সায়েন্স ল্যাবের ভাড়া ২০ টাকা। এই রুটে হাফ ভাড়া হয় ১০ টাকা। কিন্তু আমি তাকে ২০ টাকা দেয়ার পর সে আমাকে ৫ টাকা ফেরত দিয়েছে। জানতে চাইলে বলে, ১৫ টাকায় হাফ ভাড়া।’
সায়েদবাদ এলাকায় তানভীর নামের যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের এক ছাত্র বলেন, ‘রাইদা পরিবহনে পোস্তগোলা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া নেয়া হয়েছে ১০ টাকা। অথচ এখানে অর্ধেক ভাড়া হয় ৫ টাকা। প্রতিবাদ করলে বাসের হেলপার বলে, সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। এর নিচে নেয়া যায় না।’
অনেক বাসে অর্ধেক ভাড়া দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়া ছবিযুক্ত আইডি কার্ড দেখানো নিয়ে শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হতেও দেখা গেছে।
শাহবাগ থেকে বিআরটিসির বাসে ওঠা তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী অর্ধেক ভাড়া দেয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখতে চান চালকের সহকারী। কিন্তু এতে বিরক্তি বোধ করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি চালকের সহকারীকে বলেন, ‘দেখছেন তো কলেজ ড্রেস পরা। এতে কী প্রমাণ হয় না আমি ছাত্র?’
সেফটি বাসে চড়ে শেওড়াপাড়া থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে আসা সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অভিজ্ঞতাও একই। সে জানায়, প্রথমে পুরো ২০ টাকা ভাড়াই আদায় করেছিল বাসচালকের সহকারী। পরে মনে করিয়ে দিতে ১০ টাকা ফেরত দিয়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে কোচিং করতে আসা আরেক ছাত্র আয়াত হোসেন বলে, খুচরা নেই এই অজুহাতে পুরো ভাড়া রেখেছে বাসচালকের সহকারী।
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করে ঠিকানা পরিবহন। বুধবার সকালে এই বাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠেছিলেন ইডেন কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী। তারা জানান, বুধবার তারা কিছুটা কম ভাড়ায় আসতে পেরেছেন। বাসে ৩০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা লেগেছে। বাসচালকের সহকারী মো. হৃদয় অবশ্য দাবি করেন, তিনি ১৫ টাকা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী পুষ্পিতা, তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রাশেদকেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। রাশেদ বলল, ‘কন্ডাক্টররা তর্ক করে। তাই ছাত্রের পরিচয় দিতে মন চায় না।’ অবশ্য বাসচালকের সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিচ্ছেন। কিন্তু হাফ ভাড়ার বিষয়ে তারা কোনো নির্দেশনা এখনো পাননি।
পরিত্রান বাসের ভেতর ঝোলানো চার্ট অনুযায়ী মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর-১ এর ভাড়া ১৮ টাকা। সেই হিসাবে অর্ধেক ভাড়া ৯ টাকা। কেন ১৫ টাকা নেয়া হলো? জানতে চাইলে চালকের সহকারী বলেন, ওয়েবিলের হিসেবে ১৩ টাকা আসে, তিনি ১৫ টাকা রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘হাফ পাস মানে পুরোপুরি হাফ তো না। খুচরার কারণে কিছুটা কমবেশি রাখি। আর এই বাসে আসাদগেট চেক পার হলেই ভাড়া ২৫ টাকা।’
ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে যারা প্রতিদিন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসেন, তারাও বুধবার বিপত্তিতে পড়েছেন। ঢাকা কমার্স কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, হাফ ভাড়া ইস্যুতে কিরণমালা পরিবহন থেকে বুধবার তাদের নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ছাত্রদের একজন সাব্বির হোসেন। তিনি প্রতিদিন কিরণমালায় গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে মিরপুর-১ এর কলেজে যাতায়াত করেন।
সাব্বির বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে ৪৫ টাকা। কলেজ পর্যন্ত আসতে চারবার চেক পড়ে। এক চেকের ভাড়া কম রাখে ছাত্রদের জন্য। যখন অর্ধেক ভাড়ার কথা বলেছি, তখন তর্ক করেছে। তর্ক করে মিরপুর ১০-এর সনি সিনেমা হল মোড়ে এসে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে চেকাররা মারমুখী ভঙ্গিতে কথা বলছিলেন। পরে এক আঙ্কেল এসে আমাদের সেখান থেকে তাদের কাছ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।’
তিনি বলেন, ‘চেকাররা বলছিল আমরা নাকি তর্ক করে যাত্রীদের বিরক্ত করি। একজন বলেছে মারধর করলে কিছুই হবে না তার।’